চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে

-বিভাগীয় কমিশনার

পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে নবনিযুক্ত বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান। এনিয়ে সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সরকারকে একটি প্রস্তবনাও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে নগরীর বাটালি হিল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড় ধসে প্রাণহানি প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা হবে এবং একইসাথে কিভাবে পরিবেশ বাঁচানো যায় এবং কিভাবে পাহাড় রক্ষা করা যায় তা নিয়েও সকল স্টেইকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বারবার যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সরকারকে একটি প্রস্তবনা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অনেকগুলো পাহাড় নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। যেহেতু বিষয়গুলি বিচারধীন তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে আদালত যে নির্দেশনা দিবে, সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসময় তিনি পাহাড়ে ঝুঁঁকিপূর্ণদের সরিয়ে নিতে জেলাপ্রশাসনের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পাহাড়ের গা ঘেঁষে কিংবা পাহাড় কেটে বসতি গড়ে উঠেছে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে আড়াই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানির পর টেকনিক্যাল কমিটি যে ৩৭ দফা সুপারিশ করেছিল সেগুলো আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ের চেষ্টায়ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিমুক্ত করা যায়নি পাহাড়গুলো। # ০৮.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #