চলমান সংবাদ

নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না চিনি-তেল সরবরাহ বাড়ায় কমছে সবজির দাম

সরকার নির্ধারিত দামে চট্টগ্রামের কোথাও বিক্রি হচ্ছে না চিনি। নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে এই পণ্য। ভোজ্যতেলের দাম চড়া। এদিকে সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) নগরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। আর সব ধরনের প্যাকেটজাত চিনির নির্ধারিত দর ৭৫ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক সুবিধা দিয়েছেন। সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। তাহলে এত বৈঠক আর শুল্ক সুবিধা দিয়ে লাভ কি? সাধারণ মানুষ তো এর কোন সুফল পাচ্ছে না। রিয়াজউদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে খোলা চিনি কিনে আনার পর আমাদেরও পরিবহন খরচ যোগ করতে হয়। সে হিসেবে ৭৯/৮০ টাকায় চিনি না বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে। আর প্যাকেটজাত চিনি তো কোম্পানির বেঁধে দেয়া দরেই বিক্রি করতে হয়। এদিকে বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬০ টাকা, খোলা পাম অয়েল ১৩৫ টাকা এবং পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। বাজারে শিম ৪০ থেকে ৪৫, ফুলকপি ৪০, পটল ৪০ টাকা, মূলা ৩৮ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২২০ টাকা, শিং ও টাকি মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, চিংড়ি ৬শ ও এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ কেজিতে ১২শ থেকে ১৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়েনি। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালী ২৯০ থেকে ৩শ’ আর লেয়ার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
# ০৪.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #