চলমান সংবাদ

জনদুর্ভোগঃ দুঃখের আর এক নাম ট্রেইন টিকেট কাউন্টার!!!!

আজ ২৪/০৫/২২ তারিখ ময়মনসিংহ জংশন রেইল স্টেশনের অগ্রিম টিকেট কাউন্টার হতে ২৮/০৫/২২ তারিখের তিস্তা এক্সপ্রেস এর ময়মনসিংহ টু ঢাকা একটা টিকেটের জন্য ভোর ছয়টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম। সকাল আটটায় টিকেট বিক্রয় কর্মকর্তা এসে ৮ঃ ১০ থেকে টিকেট বিক্রয় করার মহাযজ্ঞ শুরু করলেন। আমার সামনে মোট লোক ছিল ১৫ জন,তারমধ্যে বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট ক্রেতা ছিলেন। আমি টিকেট কাউন্টারে যাওয়ার একটু আগেও ডিসপ্লেতে দেখেছি মোট ২৫ টি টিকেট আছে , হঠাৎ করেই ডিসপ্লে অফ করে দেওয়া হলো,অথচ পাশের কাউন্টারের ডিসপ্লে চালু ছিল। আমি টিকেটের জন্য হাত বাড়ালেই টিকেট বিক্রয় কর্মকর্তা ঘোষনা দিলেন তিস্তার কোন টিকেট নাই। আমি বিনয়ের সাথে বলেছি টিকেট দেওয়ার জন্য তিনি বললেন নাই!!!, আমি তখন সাউট করে বললাম ডিসপ্লে চালু করেন, তিনি চালু না করে বললেন কারেন্ট নাই। আমি কতক্ষন দাড়িয়ে রইলাম বিষয়টি দেখার জন্য, দেখি ১০ মিনিট পরেই ডিসপ্লে চালু করে দেয় সেখানে টিকেট নাই সো করছে। আমার প্রশ্ন হলো আমরা যখন দেখলাম ২৫ টা টিকেট আছে, ও তার পর কাউকে টিকেট দেয়া হলোনা ডিসপ্লে বন্ধ রেখে চালু করার পর টিকেট নাই সো করছে, তাহলে ডিসপ্লে অফ করে ভিতরে কি এমন ভুতুরে ব্যাপার হলো যে কাউন্টারে টিকেট বিক্রয় করা ছাড়াই ২৫ টা টিকেট নাই হয়ে গেল।আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানানোর জন্য স্টেশন সুপারের কাছে গেলাম, উনি তখন আসেন নাই,পাশে স্টেশন মাস্টারের রুমে একজনকে পেলাম তিনি বললেন স্টেশন সুপারের কাছে যেতে। অগত্যা দুইজন রেল এমপ্লয়ির কাছে ফোন করলাম একজনের সিম অফ। এই হলো সকালের দুংখ।এসব ঘটনার আশু প্রতিকারের দাবী জানাচ্ছি।
মাহবুব বিন ছাইফ
সভাপতি
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
জেলা কমিটি, ময়মনসিংহ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত