চলমান সংবাদ

রমজানে চাহিদার অযুহাতে সবজি-মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে

সরবরাহ ঠিক থাকলেও রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যের দাম বেড়েছে চট্টগ্রামে। কোনও কারণ ছাড়াই প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। রমজানের অজুহাতে বেড়েছে মাংস, মুরগি ও মাছের দাম। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৭০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, শশা ৫০-৮০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৫০, কাকরোল কেজি ১৪০ টাকা, শিম ৫০, ঝিঙ্গা ৫০, ঢেঁড়স ৮০, পটল ৬০ ও বরবটি ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট দেশি আলু ৫০ ও বড় আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরের পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আরেক দফা বেড়েছে মুরগির দাম। ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি মুরগি। স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিক্রি হয় ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি শুক্রবার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেয়ার ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজারের মুরগি বিক্রেতা সেকান্দার আলী বলেন, রমজানে মুরগির চাহিদা বেড়ে গেছে। মুরগির খাবারের দামও বাড়তি। সরবরাহ না বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায় ও খাসির মাংস ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-৩০০ টাকায়, কাতাল ২২০-৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৬০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা। এছাড়া চড়া রয়েছে সাগরের মাছের দাম। তাছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মুগ ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ থেকে ১৪৫, বোতলজাত সয়াবিন ১৫০ থেকে ১৬০, পাম তেল খোলা ১৩০ থেকে ১৩৫ এবং পাম অয়েল সুপার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, রমজান এলে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এবারও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যেও দাম বাড়তি। তাই ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে সেসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্দে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
# ০৮.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #