চলমান সংবাদ

রমজানের আগেই চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি

রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে, এটা যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। অথচ রমজান মাসে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে বা যে কোন উৎসবে বিভিন্ন দেশে নিত্যপণ্যে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা দেখা যায়। বাংলাদেশের চিত্র একেবারেই বিপরীত। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্বেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানে শুরুর আগেই বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বিশেষ করে ইফতারি তৈরির উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে শসা ও লেবুর দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে যে শসা কেজি ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যে লেবু আকারভেদে জোড়া ১৪-২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, নগরের বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। নগরীর কাজীর দেউরি বাজারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে যেন জিম্মি করে রেেেছ। তাদের কাছে যেন প্রশাসনও অসহায়। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। বছরব্যাপী বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যেঠস নিতে হবে। কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বেগুন প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৪৫ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকায়, আগে যা ছিল ৪৫ টাকা। এছাড়া পটল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিমও গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ১০টাকা কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। ভোজ্যতেল বোতলজাত কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭৮ টাকায়। খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮৩ টাকায়। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১০০-১২০ টাকায়।
# ০১.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #