চলমান সংবাদ

পোর্ট কানেক্টিং রোডের নিম্নমানের কাজ দেখে মেয়রের ক্ষোভ নগরীতে হাসপাতাল নির্মাণে তুরস্ককে প্রস্তাব

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোর্ট কানেক্টিং রোডের উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ফুটপাতের নিম্নমানের কাজ দেখে ক্ষুদ্ধ হন মেয়র। এসময় কাজে অবহেলা বা গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাতুক্তসহ আর্থিক জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মেয়র বলেন, নগরের পোর্ট কানেক্টিং রোডটি দীর্ঘদিন ধরে নানা অবহেলার কারণে বন্দরের মালামাল পরিবহনসহ যাত্রীবাহী যানবাহন ও এলাকাবাসীকে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। নগরবাসীর করের টাকা দিয়ে চসিক নগরীর রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সংস্কার, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের কাজ করে। তাই নগরবাসী হিসেবে নিজেদের এলাকার কাজ মানসম্পন্ন হচ্ছে কি না তা দেখভাল করার দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে। এছাড়া দায়িত্ব পালনের সময় কোন মহল থেকে বাধার সম্মুখীন হলে নগরবাসীকে সরাসরি মেয়রের একান্ত সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এদিকে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সিঅ্যান্ডবি রাস্তার মাথা এলাকায় তুরস্ককে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রতিনিধিদলকে নিয়ে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনকালে মেয়র এই প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত ওই স্থানে চসিক’র প্রায় ১১ একর জায়গা রয়েছে। পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত যেসব হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আছে তাতে নগরবাসী ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনসাধারণ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না। তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য আরো হাসপাতাল প্রয়োজন। চসিক ও তুর্কী ব্যবস্থাপনায় একটি ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মিত হলে নগরবাসীসহ চট্টগ্রামের সকলেরই চিকিৎসাসেবার সংকট অনেকাংশেই ঘুচবে। এজন্য শুধুমাত্র সরকারি সহায়তার দিকে চেয়ে থাকলে হবেনা। তাই চসিক’র উদ্যোগে একটি হাসপাতাল নির্মাণে আমরা তুরস্ককে পাশে চাই। তুর্কী সরকার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করলে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ নগরবাসী সুলভে চিকিৎসাসেবা পাবে বলে আমার ধারণা ।’ তিনি আরও বলেন, বন্দরসহ ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে এই নগরীর গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী ট্যানেল নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি মেট্রোরেল চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নগরীর স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন তা এখনো কাঙ্খিত মাত্রায় করা সম্ভব হয়নি। এসময় তুরস্কস্থ দক্ষিণ আঙ্কারার কোনিয়া সিটি ও বাংলাদেশের অনরারি কনস্যুল ডেনিজ বুলকুর, বাংলাদেশর অনরারি কনস্যুল সালাউদ্দিন কাশেম খান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

# ০৬.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #