চলমান সংবাদ

জাইকা চসিকের অনেক উন্নয়নকাজে সহযাত্রী: মেয়র রেজাউল

বর্জ্য অপসারণ ও বর্জ্যকে শক্তিতে পরিণত করতে উন্নয়নের সহযাত্রী ও সহায়তাকারী সংস্থা জাইকার অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা একটি দৃষ্টান্তমূলক শুভ উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) টাইগারপাসে মেয়রের দফতরে জাইকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প কর্তৃক চসিককে ৩৫টি প্রোটোটাইপ রিকশাভ্যান ও দু’টি ওয়ার্ড কনজারভেন্সি অফিস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাইকা চসিকের অনেক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে নগরের বেশ কয়েকটি সড়ক উন্নয়নে সংস্থাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। চসিকের জায়গায় ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের রেলস্টেশন ও ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের বক্স আলী সড়কে জাইকা’র অর্থায়নে অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে ২টি কনজারভেন্সি সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। এর ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হবার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে। মেয়র জাইকা প্রতিনিধিদলকে চসিকের পক্ষ থেকে একটি চাহিদাপত্র দেন। এতে বলা হয় চসিকের মাস্টারপ্ল্যান (২০২১-৫০) অনুযায়ী প্রয়োগ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই নগর সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নগরের সাধারণ বর্জ্যের পাশাপাশি মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণে জোর দিয়ে ভূমিতে বর্জ্য মজুদ যাতে পরিবেশ হানিকর না হয় সেক্ষেত্রেও পদক্ষেপ প্রয়োজন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আইসিটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে কম্প্যাক্টর ট্রাক জাইকা গ্রান্ট এইড-২০১৮ অনুযায়ী আছে। এতে আরো ১০০টি প্রোটোটাইপ রিকশাভ্যান ইউনিট প্রয়োজন এবং ১০টি ওয়ার্ডে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অফিস (এসডাব্লিউএম) স্থাপন করতে হবে। জাইকা প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন সাড়া বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এ অভিযাত্রায় জাপানও সহায়ক সহযাত্রী। বিদ্যমান উন্নয়নের ধারাকে অধিকতর গতিশীল রাখতে জাইকা যে উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করেছে তা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনলে আমরা পরিতৃপ্ত হবো। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ুদূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি আর বা রি-সাইকেল, রি-ডিউস ও রি-ইউজ এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ সাহেকি তাকেশি, রিপ্রেজেন্টেটিভ ডাইকি মাতসুমোতো, এসডব্লিউএম প্রজেক্টের টিম লিডার মাসহিরো সাইতো, জাইকার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. আব্দুল্লাহ বিন হোসাইন, এসডব্লিউএমর ন্যাশনাল টিম লিডার মো. রোকনুজ্জামান, ডেপুটি টিম লিডার গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।

# ১১.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #