চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত-মৃত্যু শূন্যদিন

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত শুরুর পর থেকে গত ২০ মাসে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম জেলায় এক দিনে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সাতটি ল্যাবে ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও মধ্যে কোভিড শনাক্ত হয়নি। নতুন করে কেউ করোনায় মারাও যাননি। গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় প্রথম করোনার কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। সরকারি হিসেব অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত মোট এক লাখ দুই হাজার ৩৫০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৪ হাজার ৫০ জন এবং উপজেলায় ২৮ হাজার ৩০০ জন। করোনা শনাক্তদের মধ্যে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে ৭২৩ জন মহানগর এবং ৬০৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিরূপণ) ডা. নুরুল হায়দার বলেন, চট্টগ্রাম করোনাভাইরাসমুক্ত একটা দিন পার করল। সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমছিল। গত কয়েকদিন ধরে কয়েকজন করে শনাক্ত হচ্ছিল। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে এটা ধরে রাখতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে চট্টগ্রামে নিবন্ধনের সুযোগবঞ্চিত বিশেষ জনগোষ্ঠী তৃতীয় লিঙ্গের ৩০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন পেয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন তাদের কেউ কেউ, আবার কেউ আবেগাক্রান্তও হয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের এই তিনশ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া শেষে বেদে সম্প্রদায়ের ১৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় নগরীর আন্দরকিল্লায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হল রুমে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর নাগরিকদের অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান বলেন, ‘নিবন্ধন ও গণটিকা কার্যক্রমের বাইরে ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনো কর্মসূচি আমাদের ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রোববার থেকে বস্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি। সোমবার থেকে আমরা বিশেষ জনগোষ্ঠী যাদের নিবন্ধনের সুযোগ নেই, তাদের ভ্যাকসিন দিয়েছি। তৃতীয় লিঙ্গের ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। যদি কউ বাদ থাকে, তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
# ২২.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #