চলমান সংবাদ

সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে সবজির দাম বেড়েছে

চট্টগ্রামের বাজারে আবারো বাড়তে শুরু করেছে শীতের সবজির দাম। গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসা শীতের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও চড়া রয়েছে সবজির বাজার।

গত একমাস ধরে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি দামেই কিনতে হয়েছে সবজি। চলতি সপ্তাহেও কমেনি দাম।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। স্বস্তি ফিরেনি ডাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে। তবে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, রিয়াজুদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৬শ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস আজ কেজিপ্রতি ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি গত সপ্তাহে ৮৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া খাসির মাংস কেজিতে ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন গরুর দাম বেড়েছে। ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার গরু এখন লাখের নিচে পাওয়া যায় না।

তাই বাড়তি দরেই গরুর মাংস বিক্রি করতে হয়। পাশাপাশি খাসির দাম বাড়ায় খাসির মাংস বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেড়েছে চাল, মসুর ডাল, ভোজ্যতেল, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজের দাম। বাজারে খোলা সয়াবিন লিটারে ৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, লিটারে ২ টাকা বেড়ে পামতেল ১৩২ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৬৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে স্বস্তি নেই আটা, ময়দা, ডালেও। খুচরা দোকানে খোলা আটার কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৩৬ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা আগের ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত ময়দা ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে মসুর ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি রসুন ১২০ টাকা ও দেশি রসুন আগের ৫০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গরু-খাসির মাংসের বাজারে অস্থিতিশীলতা থাকলেও কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। দু’ সপ্তাহ আগেই জানুয়ারির মাঝামাঝিতে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা উঠে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া আগের দরেই প্রতিকেজি লেয়ার ২২০, দেশি মুরগি ৪৫০ ও সোনালী ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে শীতের মৌসুম শেষের দিকে থাকায় আবারো বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। সবজির বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, আলু ২৪ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি গাজর ৩০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া বাঁধাকপি ৩৫ ও ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা এবং পুঁইশাক ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দীন বাজারের সবজি বিক্রেতা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। এজন্য বাজারে শীতের সবজির সরবরাহও কমে গেছে। বাড়তি দামে আমাদের সবজি কিনতে হচ্ছে। সেজন্য বাড়তি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে।

মাছের বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে গত সপ্তাহের মতোই প্রতিকেজি রুই-কাতল ২৫০ থেকে ৩শ, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১৫০, চিংড়ি ৬শ’ ও বড় সাইজের ইলিশ ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

# ০৪.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #