চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে যৌন নিপীড়ন থেকে মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা- সন্দেহ পুলিশের

-গ্রেপ্তার তিন শিক্ষকের একজন দুইদিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী হত্যার নেপথ্যে যৌন নিপীড়নের কোনো ঘটনা রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মাদ্রাসার ভেতর থেকে শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে তিন শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের ধারণা, মাদ্রাসার অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের কোনো ঘটনা থেকে হত্যাকান্ড হয়েছে। শনিবার (৫ মার্চ) সকালে বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউনিয়নের হযরত শেখ অছিয়র রহমান ফারুকী (রহ.) এতিমখানা ও হেফজখানা থেকে ইফতেখার মালিকুল মাশফিক (৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের গলা কাটা মরদেহ কম্বল মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তার মামা মাসুদ খান বাদি হয়ে শনিবার (৫ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের পরই মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ জাফর আহমদ, হাফেজ মো. রুস্তম আলী ও শাহাদাত হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। মামলা দায়েরের তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান জানান, মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে এজাহারে তিন শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মামলায় তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয়া হয়। হত্যাকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মাদ্রাসায় সবসময় যৌন নিপীড়নের যে ধরনের ঘটনা ঘটে কিংবা যে ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়, সে ধরনের কোনো ঘটনার জেরে হত্যাকান্ড হতে পারে। গ্রেপ্তার তিন শিক্ষকের মধ্যে একজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা বের হবে বলে আশাকরি। ২-১ দিনের মধ্যে বিষয়টি আমরা সুনির্দিষ্টভাবে সবাইকে জানাতে পারব।
# ০৬.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #