চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই করোনার টিকা প্রদানের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী নিবন্ধন ছাড়া নিজ এলাকায় ২ হাজার টিকা দেয়ার ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেয়ার তথ্য নিশ্চিত কওের কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন আসিফ খান জানান, ৩ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আরও ৩৫ পৃষ্ঠাসহ মোট ৩৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে এর বেশি কিছু জানাতে চাননি তিনি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) রবিউল হোসেন। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো সার্জারি) অজয় দাশ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) নুরুল হায়দার। নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে টিকা দেয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হয়েছে বলে কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘কারও অনুমতি না নিয়ে টিকা প্রয়োগ করেন রবিউল। ওই এলাকায় ২ দিনে মোট ২ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেয়ার তথ্য পেয়েছে কমিটি। টিকাগ্রহীতাদের সম্মতিপত্র আমরা পেয়েছি।’ এই ব্যাপারে তদন্ত কমিটির ওই সদস্য বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে টিকা দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কার নির্দেশে টিকা দিয়েছে এ ব্যাপারে রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’ গত ৩০ ও ৩১ জুলাই পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী এলাকায় নিবন্ধন ছাড়াই প্রায় ২ হাজার ৬০০ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটে। শোভনদন্ডীর আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয় ও শোভনদন্ডী ডিগ্রি কলেজে স্থানীয় মানুষকে জড়ো করে এসব টিকা দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও নিজের অগোচরে এসব টিকা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ। এ ঘটনায় শনিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর। তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রবিউল হোসেনের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
# ০৩.০৮.২০২১ চট্টগ্রাম #