চলমান সংবাদ

স্বৈরাচারের পতন হলেও গণতন্ত্রের সংকট রয়ে গেছে’

১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। এসময় তারা বলেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও দেশে গণতন্ত্রের সংকট এখনো রয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আশির দশকের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, আবু তাহের চৌধুরী, আইনজীবী নেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, মশিউর রহমান চৌধুরী এবং অধ্যাপক শিব প্রসাদ। সভায় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে জাফর, জয়নাল, আইয়ুব, দীপালী সাহাসহ অন্তত ১০ জন ছাত্র প্রাণ হারায়। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের শহিদ মিনারে মিছিল-সমাবেশ হয়। সেই সমাবেশে গুলি চালিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোজাম্মেলকে হত্যা করা হয়। আমরা সেদিনের ছাত্র গণআন্দোলনের শহিদদের রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’ অশোক সাহা বলেন, ‘১৯৮৩ সালের সেই ছাত্র আন্দোলন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে মাইলফলক। সেই ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয় এবং একপর্যায়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়। কিন্তু স্বৈরাচার উৎখাত হলেও ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অঙ্গীকার, তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়ন হয়নি। এর ফলে দেশে গণতন্ত্রের সংকট এখনো রয়ে গেছে। গণতন্ত্রের সংকট নিরসন করতে হলে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে, গণমুখী অসাম্প্রদায়িক সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে।’ # ১৫.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #