চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের একুশে বইমেলার ৪র্থ দিনে বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি

৫ম দিনে কাল রবীন্দ্র উৎসব চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার ৪র্থ দিনে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি। বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণ। কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে। বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া বইমেলার প্রথমদিকে ভিড় কম থাকওে সন্ধ্যার আগেই দর্শনার্থীদের পদভারে জমে ওঠে মেলাপ্রাঙ্গণ। সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলা শুরুর প্রথমদিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে না পড়লেও ৪র্থ দিনে জমে উঠেছে বইমেলা। এদিন বিকেল তিনটায় উন্মুক্ত করা হয় মেলা প্রাঙ্গণ। বেলা গড়াতেই ধীরে ধীরে বইমেলা ঘিরে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সাধারণ ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বইয়ের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এদিকে বিক্রি বাড়ায় খুশি প্রকাশকরা। দর্শনার্থীর সংখ্যা ও বিক্রি বাড়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। প্রথম দিকেই এমন ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে করোনা মহামারীর কারণে দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন তারা। প্রকাশকরা বলছেন, মেলায় ক্রেতা সমাগম ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই মেলা জমজমাট হবে। কিছু কিছু স্টলে লেখককে পেয়ে লেখকের অটোগ্রাফসহ বই সংগ্রহ করছিলেন বইপ্রেমীরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি বড়লেও বিক্রি এখনো খুব সামান্য। তরুণ-তরুণীদের অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। বিভিন্ন স্টলে বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। তাদের প্রত্যাশা- দিন যত গড়াবে বাড়তে থাকবে ক্রেতার সংখ্যা। বাড়বে বই বিক্রিও। বইমেলার ৪র্থ দিনে বৃধবার আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। আলোচনা শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বংশী শিল্পকলা একাডেমি এবং নৃত্য পরিবেশন করে চারুতা নৃত্যকলা একাডেমি। বইমেলার ৫ম দিন কাল বৃহস্পবিার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্র উৎসব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার ৪র্থ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি যুগে যুগে আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। বিশেষ করে ৫২, ৬৬, ৬৯ এবং ৭১ এর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন। একুশের চেতনায় পতাকা হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশে সুন্দরভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে একের পর এক লক্ষ্য পূরণ করছে। জনহিতকর সাফল্য বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এসব সফলতার মূলেই একুশের চেতনা কাজ করেছে। বিশিষ্ট নাট্যজন অভীক ওসমান’র সভাপতিত্বে অমর একুশে বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বেলাল আহমেদ। মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, চসিক আয়োজিত বইমেলা সার্বজনীন রূপ পাওয়ায় আমরা গর্বিত। তিনি সাবেক মেয়র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কারণে বইমেলা জিমনেসিয়াম চত্ত্বরেটি ব্যবহারের সুযোগ হয়েছে, অন্যদিকে প্রকাশক, নাগরিক সমাজ সমন্বয়ের একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে বইমেলার মাধ্যমে।
# ২৩.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #