সুফিবাদ থেকে লিবারেশন থিওলজি: বাম রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতার টানাপোড়েন – অধ্যাপক কানাই দাস

কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় সমাবেশ মঞ্চে একজন পীরের বক্তব্য প্রদানকে কেন্দ্র করে তাৎণিক প্রতিক্রিয়া, স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে এর বিরুদ্ধে উদীচী নেতা ও পার্টি কমরেড জামশেদ আনোয়ার তপনের উত্থাপিত বক্তব্য নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করে এই ছোট্ট লেখার অবতারণা। তিনি প্রথমেই একটি তাত্ত্বিক বিষয় “লিবারেশন থিওলজি” নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন যদিও সেদিন মঞ্চে উপস্থিত ছাড়াও আরো অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে মানবিক ও বৈষয়িক দিক থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সবাইকে একসাথে একটি মঞ্চে সমবেত করলে আলাদা গুরুত্ব পেত বলে মনে হয়।
এছাড়াও তিনি পয়েন্ট আকারে তিনটি বিষয় তুলেছেন যা সংক্ষেপে উপসংহারে আলোচনা করার চেষ্টা করব। লিবারেল থিওলজি দক্ষিণ আমেরিকার চার্চ ভিত্তিক একটি সামাজিক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নাম। গুস্তাভো গুটিয়েরোজ(১৯২৪-২০২৪) নামে পেরুর এক পাদ্রী এই তত্ত্বের জনক। ১৯৭১সালে প্রকাশিত তাঁর লিখিত গ্রন্থ A Theology of Liberation এ তিনি লিবারেশন থিওলজির ধারণা তুলে ধরেন। তিনি ছিলেন একজন ক্যাথলিক দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক ও সন্ত।
লিবারেশন থিওলজির সংজ্ঞা হল ” Liberation Theology is a radical Christian movement that grew up in South America. It said that the church should act to bring about social change and should ally itself with working class to do so.” প্রশ্ন হলো পশ্চিম গোলার্ধে বিশেষত লাতিন আমেরিকায় বিপ্লব সংগঠিত হয় এর অনেক আগে ১৯৫৯ সালে কিউবায়, ১৯৭০ সালে চিলিতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রত্যক্ষ সহায়তায় সোশ্যালিস্ট আলেন্দে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসে চিলিকে বিপ্লবী ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাবার পথে সরাসরি মার্কিন চক্রান্তে নিহত হন, এর পরে নিকারাগুয়ার সান্দানিস্তা গেরিলারদের উত্থান ঘটে, ভেনেজুয়েলার হুগো স্যাভেজ নিজের মত করে দেশকে এগিয়ে নেন। তাঁর উত্তর সূরী মাদুরো কে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এ মুহূর্তে ট্রাম্প সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এছাড়াও পুরো দক্ষিণ আমেরিকার দেশে দেশে বামপন্থীদের নির্বাচনী বিজয় –এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে লিবারেশন থিওলজির প্রবক্তাদের ভূমিকা প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসাবে আলোচনা করা উচিত কেননা বামদের যারা বুদ্ধিভিত্তিক জায়গা থেকে এই বিষয়কে সামনে নিয়ে আসছেন।
প্রশ্ন হলো লিবারেশন থিওলজি কি শ্রেণি সংগ্রামের বিকল্প নাকি কমিউনিস্ট বিশ্ববীক্ষার তথা দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গীর বিকল্প কোন ভাবনা? তাই যদি না হবে বিগত শতকের ‘৭০ এর দশকে দক্ষিণ আমেরিকায় উদ্ভূত এই চার্চ ভিত্তিক সামাজিক মুক্তির ধারণা এতদিন পরে আমাদের দেশে সমাজ প্রগতির সংগ্রামে হঠাৎ এত প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল কেন? অবশ্য উত্তর আধুনিকতাবাদীরা বিশ্ব বিপ্লবের দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর বিরোধী কেননা তাঁরা গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ মানতে রাজি না। এই অর্থে উত্তর আধুনিকতা মার্ক্সীয় চিন্তা বিরোধী। অথচ যে কোন দেশের আর্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণমূলক বিরাজমান প্রতিক্রিয়াশীল বিশ্ব ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন নয় যোগাযোগ প্রযুক্তির এই অভূতপূর্ব পরিবর্তনের যুগে।
জনাব তপন দেশের সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কমিউনিস্ট ও বাম প্রভাবিত নিয়ে ফ্রন্ট করতে চান এ বিষয়ে কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু সেদিন মঞ্চে সব স্তরের নির্যাতিত সংখ্যা লঘু জনগোষ্ঠীকে কি আনা গেছে? আমাদের দেশে যে কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তনের পটভূমিতি ধর্মীয় সংখ্যা লঘু হিসাবে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নেমে আসে,সব সরকারের আমলে। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে নিপীড়িত এই গোষ্ঠী স্বাধীন বাংলাদেশে বার বার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এতে করে ক্রমাগত নির্যাতন দেশের জনসংখ্যা বিন্যাস পাল্টে দিয়েছে। এক চরম অনিশ্চয়তাবোধ তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। ১৯৫১সালে ২২ শতাংশ থেকে একটি সম্প্রদায় কমে আজ ৮শতাংশে নেমে এসেছে যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন সর্বোপরি তা প্রগতির শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মাত্রারিক্তভাবে পাশাপাশি ধর্মান্ধ মৌলবাদের বিকাশকে সাহায্য করেছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের একমাত্র দাবি এরশাদের অষ্টম সংশোধনী বাতিল করা যা সিপিবি ও সমর্থন করে। কিন্তু এটা সুদূরপরাহত। এদের কি আমরা ডাকা অপ্রয়োজনীয় মনে করলাম। যদি এ বিষয়ে আলোচনাও করতে হয় তাহলে পরবর্তীতে একটি কনভেনশন করা যেত। ধর্ম সংশ্লিষ্ট লিবারেশন থিওলজির কথা বলব আর নিজ দেশের ক্রমহ্রাসমান বৃহত্তর ধর্মীয় সংখ্যা লঘু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যা লঘু দের উপেক্ষা করব তা তো চরম স্ববিরোধিতা।
সুফিবাদকে সাম্প্রদায়িক ধারা বলা যায় না কিন্তু ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য নিয়ে খুবই স্পর্শ কাতর। এদের সরাসরি পার্টি মঞ্চে না এনে কাজের মাধ্যমে আলাদা কার্যকর মঞ্চে করা উচিত ছিল বলে যারা বলছেন তাদের পাইকারিভাবে বিভেদকামী ট্যাগ দেয়া বরং সাংগঠনিক অসহিষ্ণুতা। ১০০ টার ও বেশি মাজারে, মন্দিরে হামলার সময় সিপিবি কর্মী সমর্থকরা যদি দশটা জায়গায় হামলাকারীদের পাল্টা জবাব দিতে পারত তাহলে দেশব্যাপী যে প্রতিক্রিয়া হত তাতে পার্টি যেমন জনপরিসরে গ্রহণযোগ্য হত তেমনি এ জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের কাজ আর কোন হাইপোথ্যাটিক্যাল স্তরে আটকে থাকত না সবার আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠত।
বামপন্থীদের সরকার গঠন করার শ্লোগান তখনই বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে যখন পার্টি অন্ত্যজ শ্রেণিকে নিয়ে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। শ্রমজীবী কৃষক শ্রমিকদের সংগঠিত আন্দোলন সংগ্রাম এটার একটি রূপ।বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত, সম্প্রতি সরকার গঠন করার শ্লোগান তোলা হলো কিন্তু গত প্রায় ৩৫ বছরে একটি কি দুইটি জঙ্গি কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছি কি আমরা? চল্লিশের এমনকি পঞ্চাশের দশকে এই সংগঠিত কৃষক শ্রমিকরাই তো অনেক সময় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিভিন্ন স্থানে রুখে দিয়েছে। সদ্য প্রয়াত বন্দর শ্রমিকদের প্রাণপ্রিয় নেতা কমরেড আহসান উল্লাহ চৌধুরী শ্রমিকদের এভাবে তাদের নিজস্ব দাবির বাইরে সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজেও জড়িত করতেন।
কমরেড তপন পরিশেষে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন যা সংক্ষেপে একটু আলোচনার অক্ষম চেষ্টা করব ।
১. “নতুন বাস্তবতা ” আমাদের অনুধাবন করতে না পারার কারণকে অপরিপক্কতা উল্লেখ করে এর তাঁর ভাষায় তিনটি (গোপন /প্রকাশ্য)সংকট উন্মোচিত করেছেন।
১. “তাত্ত্বিক সংকীর্ণতা ও অর্ধেক পড়া মার্কসবাদ ” –প্রথমেই বলতে চাই আমি মার্কসবাদী নই, মার্কসীয় চিন্তার অনুগামী মাত্র। কেননা মার্কসবাদ বললে একটি সুসংবদ্ধ প্রণালী বা সিস্টেম বা স্বয়ংসম্পূর্ণ বিষয় বুঝায় কিন্তু তা একটি সতত পরিবর্তনশীল, অব্যাহতভাবে ভুল থেকে শুদ্ধ বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাবার হাতিয়ার।আমার কাছে মার্কসের চিন্তা একটি পদ্ধতি মাত্র বা মেথড। কোন স্হায়ী অপরিবর্তনীয় সিস্টেম নয়।যাই হোক প্রথম পয়েন্টে তিনি প্রান্তিক সুফি পন্থীদের ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে দেখে তাদের দমনের শ্রেণিগত কাঠামো ধরতে না পরার আমাদের অমার্কসবাদী স্বরূপ। কথা হল আমাদের দেশে রাস্ট্রীয় দমন বা শাসনের শ্রেণি কাঠামো বলতে আমরা যা বুঝি বা বুঝার যা সামর্থ্য তা হলো নিউ লিবারেল দূর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক অর্থনীতির ক্রমে ক্লেপ্টোক্র্যাসিতে রূপান্তরিত শাসকগোষ্ঠী ও এর রক্ষক ও বেনিফিসিয়ারি সামরিক বেসামরিক আমলা, লুটেরা ব্যবসায়ী এবং অসত্ ধূর্ত রাজনীতিবিদের যৌথ কাঠামোগত শক্তিকে যারা বিভিন্ন দলের নামে দীর্ঘদিন শাসন করছে। এর সাথে যুক্ত ধর্ম ব্যবসায়ী ধর্মান্ধদের দল। কথা হল বাস্তবে সুফিপন্হীদেরএই লুটেরা দূর্বৃত্ত শ্রেণি কি কখনো আলাদাভাবে তাদের শাসন শোষণের ক্ষেত্রে বাধা মনে করেছে? তাদের উপর আক্রমণটা করা শুরু হয়েছে জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর জামাতও সালাফি পন্হীদের ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান নেবার পর।শুধু মাত্র ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা –সাংস্কৃতিক অনাসৃষ্টি তৈরির জন্য। এজন্য তারা নারীদের বিরুদ্ধে, প্রাথমিকে সংগীত ও শরীর চর্চা শিক্ষক নিয়োগ জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে। মেইন স্ট্রীমের শাসক গোষ্ঠীর এর মধ্যে কম জড়িত আবসর ভোটের রাজনীতির হিসাবে এদের সাথ তাল মিলায়। আহমদিয়াদের বিষয়ে বিএনপির ভূমিকা এর প্রমাণ।এ বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে ভিন্ন মতের সবাইকে সংকীর্ণ ও আধা মার্কসবাদী বলা কি মার্ক্সীয় শিক্ষার মধ্যে পড়ে? এজন্য বলেছি “I am not Marxist and none should ever be. অন্তত কমরেড তপনের মার্কসবাদ আমার কাছে পরিত্যাজ্য।
২নং পয়েন্টের শিরোনাম দিয়েছেন ” দলীয় সংগঠনের ভেতর নিষিদ্ধ সংলাপ সংস্কৃতি — ভিন্ন মতের প্রতি অশ্রদ্ধা ও আলাদা করে দেয়া, যুক্তির বদলে গুজব — এই শিরোনাম ও উপ শিরোনামে লেখার প্রেক্ষিতে শুধু এ কথাই বলব অত্যন্ত সময়োপযোগী পরামর্শ দিয়েছেন কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই আপ্ত বাক্যটি পুনরুক্তি করতে চাই তা হল আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও”।আপনি একটি গণসংগঠনের নেতা। শুধু বলতে চাই দ্বাদশ কংগ্রেসের আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আপনার গণসংগঠনের বিষয়ে নেয়া সর্বসন্মত সিদ্ধান্ত কেন মানা হল না এর আগে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সর্বসন্মত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজেরা না এসে ভার্চুয়ালি সভা করে তাও উপস্থিত সংখ্যা গরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত না মেনে উদীচী চট্টগ্রামের মত ঐতিহ্যবাহী গণসংগঠনের যাদের সভাপতি ও সম্পাদক করে দিলেন তাদের ইতোপূর্বে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কতটুকু পরিচয় ও সংযুক্তি আছে তা আপনি ঢাকায় বসে বেশ জানেন বলে মনে হয়। চট্টগ্রাম শহরে রাস্তায় হেঁটে যেতেও লোকে যাকে উদীচীর লোক বলে জানে এবং চিনে সেই ডা.চন্দন দাশ সহ বহিষ্কৃতরা গণসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব মত ভুল স্বীকার করে প্রদত্ত আবেদন যথাযথ হয়নি উল্লেখ করে সেই বহিষ্কার আদেশ এখনো প্রত্যাহার করা হল না মূলত আপনার কঠোর অবস্থানের কারণে। ডা.চন্দন দাশ চট্টগ্রাম পার্টির সবার শ্রদ্ধার চন্দন দা আজ মৃত্যু শয্যায়। বহিষ্কারাদেশ নিয়েই তিনি পৃথিবী ছেড়ে যাবেন। ভিন্ন মতের প্রতি আপনার এই প্রণিধানযোগ্য শ্রদ্ধা! সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। কিছু মনে করবেন না এই চন্দন দাশ নিশ্চয়ই দোষমুক্ত নন কিন্তু অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম পার্টি ও সাংস্কৃতিক গণসংগঠন কে যেভাবে সাহায্য ও প্রত্যক্ষ কাজে, চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তাতে বহিষ্কারাদেশ নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার অপরাধ তিনি করেন নি। একেই বলে ভিন্ন মতাবলম্বীকে সহ্য না করা আপনার ভাষায় আলাদা করে দেয়া। আপনি নন শুধু গত ৩৫বছর ধরে পার্টিতে এই সংস্কৃতি চালু রয়েছে। সর্বশেষ পয়েন্টের শিরোনাম হল “ওল্ড স্কুলিং বাম মননের রোগ ” এখানেও সুফি পন্থা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। পার্টি লেভেলে কোথায় ধর্মীয় আলোচনাকে অবিশ্বাস করা হয় আমি জানি না কিন্তু আমার জেলা কমিটির বেশ ক’জন জেলা কমিটির সভা চলার সময়েও নামাজ পড়ে থাকেন। আবার অনেকে পড়েন না৷ কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের বিষয়ে কারো তো কিছু বলার থাকতে পারে না। সুফি মননের মানবিক ধারা কে উপেক্ষা করে আমি বলতে পারব না কিন্তু যদি কেউ করেন তা সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অসম্পূর্ণ ধারণা থেকে করতে পারেন। এ সময়ে তাদের কাছে টানা দরকার। আবারও বলি শুধু সুফি নয় সকল ধর্মীয় সংখ্যা লঘু জাতি উপজাতি দের নিয়ে একটি কনভেনশন এর মাধ্যমে ফ্রন্ট করতে হবে তাই নয় তাদের বিপদে সক্রিয় ভাবে পাশে দাঁড়াতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে প্রতিক্রিয়ার আক্রমণ সেই প্রস্তুতি ও এখন থেকে নিতে হবে। বক্তৃতা দিয়ে কাজ হবে না। পার্টির ভিতর -বাইরে কল্পিত শত্রু আবিষ্কার না করে আসল প্রতিপক্ষকে সঠিকভাবে সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আসুন জেলায় জেলায় রুখে দাঁড়াই।ধন্যবাদ। ক্ষমাসুন্দর সহানুভূতি দিয়ে লেখাটা বিবেচনা করলে বাধিত হব
