আসন্ন বাজেটে যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দের দাবি
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের ন্যায্য হিস্যা, বাজেট প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তি এবং সকল যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দের দাবিতে বিগত ৩১ মে ২০২১ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্ সহযোগি জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুব নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রায় সব খাতেই সাধারণ শ্রমিকদের আয় কমে গেছে।
এমন অবস্থায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রণীত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এবং নীতি নিধারণে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মতামত ও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। তাছাড়া বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীতে শ্রমজীবীদের কর্মহীনতার কারনে অব্যাহত দারিদ্রতা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে শ্রমনির্ভর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তি না থাকা, সর্বোপরি শ্রমজীবীদের নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও বাজেট বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের ঘোষণা কোনভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
সরকার প্রতিবছর বাজেটের আগে ব্যবসায়ী মহলসহ এফবিসিসিআই, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিভিন্ন চেম্বার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে। ব্যবসায়ী ও মালিকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দেশের উৎপাদন এবং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি শ্রমিক-কর্মচারীদের কোনো মতামত গ্রহণ করা হয় না। তাই আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ ও মতামত গ্রহণ, শ্রমজীবীদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ এবং কর্মক্ষম যুব শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কেবল প্রবৃদ্ধি নির্ভর নয়, কর্মসংস্থান তৈরীর উপযোগী বাজেটে প্রণয়ন, কোভিড অতিমারীতে বিদ্যমান টিকা কার্যক্রমে শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার প্রদান, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো এবং প্রদেয় অর্থের পরিমান বৃদ্ধি করা এবং নারী শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এম ফয়েজ হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক – রফিকুল ইসলাম ও যুব সম্পাদক- মোঃ খোরশেদ আলম, বিলস -নির্বাহী সদস্য নাসরিন আক্তার দিনা, পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ প্রমুখ।
এছাড়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এবং জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন যুব ও নারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।