চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে

 চট্টগ্রামে চারমাসের বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলে বছরের শুরু থেকে সংক্রমণ আবারো বাড়ছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) প্রতিবেদনে, চট্টগ্রাম নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮২ জনের। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত দুই মাসে করোনা শনাক্তের হার প্রায় সময় ১ শতাংশের নিচে থাকলেও বর্তমানে পাঁচের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে একদিনে শনাক্ত সংখ্যা ১০ এর আশেপাশে ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শনাক্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা, সামাজিক দুরত্বের বালাই না থাকায় চট্টগ্রামে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের ১২টি ল্যাবে ১ হাজার ৮৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৭৪ জন নগরের বাসিন্দা। বাকি আট জনের মধ্যে একজন আনোয়ারা, একজন পটিয়া, একজন বোয়ালখালীতে, দুজন হাটহাজারী, দুজন মিরসরাই ও এক জন সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৯০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ৫০৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ৪০০ জন উপজেলার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন নগরের, বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের। চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সিভিল সার্জন মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান বাবুল বলেন, দৈনিক শনাক্তের হার বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে। মাস্ক পড়ার পাশাপাশি আমাদের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ওমিক্রমণ খুব বেশি সংক্রামক। তাই অবশ্যই এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে চট্টগ্রামবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো এখন পরিহার করা উচিত। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১ শতাংশের কম ছিল। শনাক্তের সংখ্যাও ছিল একক সংখ্যায় কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ৪’র বেশি হয়েছে। তাই করোনা ও ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে হলে মাস্ক পরিধানসহ সামজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা জরুরি। স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য নিজেকে আগে সুরক্ষিত রাখতে হবে। মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুরক্ষিত থাকলে পরিবার ও সমাজ সুরক্ষিত থাকবে। এ বিষয়ে অবহেলা করলে পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে না। জমাসমাগম ঘটে এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা উচিত। বয়স্ক ও শিশুদের জ্বর সর্দি ও শ্বাসকষ্ট হলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

# ০৭.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #