চলমান সংবাদ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক জেলারের বিরুদ্ধে দুদক’র মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার মো. সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও এনেছে দুদক। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দুদক’র প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট ভৈরব রেলস্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় তার কাছ থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং তার নিজ নামে ১ কোটি টাকা, স্ত্রী হোসনে আরার নামে ১ কোটি এবং শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকাসহ মোট আড়াই কোটি টাকার এফডিআর রশিদ এবং ব্র্যাক, প্রাইম, মার্কেন্টাইল ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের আলাদা হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মার্কেন্টাইল, দ্য সিটি, সাউথইস্ট ও সোনালী ব্যাংকের ১০ পাতার খালি চেক বই পাওয়া যায়। পাশাপাশি তার কাছ থেকে ১২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর বরখাস্ত হওয়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। তার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পদ বিবরণীতে সোহেল রানা ২ কোটি ৬৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৫ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। কিন্তু দাখিল করা সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানে তার নেমে ৩ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ১২৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৯ টাকার স্থাবর এবং ২ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এ হিসেবে তিনি সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ১২৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু সোহেল রানার আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ৯১ লাখ ৪১ হাজার ৮৯০ টাকা ৩৫ পয়সা। এ হিসাবে বৈধ আয়ের চেয়ে তার অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকা ৬৫ পয়সা বেশি। জ্ঞাত আয়বর্হিভূত এই সম্পদ তিনি ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
# ২৯.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #