শিল্প সাহিত্য

দাগ

– লীলাবতী

সুদীর্ঘ  নাসিকার স্তম্ভ পৃথক করে দিয়েছে দুটি চোয়ালের সমভূমি,
কালো ফিঙে দিয়েছে একরাশ অন্ধকার,
মাড়ানো শস্যক্ষেতের প্রহরী  হয়ে জেগে আছে কাঁটাতার,
জোড়া জোড়া পাথরচুড়ায় ভরেছে চারপাশ,
বর্ষায় প্রাণ পেয়েছে লাজুক লজ্জাবতী,
রাত ভর যেখানে জাবর কাটে দুগ্ধবতী গাভী,
তাপদাহে ইক্ষু রস শোষণ  করে গারোপাহাড়ের নারী,
এটি কোনো সদ্য স্বাধীন  রাস্ট্রের চিত্র  নয়,
নয় কোনো মহামানবের প্রতিকৃতি,
বরং একজন প্রেমিকের শ্বশ্রূ  আবৃত অবয়ব,
একজন নারীর  বিশেষ  উপলব্ধি।
প্রকৃতিভেদে কিছু ঘর্ষণ  ভয়াবহ  সুন্দর,
যে ঘর্ষণ  রক্ত জবার লালকে হার মানাতে পারে,
ছিড়ে ফেলতে  পারে মুক্তোখচিত হার,
গ্রীবাদেশে রেখে যেতে পারে শতাব্দীর  কলংকিত  চিত্র ,
স্নানের ঘরের আরশী তখন  নারীকে হেসে দেখায় তার যাপিত রাত্রির  সমস্ত  স্পষ্ট  দাগ..