চলমান সংবাদ

বন্ধ পাটকল চালু, বকেয়া পরিশোধের দাবিতে চট্টগ্রামে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

বন্ধ পাটকল পুনরায় চালুসহ বকেয়া পরিশোধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পাটকল শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমিন জুট মিলের গেটের সামনে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক অংশ নেন। এসময় তারা বিভিন্ন দাবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিকরা বলেন, বিশ্বব্যাপী ও দেশের বাজারে পাটের বহুমুখী চাহিদা থাকায় সরকারি উদ্যোগে পাটগুলো লাভজনক করা সম্ভব। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর আইন করেছিল সরকার। আইনে চাল, ডালসহ ১৮টি পণ্যের মোড়ক যেন পাটের মোড়ক হয়, সেই নির্দেশনা কেউ মানছে না। এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশের বাজারে পাটের চাহিদা বেড়ে যাবে। আধুনিকায়ন করার কথা বলে বন্ধ করে দেওয়া পাটকল এখনো চালু করা হয়নি। দীর্ঘদিন পাটকল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়া বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকদের অনেকে অর্থকষ্টে আছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আমির আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং বদলি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মোহাম্মদ তানসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি রাজা মিয়া, সাম্যবাদী আন্দোলনের সত্যজিৎ বিশ্বাস, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যের সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক শাহ মোহাম্মদ শিহাব, বদলি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বেলাল হোসেন, শ্রমিক নেতা মো. হানিফ, আনোয়ার হোসেন, সুমি আক্তার, রহিমা বেগমসহ আরও অনেকে। নেতৃবৃন্দ বলেন, কি কারণে, কাদের দোষে প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানি হলো তা বের করার জন্য সরকারকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার বন্ধের সময় ঘোষণা করেছিল, আধুনিকায়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাটকল চালু করা হবে। নানা মাধ্যমে জানা গেছে, পাটকলগুলো ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে মিলগুলো বেসরকারি মালিকদের লুন্ঠনের জায়গায় পরিণত হবে। তাই বেসরকারিকরণ নয় বরং দেশের বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে সুষ্ঠুনীতি প্রণয়ন করে পাটকল চালু করতে হবে। এর আগে গত বছরের ৩০ মে সরকারি এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বেকার হয়ে যায় পাটকলের প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক। ওই সময় শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ এবং মিলগুলোর আধুনিকায়ন করে দুইমাসের মধ্যে পুনরায় চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন পাটমন্ত্রী। কিন্তু এখ নপর্যন্ত পাটকলগুলো চালু করা হয়নি। পাটকল শ্রমিকরা এখনো পাওনা টাকা পাননি। #২৪.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #