বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (১৯০): শান্তি

-বিজন সাহা

ট্রাম্প ভার্সেস জেলেনস্কি মেগা শো-এর পরে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার অন্ত নেই। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে এ নিয়ে লিখছে। কেউ এটাকে জেলেনস্কির বোকামি বলে মনে করছে, কেউ ভাবছে এভাবেই ট্রাম্পদের সাথে কথা বলে জানিয়ে দিতে হয় – হতে পারি দীন তবু নহি মোরা হীন। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদী অনেকের কাছ থেকেই বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন ট্রাম্পের কাছে আত্মসমর্পণ করার কারণে। অনেকেই জিলেনস্কির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সাহসী হচ্ছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে ট্রুডোর বক্তব্যে অনেকে সেই ইঙ্গিত পেয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে ফ্রান্সের মাখো আর ব্রিটেনের স্টারমারের ট্রাম্পের সামনে লেজ গুটিয়ে বসে থাকার বদলা নিতেই জিলেনস্কি যুদ্ধং দেহি রূপ ধারণ করেছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে শত শত মিম, তৈরি হয়েছে মুখরোচক নানা গল্প। তবে বাঙালি পরটালে মনে হয় সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে ইফতার বন্টন নিয়ে মসজিদ কমিটির জরুরী বৈঠক। কিন্তু আমার বার বার মনে পড়েছে মিখাইল লেরমন্তভের উক্তি
“এসবই হতে পারত হাস্যকর, যদি না হত এত কষ্টকর।”

ফেসবুকে এ বিষয়ে অনেক মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে এসব মন্তব্য যতটা না সমস্যা নিয়ে তারচেয়ে বেশি ট্রাম্প বা জেলেনস্কির প্রতি নিজেদের অনুভূতি নিয়ে। মানে কেউ যদি জেলেনস্কিকে অপছন্দ করে তাহলে সে সব দায় তার ঘাড়ে চাপাতে চাইছে, ট্রাম্পকে পছন্দ না করলে তিনি কূটনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন বা যেহেতু জেলেনস্কি অতিথি তাই এ ধরণের ব্যবহার করা উচিৎ হয়নি সেটা বলার চেষ্টা করেছে। অর্থাৎ ট্রাম্প না জিলেনস্কি কে সঠিক এই আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা পেছনে চলে গেছে। আর এসব করছে এমন অনেক লোক যারা মুক্তচিন্তার মানুষ, মানবতাবাদী, প্রগতিশীল। যদি কেউ ঘর সাজানোর জন্য বই কেনে তার জন্য প্রচ্ছদ কতটুকু সুন্দর সেটা গুরুত্বপূর্ণ, তবে যে বই পড়তে চায় তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের ভেতরে কী লেখা আছে সেটা। কারণ পড়ি আমরা বইয়ের ভেতরটা, ঘর সাজানোর জন্য বই না কিনে অন্য কিছুও কেনা যায়। অনেক আলোচনা দেখে আমার মনে হয়েছে তারা বই কেনেন ঘর সাজানোর জন্য।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ ইতিমধ্যে তিন বছর পেরিয়ে গেছে। মনে পড়ে ১৯৭১ সালের কথা। মা প্রায়ই বলতেন ঝড় আসে ঝড় যায়, এই যুদ্ধের আর শেষ নেই। সেটা ছিল দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী যুদ্ধ। মনে হত এর কোন কূলকিনারা নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপ্তি রাশিয়ার জন্য ছিল প্রায় চার বছর – ১৯৪১ সালের ২২ জুন থেকে ১৯৪৫ সালের ০৯ মে পর্যন্ত। আর সারা বিশ্বের জন্য এর ব্যাপ্তি ছিল ছয় বছর – ১৯৩৯ সালের ০১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের ০২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লেনিনগ্রাদ অবরুদ্ধ ছিল ৯০০ দিন। এর মানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ ইতিমধ্যে লেনিনগ্রাদের অবরোধের সময়সীমা পেরিয়ে পিতৃভূমির যুদ্ধের সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বলে আমরা সেটা ততটা অনুভব করি না। তাছাড়া রাশিয়া তার অর্থনীতি খুব ভালো ভাবে হ্যান্ডেল করার কারণে আমাদের মত সাধারণ মানুষ ততটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে একটা মানসিক চাপ ঠিকই থাকে। তাই যখন যুদ্ধ সমাপ্তির একটি সুযোগ দেখা দিল সবার মনে শান্তির আশা জেগে উঠেছিল। একথা তো নতুন করে বলতে হবে না যে সরাসরি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হলেও এই যুদ্ধ আসলে রাশিয়ার সাথে আমেরিকার। কারণ বাকী যে পঞ্চাশটি দেশ এখানে জড়িত সেটা আমেরিকার নির্দেশেই। তাই সবাই জানে যদি রাশিয়া ও আমেরিকা নিজেদের মধ্যে কোন চুক্তিতে আসতে পারে তাহলে এই যুদ্ধ আর দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে কথায় আছে এক মন দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা লেবুর রসই যথেষ্ট। তাই জেলেনস্কি যখন ওভাল অফিসে ট্র্যাজি-কমেডির আয়োজন করল তখন স্বাভাবিক ভাবেই শান্তি প্রক্রিয়া ঝুলে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এই আগুনে অবশ্য ঘি ঢালে ইউরোপের দেশগুলো। কেন? আমার ধারণা এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কী অর্থনৈতিক, কী রাজনৈতিক, কী নৈতিক – সমস্ত দিক থেকেই ইউরোপের অধপতন ঘটেছে। যে ইউরোপ একদিন পরাশক্তি না হলেও বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত, এখন তাকে বাদ দিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানার চেষ্টা করছে এটা ইউরোপের প্রেস্টিজে এক বিরাট আঘাত। তাই এমনকি নিজেদের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকা  সত্ত্বেও তারা সর্বতোভাবে চেষ্টা করে ট্রাম্পের উদ্যোগকে আন্ডারমাইন করতে। এটা অনেকটা রাশিয়ান রুলেটের মত – একের পর এক বাজিতে হেরেও খেলা চালিয়ে যাচ্ছে পরের দানে জ্যাকপট ছিঁড়বে এই আশায়। সেই অর্থে ইউরোপের ঘাড়ে যুদ্ধের ভূত চেপে বসেছে বললে অত্যুক্তি হবে না।

নিজের ভুল স্বীকার করে ট্রাম্পকে চিঠি লিখলেও জেলেনস্কি সেখানে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। এটাকে ট্রাম্প অবশ্য শান্তির জন্য জেলেনস্কি প্রস্তুত এভাবেই উপস্থাপনা করেছেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে এবার যে কোন ধরণের সমস্যা এড়াতে ফ্রান্সের মাখো আর ব্রিটিনের স্টারমার জেলেনস্কির সাথে আমেরিকা যাবেন। একই সাথে ইউরোপে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এসব দেশে চলছে সামরিক মহড়া। ফ্রান্স নিজেদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াচ্ছে, যেমনটা করছে জার্মানি। এসমস্ত দেশ খুব ভালো ভাবেই জানে যে রাশিয়া তাদের আক্রমণ করবে না কিন্তু এই প্রোপ্যাগান্ডার মাধ্যমে জনমনে ভয় সৃষ্টি করছে যাতে ইউক্রেনে তাদের ব্যর্থ রাজনীতি নিয়ে জনগণ প্রশ্ন না তোলে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যে এরা যুদ্ধ যুদ্ধ বলে হৈচৈ করছে আর রাশিয়ান ভালুকের ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে এরা কি আদৌ ভাবছে যে যদি সত্যি যুদ্ধ লাগে তাহলে আমেরিকা রণাঙ্গনে প্রবেশ করার আগেই তাদের নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে? আমাদের সব দেশে না হয় জনগণের একটি বড় অংশ অশিক্ষিত, হুজুগে পাবলিক, কিন্তু এরা তো শিক্ষিত, চিন্তাশীল। তাহলে? মনে পড়ে গেল লিয়েভ তালস্তোই এর যুদ্ধ ও শান্তি উপন্যাসের কথা যেখানে এক শিকারের দৃশ্য আছে। সেই সময় অভিজাত পরিবারের লোকজন শিকারে যেত। ভালুক, নেকড়ে এসবই ছিল শিকারের লক্ষ্য। সাথে থাকত শিকারী এক ঝাঁক কুকুর। আগে কুকুরদের লেলিয়ে দেয়া হত বা বলা যায় কুকুররাই বনে গিয়ে ভালুক বা নেকড়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করত। এরা একসাথে সেই প্রাণীকে আক্রমণ করে বনের বাইরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসত যাতে তাদের মনিবরা নির্বিঘ্নে শিকার করতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে যে এসব কুকুর ভালুক বা নেকড়ের খপ্পরে পড়ত না তা নয়। কিন্তু কুকুররা সেটা কখনও ভাবত না। তাদের একমাত্র কাজ ছিল মনিবের জন্য শিকারের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। কোন কুকুর ভালুকের খপ্পরে পড়লে মনিব সাধারণত নিজের নিরাপত্তা বিসর্জন দিয়ে কুকুরের প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসত না। যতদিন ইউক্রেন বা ইউরোপের হাত দিয়ে রাশিয়াকে নাজেহাল করা যায় ততদিন আমেরিকা আছে, কিন্তু যখনই তার নিজের রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে তখন সে ঠিক সরে পড়বে। সুয়েজ খালের সংকটে আমেরিকা ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের পাশে দাঁড়ায়নি। সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলে সে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। ফলে ফ্রান্স ও ব্রিটেন সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। মনে রাখা দরকার ইউরোপের মাটিতে যুদ্ধ মানে রাশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জন্য অস্তিত্বের প্রশ্ন, কিন্তু আমারিকার জন্য এটা জাস্ট বিজনেস। অবশ্যই সেখানে বাজির দান খুবই বড়, কিন্তু আমেরিকার জন্য সেটা জীবনের চেয়ে, দেশের চেয়ে বড় নয়। আমেরিকা আর যাই বুঝুক না বুঝুক, এই সামান্য সত্যটি খুব ভালভাবেই বোঝে।

পড়ুন:  বিজ্ঞান ভাবনা (১৮৯): শিক্ষা -বিজন সাহা

আমেরিকার অনেক রাজনীতিবিদ ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার ইনভেস্টমেন্টকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বলে ঘোষণা করেছে, কেননা এতে করে একজন মার্কিন সেনার জীবন খরচ না করেও হাজার হাজার স্লাভিক তথা রুশ সেনা হত্যা করা যাচ্ছে। ইউরোপের জন্যও বিষয়টা এমনই। কারণ তারাও শুধু অর্থ আর অস্ত্র দিয়ে স্লাভিয়ানদের নিশ্চিহ্ন করতে পারছে। এ যেন কিলার ভাড়া করে শত্রু হত্যা করা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা আছে বিধায় না বাইডেন প্রশাসন না ট্রাম্প প্রশাসন কেউই ইউক্রেনে মার্কিন সেনা পাঠানোর পক্ষে নয়, অথচ ইউরোপের অনেক দেশ এখন সেটা করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটা আবারও প্রমাণ করে ইউরোপের মানুষের জীবনে মূল্য আমেরিকার মানুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে অনেক কম। আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট ধর্মের নামে হাজার হাজার মানুষকে লড়াইয়ের ময়দানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়, ইউরোপ আমেরিকার সভ্য মানুষ অন্যদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে গণতন্ত্রের নামে, মানবাধিকারের নামে।

গত মঙ্গলবার ক্লাবে হঠাৎ করেই ইউক্রেন প্রসঙ্গ ওঠে। কয়েক বন্ধু মনে করে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ না করে উপায় ছিল না, কারণ ন্যাটো রাশিয়ার দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। অন্য এক বন্ধু বলছিল এটা দনবাসের মানুষের সমস্যা, তাদেরই উচিৎ ছিল এটা মেটান। আমি কি ভাবছি সেটা জিজ্ঞেস করলে বললাম, দেখ এমন একটি দেশে আমার জন্ম যেখানে মানুষ ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল। এরপর তিরিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তখন ভারত বা সোভিয়েত ইউনিয়ন বলতেই পারত এটা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বলেনি। আমার বিশ্বাস সেটা ছিল তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত। ইউক্রেন সমস্যার শুরু হয়েছিল এই ভাষাকে ঘিরেই। ৩০% মানুষের মাতৃভাষা রুশ হবার পরেও এবং ৯০% মানুষ রুশ ভাষায় কথা বলার পরেও ইউক্রেন রুশ ভাষা পারত নিষিদ্ধ করে। শুধু তাই নয়, দনবাসের উপর সামরিক অভিযান চালায় যেমন পশ্চিম পাকিস্তান চালিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের উপর। আমি যেহেতু মনে করি আমাদের লড়াই, সেই লড়াইয়ে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা সঠিক ছিল, এখানেও সেটাই ভাবি। জানি রুশদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু সব দিক বিবেচনা করে মনে হয় এই সিদ্ধান্ত ছিল মন্দের ভালো।
ইউরোপ প্রথম থেকেই বিভিন্ন ধরণের মিথ্যার মাধ্যমে তাদের রুশ বিরোধী রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে – তা সে মালয়েশিয়ান বোয়িং হোক আর বুচা হোক।  ভূরাজনৈতিক কারণে অনেক দেশই অনেক সময় মিথ্যা বলে। এই মিথ্যা বলা যতটা না ভয়ঙ্কর তার চেয়ে শতগুণ ভয়ঙ্কর যদি মিথ্যা জেনেও তারা এটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আমার ধারণা ইউরোপের এলিটদের অনেকেই এখন তাদের সৃষ্টি মিথ্যা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।

আবার ফিরে আসি ওভাল অফিস নাটকে। ঘরে যখন আগুন লাগে যেকোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ প্রথমে চেষ্টা করে আগুন নেভাতে তারপর অপরাধী খুঁজতে শুরু করে। ঐ ঘটনায় জেলেনস্কি না ট্রাম্প দায়ী সেটা নিয়ে কথা হতেই পারে, কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না যে এই মুহূর্তে একমাত্র যুদ্ধ থামানোর মাধ্যমেই শত শত প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব। সফল হবেন কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলবে, তবে এই মুহূর্তে একমাত্র ট্রাম্পের পক্ষ থেকেই এ ধরণের প্রস্তাব আসছে এবং একমাত্র রাশিয়া ও আমেরিকাই পারে এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিতে। তবে সেটা সহজ হবে না। কারণ আজও ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যুদ্ধ বিরতির জন্য যুদ্ধ বিরতি নয়, রাশিয়া চায় এমন এক চুক্তি যা একটি ঐতিহাসিক ভাবে দীর্ঘ সময় রাশিয়া সহ সমস্ত ইউরোপের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো