চলমান সংবাদ

ভোররাতের হাঁস-খোঁজে উপদেষ্টা: নীলা মার্কেট থেকে ওয়েস্টিনে, আর রাজনীতির হাঁস-মুরগির খোঁজে সাংবাদিকরা

-ফজলুল কবির মিন্টু

ভোররাত, শহর তখনো আধো-ঘুমে। তবে কিছু মানুষের জীবন চলে ভিন্ন ঘড়িতে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাঁদের একজন। তাঁর ঘড়িতে রাত শেষ হয় যখন আপনার ভোর শুরু হয়। আর ভোর মানেই তাঁর কাছে এক বিশেষ অভিযাত্রা—হাঁসের মাংসের সন্ধানে ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেটে অভিযান!

উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, রাতভর কাজের পর বাসায় রান্না থাকেনা, তাই ভোররাতেই নীলা মার্কেটে গিয়ে হাঁসের মাংস খান। কিন্তু ভাগ্য কপালে না থাকলে (অর্থাৎ হাঁস রান্না শেষ বা দোকান বন্ধ) তখন গন্তব্য বদলে যায়—সরাসরি গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল। এ যেন “হাঁস থেকে হাঁসি” হয়ে “ফাইভ স্টার মুরগি”।

সাংবাদিকরা অবশ্য হাঁসের মাংস নিয়ে ততটা আগ্রহী নন, তাঁদের নজর অন্য হাঁস-মুরগির দিকে—মানে রাজনীতির মাঠে কে কাকে ‘চাঁদা’ দিয়েছে, কে কাকে ‘হেলমেট’ পরিয়ে দোষ চাপাচ্ছে। কেউ ফুটেজে হেলমেট দেখে উপদেষ্টাকে চিনে ফেলছেন, আবার উপদেষ্টার যুক্তি—”হেলমেট পরা মানুষ আমি হতে পারি, আবার হতে নাও পারি।” (এ কথাটা শুনে পাশের সাংবাদিক ফিসফিস করে বলেন, “এখন বুঝি হেলমেটও জবানবন্দি দেবে!”)

অন্যদিকে, অভিযুক্ত জানে আলমের স্ত্রী আনিসা নতুন রহস্য উন্মোচন করেছেন—কে তাঁর স্বামীকে গোপীবাগে নিয়ে গিয়েছিল, আর সেই গোপীবাগ কার? শুনে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক কাণ্ডকারখানা এখন ‘হাঁস-মুরগি বাজারের’ মতোই—কারটা কার, সেটাই বোঝা দায়।

সব মিলিয়ে দেশের রাজনীতি আর হাঁসের মাংস—দুটোই এখন ভোরে সবচেয়ে গরম বিষয়। পার্থক্য শুধু একটাই—হাঁসের মাংস খেলে পেট ভরে, কিন্তু রাজনীতির হাঁস খেলে মাথা ব্যথা হয়।