চলমান সংবাদ

মা-ছেলে-ভাইয়ের সম্পর্ক পাতিয়ে ইয়াবার কারবার

মা-ছেলে একসাথে ইয়াবা বিক্রি করতেন। নিজের ছেলে জেলে যাওয়ায় ইয়াবা বিক্রির কাজে সুমন নামে একজনের সাথে মা-ছেলের সম্পর্ক পাতায়। এছাড়া যার কাছ থেকে ইয়াবা কিনতেন তাকে বানিয়েছেন ধর্মের ভাই! তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মা-ছেলে সম্পর্ক পাতানো দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্মের ভাই ডাকা মাদক ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মো. সুমন (৩০), সাহেরা বেগম (৬০) এবং মো. আবুল কাশেম ওরফে ভোলা (৪৩)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সাহেরা খাতুন খুবই ধূর্ত। তিনি তার ছেলের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করতেন। তার ছেলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা থাকায় তাকে জেলে যেতে হয়। এতে মা সাহেরার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে সুমনের সাথে মা-ছেলের সম্পর্ক পাতায়! শুধুমাত্র ইয়াবা বিক্রির জন্যই সুমনকে ছেলে মানেন সাহেরা! সম্পর্ক পাতানো শুধু সুমনের সাথেই সীমিত থাকেনি; যার কাছ থেকে ইয়াবা কিনেন, সেই আবুল কাশেম ওরফে ভোলাকেও বানিয়েছেন ধর্মের ভাই! আর এই ভাই ডাকার সুবাদে ইয়াবা কেনার সময় বিশেষ ছাড়ও পেতেন সাহেরা। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটের বিপরীতে তরিকত মঞ্জিলের ২য় তলায় অভিযান চালিয়ে সাহেরা এবং সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সাহেরা খাতুনের ঘরে হলুদের কৌটায় বিশেষ কৌশলে রাখা ৭৫ পিস এবং সুমনের পকেট থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে সাহেরার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চৌমুহনী ছাড়িয়াপাড়া বরফকলের শাহাজাহানের ভাড়ার ঘর থেকে আবুল কাশেম ভোলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকেও ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাহেরার বিরুদ্ধে এরআগে আরও একটি এবং ভোলার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
# ২৮.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #