বিজন ভাবনা

বিজন ভাবনা (১৭):আজ যত যুদ্ধবাজ

-বিজন সাহা  

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। এই যুদ্ধ কি আদৌ শেষ হবে? হলে কবে হবে? এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নেবে না তো? রাশিয়া কি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে? এসব প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে আমেরিকার উপর। কারণ যুদ্ধ শুরু তাদের প্ররোচনায়। শেষ হবে তাদের হাতেই। অনেকের ধারণা রাশিয়া শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকা যদি রাশিয়াকে বাধ্য করে? কেউ কি ভেবেছিল রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করবে? না ভাবেনি। কিন্তু রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করেছে। কারণ ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে পশ্চিমের উস্কানিতে। রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হলে সে বাধ্য হয় ক্রিমিয়া দখল করতে। পরবর্তীতে দনবাস দখল ও যুদ্ধ। সেটাও কি কেউ ভেবেছিল? ভাবেনি। আর তাই বারবার রাশিয়াকে উস্কানি দিয়েছে। রাশিয়া বাধ্য হয়েছে ইউক্রেন আক্রমণ করতে। হিসেবটা ছিল তাহলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশটাকে নাই করে দেয়া যেমনটা ধ্বংস করেছিল আফগান যুদ্ধে জড়িয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেটা হয়নি। উল্টো ইউরোপের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। যদি রাশিয়া এসব করতে পারে তাহলে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে সে কেন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না? কোন যুক্তিতে? এখানে একটি বিষয় কাজ করতে পারে – তা হল আমেরিকার অবস্থান। মানে আমেরিকা যদি ইউরোপের পক্ষে যুদ্ধে নামে তাহলে রাশিয়ার পক্ষে কঠিন হবে ইউরোপ আক্রমণ করা। কিন্তু আমেরিকা কি শেষ পর্যন্ত ইউরোপের সাথে থাকবে? অনেকেই ভাবতে পারে যে ন্যাটোর কোন দেশের উপর আক্রমণ হলে পঞ্চম ধারা অনুযায়ী আমেরিকা রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করতে বাধ্য। কিন্তু ইউরোপ বা ন্যাটোর কোন দেশ যদি গায়ে পড়ে যুদ্ধ শুরু করে? তুরস্ক যখন সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান ভূপতিত করে ও দুই দেশ যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়ায় তখন কিন্তু ন্যাটো বলেছিল – এটা তোমার সমস্যা। তাহলে আমেরিকা কেন ইউরোপকে একই কথা বলতে পারবে না?

কথিত আছে যে ক্যারিবিয়ান ক্রাইসিসের সময় পেন্টাগন সোভিয়েত ইউনিয়নের শতাধিক শহর ধ্বংস করার প্ল্যান করেছিল পারমাণবিক বোমা ফেলে। প্রেসিডেন্ট কেনেডি সেনাপতিদের জিজ্ঞেস করেন তারা কি সেই গ্যারান্টি দিতে পারে যে একটি সোভিয়েত বোমাও আমেরিকার মাটিতে পড়বে না। সেই গ্যারান্টি তারা দিতে পারেনি। কেনেডি খ্রুশেভের সাথে সমঝোতা করেন। এটা সেই সময় যখন আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র ভান্ডার সোভিয়েত ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি সমৃদ্ধ ছিল। সত্তরের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক অস্ত্র আমেরিকাকে পরাজিত করার মত ছিল না তবে সে এমন ক্ষতি করতে সক্ষম ছিল যার আঘাত আমেরিকা কাটিয়ে উঠতে পারবে না। সেটাই ছিল নিয়ন্ত্রক। এই মুহূর্তে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রে বিশেষ করে সেই অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানার প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে। তাই আমেরিকা কেন নিজের উপর আঘাত আসতে পারে সেরকম রিস্ক নেবে। কারণ আমেরিকা জানে ইউরোপ যদি যুদ্ধ শুরু করে তাহলে রাশিয়া তাকে ছেড়ে দেবে না যতক্ষণ সে নিজে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই যে ট্রাম্প বারবার বলছেন এটা ইউরোপের যুদ্ধ, আমেরিকার নয় – এটাও সেই ভয় থেকেই। পসেডন রাশিয়ার নৌ বহরে যুক্ত হবার পরে সমীকরণ পাল্টে গেছে। পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই মূল প্রশ্ন ছিল কীভাবে সেটা শত্রুর দেশে পর্যন্ত পৌঁছানো যায়? কারণ বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা অনেক সহজ। তখন আন্দ্রেই সাখারভ, যিনি পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, প্রস্তাব দেন টরপেডো বা সাবমেরিন ব্যবহার করে সেই সমস্যা সামাধান করার। কিন্তু সেই সময় উপযুক্ত প্রযুক্তি ছিল না। প্রায় ৭০ বছর পরে আজ পসেডনের মাধ্যমে আসলে সাখারভের পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়া হচ্ছে। একই ভাবে বলা চলে বুরেভেস্তনিকের কথা যা ভূপৃষ্ঠের মাত্র কয়েক মিটার উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে রাডারকে ফাঁকি দিয়ে। তাই বর্তমানে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকার দুর্বলতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আগে যদি আমেরিকা প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে রক্ষা কবচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারত এখন সেটা নেই। আর রাশিয়ার হাতে নতুন অস্ত্র আসার পরে আমেরিকার নৌবহর আজ পারতপক্ষে অকেজো, উপকূলের শহরগুলো অরক্ষিত।

ইরাক, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখব আমেরিকা কখনোই তার মিত্রদের জন্য নিজে ক্ষতি স্বীকার করে না। অবস্থা বেগতিক দেখলে সরে পড়ে। ইউরোপ আমেরিকার জন্য একান্তই বাজার আর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করার জন্য বা রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্র। আজ ইউরোপ যেমন ইউক্রেনকে শিখণ্ডী করে রাশিয়ার সাথে প্রক্সি যুদ্ধ করছে, আমেরিকা ঠিক সেভাবেই ইউরোপকে সামনে রেখে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করছে বা করবে। কিন্তু যে মুহূর্তে নিজের দেশ যুদ্ধক্ষেত্র হবার সম্ভাবনা দেখা দেবে সে তখন চুপ করে সরে পড়বে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে দুটো ধারণা আছে। কোন মানুষ বা সংগঠন বা দেশের কোন লক্ষ্য থাকে আর সেই লক্ষ্য অর্জনের পেছনে থাকে উদ্দেশ্য। দুই জনের লক্ষ্য এক হতে পারে তবে উদ্দেশ্য যে এক হবে আর কোন মানে নেই। এই যেমন ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতি। ট্রাম্প ও পুতিন উভয়েই চান এই যুদ্ধের অবসান। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চান ভবিষ্যত শান্তিতে নোবেল পাবার ক্ষেত্রে তাঁর কেস আরও জোরদার করতে। ইউরোপ ও জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি চায় এই সুযোগে নতুন যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে যেমনটা করেছিল মিনস্ক চুক্তির আড়ালে। পুতিন চান ইউক্রেন সমস্যার স্থায়ী না হলেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান যা বহু বছরের জন্য রাশিয়াকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয় শান্তি সুদূরপরাহত। ইউরোপ চাইছে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। তারা কোন মতেই পরাজয় মানতে রাজি নয়। যদিও মনে হতে পারে যে এটা শুধুই সেখানকার এলিটদের ব্যাপার, কিন্তু আমার সেটা মনে হয় না। দীর্ঘ প্রোপ্যাগান্ডার কারণে সমস্ত ইউরোপে এখন এন্টিরুশ মনোভাব খুবই জোরালো। সত্য মিথ্যা বিভিন্ন ভাবে রুশ দেশ বিশেষ করে ভ্লাদিমির পুতিনের এমন এক ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে সেসব দেশে যে এলিট শ্রেণী চাইলেও সহজে ব্যাক গিয়ারে আসতে পারবে না। এটা অনেকটা আমাদের সব দেশের এন্টিইন্ডিয়ান বা এন্টিপাকিস্তানি মনোভাবের মত। প্রথমে এলিট শ্রেণী নিজেদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার জন্য শত্রু তৈরি করে, পরে সেই প্রোপ্যাগান্ডা এমন এক আঁকার ধারণ করে যে শাসক শ্রেণী চাইলেও সত্যটা প্রকাশ করতে পারে না, জনতার আবেগে তাদেরও ভাসতে হয়। তাছাড়া ইউরোপের অন্য কোন উপায় আছে বলেও মনে হয় না। তাদের উন্নতির মূলে ছিল উপনিবেশের অঢেল সম্পদ। সেটা হারিয়ে তারা এখন অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে। বিগত অর্ধ শতাব্দী যাবত তাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি ছিল রাশিয়ার অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের তেল গ্যাস। এই বাজার দখলের কৌশলগত লড়াইয়ে তারা আমেরিকার কাজে নতজানু হতে বাধ্য হয়েছে। আমেরিকা থেকে তেল গ্যাস কিনে তারা আর বাজারে টিকতে পারছে না। তাই চাইছে রাশিয়ার সম্পদে ভাগ বসাতে। এটা তাদের জন্যেও এক ধরণের জীবন মরণ প্রশ্ন। অন্যদিকে আমেরিকা ঋণে জর্জরিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতি যেমন এক সময়ে দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব রপ্তানি করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, দেশে দেশে সরকার বদল ও গণতন্ত্র রপ্তানি করতে গিয়ে আমেরিকার অর্থনীতির আজ নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ঋণ এখন প্রায় ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। সেদেশ এখন টিকে আছে গায়ের জোরে মানে সামরিক শক্তি আর ডলারের উপর ভিত্তি করে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ডলার বাজারে মন্দা চলছে, একের পর এক দেশ নিজেদের অর্থনীতি ডলার মুক্ত করতে চাইছে। এই যে আমেরিকা আজ ভেনেজুয়েলা, নাইজেরিয়া – এসব দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিয়েছে সেটা এখান থেকেই। দিন দিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট তথা প্রযুক্তির উপর মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়বে, সেজন্য দরকার হবে বিদ্যুৎ যার মূল উৎস এখনও তেল, গ্যাস আর কিছুটা কয়লা। বিশ্বের সম্পদ দিন দিন কমছে আর বাড়ছে সম্পদের ব্যবহার, বাড়ছে মানুষ। সম্পদের জন্য লড়াই আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তীব্র আঁকার ধারণা করবে। তাই যুদ্ধ এড়ানো প্রায় অসম্ভব। সেটা সম্ভব শুধু ধ্বংসের মুখে যেমনটা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার মধ্যে। পারস্পরিক ধ্বংসের ভয়ে উভয়ে বাধ্য হয়েছিল যুদ্ধ এড়াতে। তবে সীমিত আঁকারে পারমাণবিক যুদ্ধের ধারণা অমুলক নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ড্রেসডেন, টোকিও এসব শহরে সাধারণ অস্ত্রে মৃতের সংখ্যা হিরোশিমা, নাগাসাকিকে ছাড়িয়ে গেছিল। তাই পরিস্থিতি খারাপ হলে এ ধরণের আক্রমণ অসম্ভব কিছু নয়। তবে সেটা মনে হয় আমেরিকা আর রাশিয়ার মধ্যে হবে না তার ব্যাপকতার কথা চিন্তা করে। কিন্তু ঝিকে মেরে বউকে বোঝানোর মত করে যদি ইউরোপের কোন দেশে দুয়েকটা পারমাণবিক বোমা ব্যবহৃত হয় তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। খবরে প্রকাশ ফ্রান্স ও ব্রিটেন জার্মানিকে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ দেবার কথা ভাবছে। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির লঙ্ঘন। জাপানের মত জার্মানিও পারমাণবিক অস্ত্র তো দূরের কথা অনেক ধরণের কনভেনশনাল অস্ত্র রাখতে পারবে না। তাই ফ্রান্স ও ব্রিটেনের উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন। সেটাও যেকোনো ধরণের আক্রমণের কারণ হতে পারে। অনেকের ধারণা এ ধরণের কোন আক্রমণ বরং বড় ধরণের বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে কয়েক দশকের জন্য হলেও রক্ষা করবে। মানুষ তো সেই আদি কাল থেকেই শান্তির জন্য দেবতার উদ্দেশ্যে বলিদান করত, এখন হয়তো তাকে সেই শান্তির জন্যই কয়েক লক্ষ মানুষকে স্যাক্রিফাইস করতে হবে। সব কিছুর জন্যই মূল্য দিতে হয় আর বোকামির মূল্য আরও বেশি। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সুযোগ ছিল একটা শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার, কিন্তু ক্ষমতার লোভ সেটা হতে দেয়নি। সম্প্রসারিত হয়েছে ন্যাটো, আধুনিকতার নামে, গণতন্ত্রের নামে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে প্রকৃতিবিরুদ্ধ অনেক কিছু। এখন সময় এসেছে হিস্যা দেবার। উপায় নেই গোলাম হোসেন!

পড়ুন:  বিজন ভাবনা (১৬): ডিভাইড অ্যান্ড রুল -বিজন সাহা

লেনিনের একটি বিখ্যাত উক্তি ছিল – আজ এখনও সময় হয়নি কিন্তু আগামীকাল খুব দেরি হয়ে যাবে। হ্যাঁ, সময়ের কাজ সময়ে না করলে যা হয়। সেই ২০০৫ সাল থেকে রাশিয়া বারবার বলে আসছে যৌথ নিরাপত্তার কথা। কিন্তু ঠাণ্ডা যুদ্ধে বিজয়ের নেশায় মত্ত পশ্চিমা বিশ্ব তখন সেটা কানে নেয়নি, বরং রাশিয়াকে পেট্রল পাম্প বলে ঠাট্টা করেছে। এরপরও রাশিয়া বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি। মাত্র তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ার অস্ত্র শেষ হয়ে যাবে এই আত্মবিশ্বাস তাদের বাস্তবতা অনুধাবন করতে দেয়নি। আজ রাশিয়া বুরেভেস্তনিক ও পসেডনের পাশাপাশি আরও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র (সারমাত, আরেশনিক, আভানগারড) সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে। উত্তরে আমেরিকা পারমাণবিক বিস্ফোরণের কথা বলেছে। সেই প্রেক্ষিতে পুতিন সামরিক দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে যাতে আমেরিকা বা অন্য কোন দেশ এ রকম পরীক্ষা করার সাথে সাথে রাশিয়া তার উত্তর দিতে পারে। সব মিলিয়ে বিশ্ব আবার নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার পথে পা বাড়িয়েছে। এর শেষ কোথায় কে জানে? সুযোগ বারবার আসে না। বিশেষ করে শান্তির সুযোগ। পারবে কি পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা নিজেদের ইগোকে জয় করতে?

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো