বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (২৩)

-বিজন সাহা

গত কয়েক পর্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার বিভিন্ন কারণ নিয়ে আমরা বলেছি। সেখানে চেষ্টা করেছি সেই সব কারণগুলো তুলে ধরার যা সাধারণত মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের পরেও দোকানে সামান্য পণ্যের অনুপস্থিতি আর এসব কীভাবে মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন থাকা সত্বেও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয় সে সম্পর্কে আমরা এসব লেখায় বলেছি। তবে আমার মনে হয় আরও যে বিষয় আমাদের খেয়াল করা দরকার, সেটা রুশ জাতির মানসিকতা। মনে রাখতে হবে এ দেশের প্রকৃতি আমাদের মত যাকে বলে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা নয়। বছরের অধিকাংশ সময়ই এদের বাঁচতে হয় কঠোর প্রকৃতির সাথে জীবন বাজী রেখে লড়াই করে। তাই এটাও এদেশের মানুষের চরিত্রে একটা নির্দিষ্ট ছাপ রেখে যায়।
রুশরা বলে «যতক্ষণ পর্যন্ত না বাজ ডাকছে রুশ জোয়ান ঈশ্বরকে ডাকে না।» কথাটা এভাবে বলা হলেও এর অর্থ হচ্ছে এরা সব কিছু করে শেষ মুহূর্তে যখন আর দেরী করার সময় থাকে না। আরও একটা জনপ্রিয় প্রবাদ হল, «রুশ জোয়ান দীর্ঘ সময় নিয়ে গাড়িতে ঘোড়া জুতে, কিন্তু  প্রচণ্ড বেগে গাড়ি চালায়।» এর অর্থ, যেকোনো কাজ এরা শুরু করে ধীর গতিতে, কিন্তু একবার শুরু করলে সব বাধা অনায়াসে ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যায়। এসব যে কতখানি সত্য তা আমরা জানতে পারি এদের ইতিহাসের দিকে তাকালে  আর এ দেশে দীর্ঘ সময় কাটালে। তাই এদের বুঝতে হলে আমাদের এদের ইতিহাস জানতে হবে। মনে রাখতে হবে এরা মূলত খৃস্টান ধর্মাবলম্বী হলেও এই ধর্ম ক্যাথলিক বা প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম থেকে আলাদা। আসলে এই ধর্মকে কেন্দ্র করেই পশ্চিমা বিশ্বের সাথে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব শুরু। আমরা ক্রুসেড বলতে মূলত খৃস্টানদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধকে বুঝি, কিন্তু ক্যাথলিক আর প্রটেস্ট্যান্টরা একাধিক বার অর্থডক্স রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ম যুদ্ধে নেমেছে। তাই পশ্চিমের সাথে রাশিয়ার এই লড়াই হাজার বছরের। মনে রাখতে হবে খৃস্টান ধর্মে ভাঙ্গন দেখা দেয় রুশ দেশ এ ধর্ম গ্রহণ করার অনেক আগে। রোমের নতুন ভার্সন তৈরি হয় কনস্টান্টিনোপলে যা এখন ইস্তানবুল নামে খ্যাত। তখনও মস্কো ছিল না, ছিল কিয়েভ কেন্দ্রিক রুশ। সেই কিয়েভের রাজা ভ্লাদিমির সভ্যাতোস্লাভিচ ৯৮৮ সালে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন, গ্রহণ করেন কনস্টান্টিনোপল থেকে, যদিও ক্যাথলিক ও ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধিরাও চেষ্টা করেছিল তাঁকে নিজ নিজ ধর্মে দীক্ষিত করতে। তাই যখন সবাই ভেবেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পরে, বিশেষ করে রাশিয়া সমাজতান্ত্রিক আদর্শ থেকে সরে আসার পর এদের সম্পর্ক মেঘমুক্ত হবে সেটা হয়নি, বরং দিন দিন সেটা খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাশিয়া যখনই স্বনির্ভর হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব তখনই বিভিন্ন ভাবে তাকে দমানোর চেষ্টা করেছে। আজও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
পশ্চিমা বিশ্ব  মধ্যযুগের পরে যেসব ধর্মীয় সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে রাশিয়া সেটা যায়নি। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্ম বিশ্বাস বেশ গভীর। সেটা অন্তত রুশ সাহিত্য পড়ে আমরা বুঝতে পারি। আসলে যেকোনো সমাজকে বুঝতে হলে সে সমাজের সাহিত্য পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে তা ইতিহাসের চেয়েও অনেক ভাল ভাবে একটা সমাজকে বুঝতে সাহায্য করে। পুশকিনের ক্যাপ্টেন দুহিতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করে পুগাচেভের বিদ্রোহের কথা, তেমনি তলস্তয়ের যুদ্ধ ও শান্তি পড়ে আমরা জানতে পারি নেপোলিয়নের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের কথা। যদি এ সম্পর্কিত ইতিহাস শুধু যুদ্ধের বর্ণনাই দেয় তবে এই  উপন্যাস সেই সময়ের রুশ সমাজের একটা বাস্তব চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে। তাঁর ফাদার সেরগেই সে সময়ে রুশ চার্চে বিভিন্ন অনিয়মের কথা বলে আর সমাজের উঁচু স্তরের পচন আমরা জানতে পারি পুনর্জন্ম আর আন্না কারেনিনা থেকে। একই কথা বলা যায় দস্তয়েভস্কির বিভিন্ন রচনা সম্পর্কে। তাঁর খেলুড়ে যেমন সেই সময়ের জমিদার শ্রেণির পচনের কথা বলে, তেমনি পসেসড আর টিন এজার জানায় রুশ দেশের বিভিন্ন বিপ্লবী চক্রের সদস্যদের মনমানসিকতা। কী ইডিয়ট, কী কারামাজভ ব্রাদার্স, কী অপরাধ ও শাস্তি সব জায়গায় আমরা দেখি  একদিকে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উন্নাসিকতা, ব্যভিচার, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ আর ধর্মের মধ্যে মুক্তি লাভের প্রচেষ্টা। উল্লেখ করা যেতে পারে যে সেই সময়ের রুশ এলিটদের একটা বিরাট অংশ ফ্রান্স ভাষার কথা বলত। তারা ছিল ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত। এদের অনেকেই মনে করত ইউরোপের এই নতুন আদর্শই রুশ দেশকে জারের স্বৈর শাসন থেকে মুক্ত করতে পারে। অন্যদিকে তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি, চেখভের মত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় লেখকেরা খৃস্টান ধর্মের মধ্যেই রাশিয়ার মুক্তি খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও তলস্তয় রুশ চার্চের সমালোচক ছিলেন, তিনি ধর্মের বিরোধী ছিলেন না। তিনি চার্চে পালিত  ধর্মে বিশ্বাস করতেন না, তাঁর বিশ্বাস ছিল ঈশ্বরের স্বর্গ মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে দস্তয়েভস্কি এক সময় বিপ্লবী গ্রুপের সাথে জড়িত থাকলেও ফাঁসির ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জীবন ফিরে পান জারের দয়ায়। এরপর বার বার তাঁর লেখায় উঠে এসেছে সেই ঘটনা। তিনি বিপ্লবের পথ শুধু ত্যাগই করেননি, এর অন্যতম প্রধান সমালোচক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ইভান কারামাজভের মুখে «যা নিষিদ্ধ নয় তা অনুমোদিত» বলালেও ছোট ভাই আলিওশার মাধ্যমে তিনি বার বার ধর্মের মধ্যে মুক্তির পথ খুঁজতে আহ্বান জানান। একই ঘটনা আমরা দেখি চেখবের বিভিন্ন লেখায়। আর সাধারণ মানুষের কাছে এই পথটাই ছিল অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। তারা বরাবরই জারকে তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে দেখে এসেছে। জার ছিলেন রুশ চার্চের প্রধান, তাই এক অর্থে পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিনিধি। তাই তাদের কাছে জার আর ঈশ্বর মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছিল। সেই মনোভাব যে সোভিয়েত আমলেও বিদ্যমান ছিল তার প্রমাণ আমরা পাই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়, যখন গির্জার ডাকে সাধারণ মানুষ রেড আর্মির সাথে যুদ্ধে যোগ দেয় পিতৃভূমিকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে। শোনা যায় এদের অনেকেই তখন যীশু আর স্তালিনের ছবি হাতে যুদ্ধে যেত। অনেকের পকেটে পাওয়া যেত ক্রেস্ট। সাম্যবাদে বিশ্বাসী ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী এই সাধারণ মানুষের যৌথ ও অভূতপূর্ব আত্মত্যাগই ফ্যাসিবাদের পরাজয় ডেকে আনে। মনে রাখতে হবে লেনিন নিজেই তলস্তয়কে রুশ বিপ্লবের আয়না বলে অভিহিত করেছিলেন। একথা শুধু তলস্তয় নয় দস্তয়েভস্কিসহ অন্যান্য অনেক লেখকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একইভাবে আমাদের দেশের সামাজিক ইতিহাস জানতে হলে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমসহ অন্যান্য অনেক লেখকের লেখা পড়া দরকার, যেমন দরকার দেশভাগের সেই মর্মান্তিক কাহিনী জানতে নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, প্রেম নেই, আগুন পাখি ইত্যাদি বিভিন্ন  উপন্যাস পড়া।  আর এ কারণেই স্কুলে এসব বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ইতিহাস সব কিছুর পরেও বিজয়ীরা লেখে বলে অনেক ক্ষেত্রেই একপেশে, কিন্তু লেখক সেই দায় থেকে অনেকটাই মুক্ত বিধায় উপন্যাসের মধ্য দিয়ে সামাজিক তথা রাজনৈতিক ইতিহাসের অপেক্ষাকৃত বাস্তব চিত্র আঁকতে পারেন। প্রশ্ন আসতে পারে এসব লেখা কীভাবে দেশের শাসকদের সাহায্য করবে? মনে রাখা করকার যে সেই জারের আমলেও সভাকবি মানে যারা জারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাদের যেমন অভাব ছিল না, তেমনি অভাব ছিল না সেই সব বিপ্লবী নিহিলিস্টদের যারা সব কিছুতেই খারাপটাই দেখেছে। সেদিক থেকে তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি বা চেখভকে কেউ জারের প্রিয় পাত্র বলতে পারবে না। রবীন্দ্রনাথ যেমন জালিওয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করতে দ্বিধা করেননি, তেমনি সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে এই যুক্তিতে বিদেশী পণ্য বর্জনের গান্ধীর আহ্বানের বিরোধিতা করেছিলেন। এদের কাছে সরকারি বা বিরোধী দল নয়, মানুষ, মানুষের স্বার্থ সবার উপরে। তাই তো দেশের সত্যিকারের অবস্থা জানতে হলে দলনিরপেক্ষ মানুষের মতামত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। সোভিয়েত ইউনিয়নে যারাই সমাজতন্ত্রের সমালোচনা করতেন এমনকি সেটা সঠিক সমালোচনা হলেও তাদের রাজ রোষে পড়তে হত। আমাদের দেশগুলোতেও অবস্থা ব্যতিক্রমী বলে মনে হয় না। আর সেজন্যেই বাম সহ যেসব রাজনৈতিক দল দেশের মানুষের মঙ্গল চায় এদিকটা তাদের বিশেষ ভাবে বিবেচনায় আনা দরকার।

যারা বিশ্বাস করেন তাদের ঈশ্বর সর্বভূতে বিদ্যমান, তারা নিজেরাই তাঁকে উপাসনালয়ে বন্দী করে উপাসনা করে। যারা বিশ্বাস করে না তারাও বিশ্বাস করে অস্তিত্বহীন ঈশ্বর ওখানেই বন্দী। আর তাই মানুষকে ধর্মের আফিমের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথমে উপাসনালয় ধ্বংস করে বা সেসব গুদামে পরিণত করে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বিশ্বাসীদের কাছে ঈশ্বর সর্বভূতে বিদ্যমান হন, ঈশ্বর গির্জা থেকে বেরিয়ে তাদের অন্তরে প্রবেশ করেন। আর হয়তো এ কারণেই সত্তর বছরের ঈশ্বরহীনতার পরেও রাশিয়ায় ঈশ্বর ভক্তি বেঁচে থাকে। আসলে ডিক্রি জারি করে মানুষকে প্রকাশ্য কোন কিছু করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়, তাকে তার বিশ্বাস থেকে সরানো যায় না। যায় যে না, সেটা বোঝার জন্য খুব দূরে যাওয়ার দরকার নেই। দেশে দেশে বিভিন্ন সময়ে কমিউনিস্ট আইডোলোজি ও কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার পরেও আত্মগোপনে গিয়ে পার্টির কাজকর্ম চলেছে আর সাম্যবাদের আদর্শ তার কর্মীরা নিজেদের জীবনে ঠিকই ধারণ করেছে নিজেদের কাজকর্মে, চলনে বলনে। যদি প্রগতিশীলদের আইন করে দাবিয়ে না রাখা যায়, যারা ধর্মে বিশ্বাসী তাদেরকে কেন দাবিয়ে রাখা যাবে। তাই আইন করে নয়, অস্বীকার করে নয়, শুধুমাত্র শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করেই তাদের ধর্মের বিপদ সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তবে ধর্ম বলতে আমি যতটা না প্রথাগত ধর্ম বুঝি তার চেয়ে বেশি করে বুঝি যেকোনো বিষয়েই অন্ধবিশ্বাস।  এখানে উল্লেখ করা দরকার যে জারের রাশিয়ার বলশেভিক পার্টি নিষিদ্ধ ছিল, লেনিন নিজেও বন্দী ছিলেন, তাই নিষেধাজ্ঞা জারি করে যে কোন কিছু বন্ধ করা যায় না সেটা তাঁর অজানা ছিল না। আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী মানব সভ্যতার শুরুই হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা জারি এবং আদম আর ইভের ঈশ্বরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার মধ্য দিয়ে। তাই বলতে পারেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেমন ক্ষমতাসীনদের জন্মগত অভ্যাস, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করাও তেমনি মানব জাতির রক্তের মধ্যে। শুধুমাত্র উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমেই  মানুষকে সামাজিক ভাবে খারাপ কাজ বিরত করার চেষ্টা করা যায়।

তাই অনেক কিছুর সাথে সাথে রুশ দেশের মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রুশ দেশের ভাঙ্গনে অবদান রেখেছে। তবে সেটা যতটা না তাদের জোর করে নাস্তিক বানানোর মধ্য দিয়ে, তার চেয়ে বেশি করে তাদের আরও বেশি করে ধার্মিক হওয়ার মধ্য দিয়ে। তবে সেটা প্রথাগত ধর্ম নয়, অন্য ধর্ম। সে সম্পর্কে আগামীতে বিস্তারিত লিখব। আর এখানে আবারও বলব, সামাজিক বিপ্লব করতে হলে, সমাজকে বদলাতে হলে বিপ্লবী সাহিত্য মানে মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের সাথে সাথে দেশীয় সাহিত্য পড়তে হবে। গোর্কির মা বা অস্ত্রভস্কির ইস্পাত আমাদের সমাজের একটা দিক শুধু উন্মোচন করে, বাকি দিকগুলো না জানা থাকলে এবং সেই জ্ঞানের ভিত্তিতে সঠিক প্রস্তুতি না থাকলে এমনকি সফল বিপ্লবও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই ইঙ্গিতই দেয়।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো