চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দরে সাত দিনে এলো ৪৭ হাজার টন ভোজ্য তেল

অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে রীতিমতো গায়েব হয়ে যাচ্ছে সয়াবিন তেল। গুটি কয়েক দোকানে তেলের দেখা মিললেও দাম শুনে ভোক্তার হাতে পড়ছে ফোসকা! এমন পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনা থেকে চারটি জাহাজে এসেছে ৪৭ হাজার ৪৪ টন ভোজ্য তেল। সংকট কাটাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি দেশ থেকে চারটি জাহাজে করে ৪৭ হাজার ৪৪ টন পাম ও সয়াবিন তেলে এসেছে। এরমধ্যে ‘ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ নামক জাহাজে ২১ হাজার টন, ‘এন এস স্টিলা‘ জাহাজে ৭ হাজার টন, ‘এমটি প্রাইড’ জাহাজে ৭ হাজার ৭৯৯ টন ও ‘সানজিন’ জাহাজে ১১ হাজার ২৪৫ টন ভোজ্যতেল চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। ইতোমধ্যে ‘ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ জাহাজে থাকা তেল খালাস শেষ হয়েছে। বাকি তিনটি জাহাজের তেল খালাস প্রক্রিয়া চলছে। এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ, বসুন্ধরা, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, সুপার অয়েল ও মেঘনা গ্রুপ এ তেল আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, গত সাত দিনে ৪৭ হাজার ৪৪ টন পাম ও সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ৪টি জাহাজ পৌঁছেছে। চার জাহাজের মধ্যে ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ ও এন এস স্টেলা নামক জাহাজে করে আর্জেন্টিনা থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আনা হয়েছে। অপরদিকে এমিটি প্রাইড ও এম টি সানজিন নামক জাহাজ করে ইন্দোনেশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম তেল আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ‘ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ জাহাজে থাকা তেল খালাস পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি তিন জাহাজে থাকা তেল দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস করা হবে।
# ০৭.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #