চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাঝারি মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে এই ভূমিকম্পনটি অনুভূত হয়। যার রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। গত ২৬, ২৭ ও ২৯ নভেম্বর তিনদিনে তিনদফা ভূমিকম্পের পর গতকাল ৪র্থ বারের মতো চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, মাঝারি আকারের এ কম্পনটি আঘাত হানে বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে। যার স্থায়িত্ব ছিল ৩১ সেকেন্ড। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কেন্দ্র বাংলাদেশ থেকে ৩৫২ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৫৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। তবে এ কম্পনে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় ৪টা ১২ মিনিটে মায়ানমার-ইন্ডিয়া বর্ডারে ৫.৩ মাত্রার মাঝারি আকারের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল ৩১ সেকেন্ড।’ এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, এটি ছিল ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের ফালাম শহরের ১৮ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে। ভূগর্ভের ৫৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এটি উৎপত্তি হয়। এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর রিখটার স্কেল একদিন ৬ দশমিক ১, ২৭ ও ২৯ নভেম্বর ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প চট্টগ্রামে অনুভূত হয়। ভূমিকম্প বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি অনুসারে জানা গিয়েছিল, আগের ৩ বারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও ভারত-মিয়ানমার বর্ডারে। যা মিয়ানমারের চীন রাজ্যের হাখা থেকে ৩৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫৪ কিলোমিটার গভীরে।
# ২১.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #