চলমান সংবাদ

শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগমে সরগরম চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাট

কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। গরু রাখার জায়গা না থাকায় নগরের বাসিন্দরা মূলত কোরবানির এক-দুইদিন আগে গরু কিনেন। তাই শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগমে সরগরম হয়ে উঠে নগরীর কোরবানির পশুর হাট। শুক্রবার (৮ জুলাই) নগরীর কোরবানির পশুর হাটে ছিল না তিল ধারনের ঠাঁই। বাজারে বড় গরুর আশপাশে ভিড় বেশি হলেও কেনার ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি গরুর। গরুর তুলনায় বিক্রেতেরা বেশি দাম হাঁকছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে গরুর দাম বৃদ্ধির জন্য বিক্রেতারা বন্যা, গো-খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, এবার খরচাপাতি বেশি, লোকসানে গরু বিক্রি সম্ভব নয়। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-মাঝারি ও বড় আকৃতির বাহারি গরু এসেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দুপুরের আগেই কোরবানির পশুতে ও ক্রেতাদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। পশুর হাটগুলো ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্বিঘেœ যাতায়াত ব্যবস্থা, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসিয়েছে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বাজার কর্তৃপক্ষ। বাজার আসা একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গরুর দাম বাড়তি। ছোটো-বড় সব জাতের গরুর দামই নাগালের বাইরে। তবুও কোরবানির জন্য কয়েকটি বাজার ঘুরে পছন্দের গরু কিনতে হবে। লালখান বাজার থেকে আসা ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য পশু কিনতে এসেছি চট্টগ্রামের বড় গরু বাজারে। বেপারিরা ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে। ছোট-বড় সবগুলোর দাম সাধ্যের বাইরে। কেউ দামে ছাড় দিচ্ছে না। হাট ঘুরে ঘুরে দেখছি। ভাগ্যে যেটা থাকবে সেটাই কম-বেশি দিয়ে হলেও নিতে হবে।’ তবে বিক্রেতারা বলছেন, তারা যেভাবে আশা নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে সেভাবে এখনো বাজার জমেনি। বাজারে ক্রেতা প্রচুর। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতারা গরু কিনছেন। অনেকেই দাম জিজ্ঞেস করে আর কিছুই না বলে চলে যাচ্ছে। আগামীকাল (শনিবার) শেষ দিনে যদি গরু বিক্রি করতে না পারেন তাহলে লোকসান নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে। কুমিল্লা থেকে ২৭টি গরু নিয়ে সাগরিকা গরুর বাজারে এসেছেন ২৭ বছরের হৃদয়। তিনি বলেন, সকাল থেকে মাত্র ২টি গরু বিক্রি করেছি। গত বছর ৮টি বড় গরু এনেছিলাম। কোরবানির ঠিক আগেরদিন লস দিয়ে ৬টা বিক্রি করতে হয়েছিল। তাই এই বছর সব ছোট গরু এনেছি। তবে এবার মনে হয় আরও বেশি লোকসান হবে। নওগাঁর বাসিন্দা শাহাদাত আলী ৩৭টি গরু নিয়ে গত শনিবার বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, ছয়দিনে মাত্র ৪টি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক বেশি। যারা আসছেন তারা অনেকে দামদর করে আবার চলে যাচ্ছেন। শেষ দিনের অপেক্ষায় আছি; বিক্রি ভালো না হলে আসা-যাওয়ার খরচ ও বেতন নিজের পকেট থেকে দিতে হবে। বাজারে গরুর দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দামের কারণে গরুর দাম বেড়েছে।
# ০৮.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #