জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত -জাহাজভাঙা শিল্পে ন্যুনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারনের দাবি

আজ বিকাল ৪টায় সাগরিকার বিটাক বাজার সংলগ্ন হল টুয়েন্টি টু-তে অনুষ্ঠিত হয় জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রথম সম্মেলন। সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক মণ্ডল এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি হেড এডভোকেট এ কে এম নাসিম উদ্দিন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, চট্টগ্রাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হানিফ, এবং হোটেল সেন্ট মার্টিন কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তপন দত্ত বলেন, “বর্তমানে দেশে ১৭টি গ্রিন ইয়ার্ড চালু রয়েছে এবং আরও ২০টির মতো ইয়ার্ড সনদ প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছে। যদিও অবকাঠামোগত দিক থেকে শিপ ব্রেকিং শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু শ্রমিকদের জীবনমানের কোনো উন্নতি হয়নি। ২০১৮ সালে ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। গ্যাজেট অনুসারে অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যুনতম মাসিক ১৬ হাজার টাকাও অধিকাংশ শ্রমিক পাচ্ছেন না।”
অন্যান্য বক্তারা বলেন, জাহাজভাঙা শিল্প দেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ খাত। একসময় বছরে গড়ে ১৫-১৬ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করতেন। বর্তমানে মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও দুর্ঘটনা কমেনি এবং মালিকপক্ষের লুকোচুরির প্রবণতাও রয়ে গেছে। বক্তারা শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবনমান উন্নয়নে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বক্তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে রেশনিং ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং শ্রমঘন এলাকায় ন্যায্যমূল্যের দোকান স্থাপনের দাবি জানান। তারা জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করার শপথ নেন।
সম্মেলনের শেষে মানিক মণ্ডলকে সভাপতি, জামাল উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ সবুজকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
