চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে

চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার একক সংখ্যায় (সিঙ্গেল ডিজিট) থাকলেও হঠাৎ করে তা ডাবল ডিজিটে চলছে। গত সপ্তাহ থেকেই চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শুক্রবারের প্রতিবেদনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আবারও করোনা শনেক্তের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চট্টগ্রামে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবে ১ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জন মহানগর এলাকার ও ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৪ হাজার ২৬৩ জন এবং উপজেলায় ২৮ হাজার ৩৭০ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে ৭২৩ জন মহানগর এবং ৬০৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১৪টি ল্যাবে ১ হাজার ৬৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নগরের ১৩ জন এবং উপজেলার ৩ জন। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১ শতাংশের কম ছিল। শনাক্তের সংখ্যাও ছিল একক সংখ্যায় কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ১’র বেশি হয়েছে। তাই করোনা ও ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে হলে মাস্ক পরিধানসহ সামজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা জরুরি। জমাসমাগম ঘটে এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা উচিত। যদিও পর্যায়ক্রমে সবাইকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অনেক রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। এদিকে করোনা থেকে সুরক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, শ্রমজীবী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাকলিয়া বাস্তুহারা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে ১ হাজার ৫’শ ও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে আরও ১ হাজারসহ মোট আড়াই হাজার মানুষকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।
# ৩১.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #