চসিকে ২০ কোটি টাকার কর জালিয়াতি: ইনকনট্রেড লিমিটেডের কর কমানোর ঘটনায় ফাঁস বড় অনিয়ম
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ইনকনট্রেড লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৌরকর (গৃহকর) থেকে ঘষামাজা করে ২০ কোটি টাকা কমিয়ে দেয়ার গুরুতর অনিয়ম ফাঁস হয়েছে। ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক মূল্যায়ন নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা। কিন্তু রিভিউ বোর্ডে উপস্থাপনের সময় তা কৌশলে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
চসিকের তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কর কর্মকর্তা নুরুল আলম, উপ–কর কর্মকর্তা আবদুল কাদের, সহকারী মঞ্জুর মোর্শেদ এবং হিসাব সহকারী রূপসী রাণী দে জালিয়াতিতে জড়িত। তারা ফিল্ডবুক ও পি ফরম ঘষামাজা করে তথ্য বদলে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এই অনিয়মের সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িতদের ক্লোজড করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগের দিনই একইভাবে ইছহাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর থেকে ২০ কোটি টাকা কমানোর অনিয়মও প্রকাশ্যে আসে। তদন্ত কমিটি পূর্বের বোর্ড সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন রিভিউ বোর্ড গঠনের সুপারিশ করেছে।
চসিক ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ৫ বছর আগে ধামাচাপা দেওয়া এ অনিয়ম উদঘাটন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেছে।