বিজন ভাবনা (১৫):রাজনীতির চোরাগলি -বিজন সাহা

কয়েক দিন আগে এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। মস্কোয় আমি হাতে গণা যে কয়েক জন মানুষের সাথে যোগাযোগ করি, সময় সুযোগে দেখা করি ও তাদের একজন। আমাদের আলাপ অনেক পরে। তাই ছাত্রজীবনের কমন পরিচিত নেই বলেই চলে। ফলে আমাদের কথাবার্তা হয় মূলত দেশীয় রাজনীতি নিয়ে। ও নিজেও বামপন্থী রাজনীতি করত। দেশে এখনও পুরানো কমরেডদের সাথে যোগাযোগ রাখে। তাই এলাকা ও কেন্দ্রের অনেক বামপন্থী নেতা কর্মীদের মনোভাব জানে। আমরা প্রায়ই এসব ব্যাপারে কথা বলি আর সময় পেলে মস্কোয় কোথাও দেখা করে কিছুক্ষণের জন্য আড্ডা দেই। গত সোমবার এমন এক আড্ডায় বসেছিলাম আমরা। ও শুরু করল
– সেদিন এক বন্ধুকে ফোন করলাম। দেশে এক সাথে রাজনীতি করতাম। ওর কথা শুনে আমি তো অবাক।
– কেন? কী হল আবার?
– ও বলছিল এলাকার কথা। আগে ছাত্র লীগ মাসে বার দুই তিন রিক্সাওয়ালাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত কোন প্রোগ্রাম উপলক্ষ্যে। দশ, পনের, কুড়ি টাকা করে নিত। এখন নাকি ছাত্র দল প্রতি দিন কুড়ি টাকা করে ধার্য করে দিয়েছে। মানে দিনের শেষে কুড়ি টাকা ওদের দিলে রিক্সা রাস্তায় নামবে।
– এটা আমাকে অনেক পুরানো এক গল্প মনে করিয়ে দিল। মস্কো থেকে এক বাংলাদেশী ছেলে ছাত্রজীবনে আমেরিকা চলে যায়। আমার সাথে যোগাযোগ ছিল। একবার লিখল, “হোটেলে কাজ শেষ বাসায় ফিরছি। পথে এক আফ্রো আমেরিকানের পাল্লায় পড়লাম। দিল দুই ঘুষি। সাথে যে টাকা ছিল তা থেকে দশ ডলার নিল আর বলল এখন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় দশ ডলার করে না দিলে আমাকে এখানে থাকতে দেবে না। তাই ইচ্ছে অনিচ্ছায় সেটা দিতেই হয়।” ছাত্র দল কি একই পথে হাঁটছে?
– সেটা জানি না। তবে ঘটনা অন্য জায়গায়। শিবির সেটা জানে। ওরা চাঁদা না দিতে বলে না বা এ নিয়ে ছাত্র দলের সাথে ঝগড়া করতেও বলে না। বলে ছাত্র দলকে চাঁদা দিতে আর যদি টাকাপয়সার সমস্যা হয়, তাহলে শিবিরের কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে নিতে। এভাবেই ওরা মানুষের সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করে।
– হুম!
– আরও এক ছেলেকে ফোন করলাম। এক সাথে রাজনীতি করতাম এলাকায়। বলল, এবার পূজার সময় শিবিরের লোকজন মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে বলেছে, যদি বিএনপি বা অন্য দলের কেউ চাঁদা চায় তবে যেন দিয়ে দেয়, সেই টাকাটা ওরা রিফান্ড করবে। আর যদি সে শিবিরের ছেলে হয়, তবে যেন ওদের জানায়। ওরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এভাবেই ওরা বিভিন্ন স্রোতের মানুষের সিমপ্যাথি লাভ করতে চাইছে। বলছে, অন্যদের তো অনেক বারই ক্ষমতায় এনেছেন কিন্তু না করতে পেরেছেন শান্তিতে পূজা, না পেরেছেন শান্তিতে দেশে থাকতে। আমাদের একবার না হয় সুযোগ দিন। কথা দিচ্ছি আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না। আর লোকজন এটা কিন্তু খাচ্ছে।
– লোকজনের জন্য দুঃখ হয়। আমি বলতে পারব না যে ওরা মিথ্যা বলছে, তবে আমরা ভবিষ্যত কেমন হতে পারে সেটা অনুমান করতে অতীতের দিকে তাকাই। জামায়াত শিবিরের অতীত ভালো কিছু দেখায় না। তারপরেও তর্কের খাতিরে না হয় ধরেই নিলাম যে ওরা ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু শুধু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই তো সেটা প্রমাণ করা যায় না। অতীতের ভুলগুলো মূল্যায়ন করতে হয়। তারা বাহাত্তরের সংবিধানের বদলে চব্বিশের জুলাই সনদ চায়, অথচ একাত্তরে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে না। অথবা আশি ও নব্বইয়ের দশকে রগ কাটার রাজনীতি নিয়ে টু শব্দ করে না। যদি ভালোই হয়ে যায় – তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ওদের এত এলারজি কেন? কেন নিজেদের দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র এমন ভাবে করে না যা দেশের সব জাতি ও ধর্মের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়? শুধু ব্যবহারে ভালো হলেই চলে না, ভালো হতে হয় ঘোষণায়। কারণ মানুষ যত সহজে ও যত দ্রুত বদলে যেতে পারে তত সহজে, তত দ্রুত ঘোষিত আদর্শ বদলাতে পারে না।
– তা ঠিক। তবে মানুষ তো বদলে যাচ্ছে। এখন দেশে লোকজন স্বেচ্ছায় হিজাব পরে। সেটা তো একদিনে হয়নি। এমন কি আমাদের বাড়িতেও সেটা দেখি। ওরা সুচতুর ভাবে মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারছে যে ওরা যে ইসলামী শাসনের কথা বলছে সেটা মোটেই খারাপ নয়।
– আচ্ছা যদি কোন মাতাল বা দুশ্চরিত্র কেউ বলে তাকে বিয়ে করলে সে বদলে যাবে বা ভালো হয়ে যাবে তাহলে কি স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন কোন মেয়ে স্বেচ্ছায় তাকে বিয়ে করবে? একজন মিথ্যেবাদী, অসৎ, চোর যদি বলে তাকে বিজনেস পার্টনার করলে সে চুরি করবে না, সৎ হয়ে যাবে – একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কি রিস্ক নেবে? এ তো গেল ব্যক্তি মানুষ। সে চেষ্টা করলে নিজেকে বদলাতে পারে। সেক্ষেত্রে কেউ রিস্ক নিতেই পারেন। কিন্তু যদি কোন দল নিয়ে এমন প্রশ্ন ওঠে। কারণ দল কারোও মর্জির উপর চলে না, দলের কিছু লক্ষ্য, উদ্দেশ্য থাকে, থাকে গঠনতন্ত্র, থাকে ঘোষণাপত্র। দল হিসেবে সে সেই গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র বদলাতেই পারে। কিন্তু যদি না বদলায়? আগেই তো বললাম জামায়াত শিবির বাহাত্তরের সংবিধান বদলিয়ে চব্বিশের ঘোষণাপত্রকে দেশের প্রধান ডকুমেন্ট করতে চায় কিন্তু কিছুতেই একাত্তরে তাদের প্রমাণিত গণহত্যার দায় নিতে চায় না, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করতে চায় না, নিজেদের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে চায় না। তাই তারা যখন তাদের সুযোগ দিতে বলে তখন তারা আসলে শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিতে বলে।
– কিন্তু সেটা তো করে আমাদের ভুলের উপর ভর করেই।
– অস্বীকার করব না। তবে আমার মনে হয় বাহাত্তর থেকেই দেশে সুপরিকল্পিতভাবে একাত্তর ও আওয়ামী লীগকে এক করে আওয়ামী বিরোধিতার নামে একাত্তর বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সমন্বয়কদের অনেকেই হাসিনা আমলে একদিকে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, অন্যদিকে হেলমেট বাহিনী তৈরি করে মানুষের মধ্যে আওয়ামী বিরোধী সেন্টিমেন্ট চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সেই অর্থে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আত্মসমর্পণ করলেও রাজাকার আলবদরের লড়াই মূহূর্তের জন্য বন্ধ ছিল না, ২০২৪ এ লাল বদরের সাহায্যে তারা বিজয়ী হয়েছে। আজ তারা যে বাহাত্তরের সংবিধানের অপসারণ চাইছে সেটা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। তারা তাদের দাবি কিছুটা হলেও আদায় করেছে। তাই ভাবার কোন কারণ নেই যে ক্ষমতায় গেলে তারা ভালো হয়ে যাবে।
– কিন্তু এই অবস্থার জন্য তো দায়ী দেশের রাজনীতি ও আমাদের রানতীতিবিদরা।
– রিচার্ড ফাইনম্যান বলতেন তিনি কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝেন না, হয় তো কেউ বোঝে না। আমার মনে হয় দেশের রাজনীতি এখন কোয়ান্টাম এরায় প্রবেশ করেছে, কেউ তাই এই রাজনীতি বোঝে না। কেন কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝা এত কষ্টকর? আসলে কোন কিছু বোঝার জন্য সেটা পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু যে মূহুর্তে আপনি পরীক্ষা করতে গেলেন সেই মূহূর্তে সিস্টেম ভেঙে গেল, অন্য স্টেটে চলে গেল। অনেকটা ডাক্তার আপনার তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার ব্যবহারের সাথে সাথে আপনার তাপমাত্রা বদলে গেল যা মাপা আর সম্ভব নয়। তাহলে কি কোয়ান্টাম মেকানিক্স কাজ করে না? অবশ্যই করে। শুধু আমরা বুঝতে পারি না কিভাবে করে। এটা আমাকে জ্যাঠামশাইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার জ্যাঠামশাই কবিরাজ ছিলেন যদিও সেটা কখনোই বলতেন না। ছোটবেলায় যখন প্রায় প্রতিদিনই হাত পা কাটত বা সর্দিকাশি জ্বর হত এসব হত উনি ঝাড়ফুঁক দিয়ে ঠিক করে দিতেন। শুধু তাই নয় কুষ্ঠ, হাঁপানি ও অন্যান্য গুরুতর অসুখ থেকেও উনি অনেককে সুস্থ করতেন। কিন্তু কীভাবে সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। সেই হিসেবে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনেক কিছুই ভূতুরে, স্বাভাবিক বোধ বুদ্ধির বাইরে। বাংলাদেশের রাজনীতিও এখন তাই। সবাই রাজনীতির কথা বলছে। তত্ত্ব কপচিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সব কিছুই চলছে কোন ভূতের নির্দেশে যাকে দেখা যায় না কিন্তু যার কাজের ফল জনগণ টের পায়।
– কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা কি সেটা বোঝে?
– মনে হয় না। আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে হয় দেশে অরাজকতা দেখে খুশি হচ্ছে। তারা বলতে পারছে “আগেই তো বলেছিলাম আমরা ক্ষমতাচ্যুত হলে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসবে।” অন্যদিকে অনেক প্রগতিশীল মানুষ একই ভাবে আওয়ামী লীগকে দোষ দেয় এই বলে যে তাদের বাড়াবাড়ির জন্যই আজ দেশের এই অবস্থা। আমার মনে হয় দুই পক্ষই আংশিক ভাবে ঠিক আবার একই সাথে আংশিক ভাবে ভুল। এটা ঠিক যে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি হাসিনা আমলের চেয়ে নাজুক। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভুলের জন্যই তারা মানুষের সমর্থন হারিয়েছে আর সেটাকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করেছে। মানুষের উপর আস্থা না রেখে আমলা, পুলিশ আর সেনা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হবার কারণেই তাদের এই পরিণতি। অন্যদিকে প্রগতিশীলরা আওয়ামী লীগের দোষ দিয়েই খালাস। তারা আওয়ামী লীগকে আপদ আর বিএনপিকে বিপদ বলত ও আপদ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য বামদের উপর আস্থা রাখতে বলত। কিন্তু আপদ বা বিপদ তাড়িয়ে তারা কিন্তু মানুষের জন্য মহাবিপদ ডেকে এনেছে। শূন্য স্থান পূরণ করতে নিজেদের গড়ে তোলার ব্যর্থতাই আজ দেশকে বিপন্ন করেছে, কড়াইয়ের ফুটন্ত তেল থেকে মানুষকে আগুনে ফেলে দিয়েছে। খেয়াল করলে আরও একটা জিনিস চোখে পড়ে, জামায়াত বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয় নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য আর বামেরা বিভক্ত হয় নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করার জন্য। যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিশাল কোন প্রাণীর সাথে ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বাম জোটের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঘের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখব বিজয়ের পর থেকেই তারা ট্রফি দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত আর এই সুযোগে জামায়াত শিবির ও অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী হায়েনার দল শিকার নিয়ে অনেক আগেই ভেগে পড়েছে – প্রথমে দখল করেছে অর্থনীতি, এরপর শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ বিশেষ করে মহিলাদের এবং সবশেষে রাজনীতির মাঠ। বিভিন্ন দলে অবস্থানকারী স্বাধীনতার পক্ষের সম্মিলিত শক্তিই পারে বাংলাদেশের আফগান মুখী যাত্রা রোধ করতে। কিন্তু বাম রাজনীতিতে সবাই বিশাল বিশাল পণ্ডিত। কে কার কথা শুনবে? কে কাকে মানবে? একেই হয়তো বলে অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি।
– তাহলে কি ইরান আফগানিস্তানের পথেই আমরা হাঁটব?
– অবাক হব না। কারণ বর্তমান পৃথিবীতে সব সম্ভব। সত্তর দশকে আফগানিস্তানের মেয়েরা অনেক স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারত। মস্কোয় আমাদের সাথে অনেকেই পড়াশুনা করত। কেউ কি ভেবেছিল আজ ভূমিকম্পের পরে তারা সাহায্য পাবে না শুধু মেয়ে বলে? মেনে নিতে না পারলেও সভ্য বিশ্ব কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। আমাদের দেশেও যদি একই ভাবে নারী শিক্ষা বন্ধ করা হয় কেউ টু শব্দ করবে না, করতে পারবে না। যদি গান বাজনা, সাহিত্য সব নিষিদ্ধ করা হয় – কেউ কি কিছু করতে পারবে? এমনকি ইউরোপ আমেরিকার মত জায়গায়, যেখানে মানুষ মুক্ত ভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে সেখানেও যখন রুশ সাহিত্য, রুশ শিল্প, রুশ থিয়েটার একে একে নিষিদ্ধ হয়েছে খুব বেশি লোক কি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে বা করতে পেরেছে? বিএলএম যেখানে সাদাদের নতজানু হতে বাধ্য করেছে জামায়াত শিবির পারবে না কেন? করবে না কেন? এই যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদে শিবির একের পর এক জিতে আসছে – এটা শুধু প্রাশাসনিক বিষয় নয়, এর পেছনে ছাত্রদের সমর্থন আছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন এখনও অনেকেই ভাবছে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির চেয়ে জামায়াত বেটার। দেশের বর্তমান অরাজকতার জন্য দায়ী পরাজিত আওয়ামী লীগ আর বিএনপির চাঁদাবাজরা। কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয় তাকে আলো দেখাবে কে?
গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো
বিঃদ্রঃ কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমার ফেসবুক আইডি ইদানিং কাজ করছে না। তবে আমি আগের মতই প্রায় নিয়মিত লিখছি। কেউ চাইলে এসব লেখা আমার গুগল ব্লগে পড়তে পারবেন
http://blogger.com/profile/13796885981186443293
