চলমান সংবাদ

২০ রোজার মধ্যে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেয়ার দাবি

২০ রোজার মধ্যে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়ার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন ফোরামের আহবায়ক তপন দত্ত

২০ রোজার মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস এবং এপ্রিল মাসের মজুরি প্রদানের দাবিতে জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের উদ্যোগে  আজ সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফোরামের আহবায়ক, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক নেতা তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে  বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি নুরুল আবসার, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ রিজওয়ানুর রহমান খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিছ  প্রমুখ শ্রমিকনেতা।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে জাহাজ ভাংগা শ্রমিকেরা কাজ করলেও শ্রম আইন ও বিধি মেনে উৎসব বোনাস দেয়া হয়না। শ্রমিক নেতারা জানান, বিগত বছর ২৬ জুন এক সভায় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ঈদুল আযহার বোনাস দিবে বলে ওয়াদা করে পরবর্তীতে সে ওয়াদা রক্ষা করেনি। তারা বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারা বছর অমানুষিক পরিশ্রম করার পর বছর শেষে উৎসব করার জন্য বোনাস পাবেনা, এটা হতে পারেনা –এটা খুবই অমানবিক। মালিক পক্ষের এমন অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য তারা সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রমিক নেতারা বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা সেক্টরে মালিকেরা কোন আইনই মানতে চায়না। উচ্চ আদালতে রাত্রিকালীন কাজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এখানে প্রতি নিয়ত রাত্রিবেলায় কাজ হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০১৮ সালে সরকার মাসিক নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক নিম্নতম মজুরি ৬২৫ টাকা ঘোষণা করেছে, ইতিমধ্যে ৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে কিন্তু কোন ইয়ার্ডেই নিম্নতম মজুরি দেয়া হচ্ছেনা।  নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হলেও অজ্ঞাত কারনে তারা নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ শ্রম আইন মেনে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক, সবেতন ছুটি দেয়ার দাবি জানান।