চাকসুতে ৩৫ বছর পর ভোট আজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩৫ বছর পর। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এবারের নির্বাচনে প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন।
চাকসু নির্বাচনে মোট ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলের ২১০টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৯৩ জন। নির্বাচনে মোট ১৩টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’, বামপন্থী জোট ‘দ্রোহ পর্ষদ’ ও ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’-এর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসুর কার্যক্রম বহু বছর ধরে স্থবির ছিল। ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছিল ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন। ফলে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও সমস্যা সমাধানের বদলে সংঘর্ষ ও আধিপত্যের রাজনীতি চলেছে দীর্ঘদিন।
১৯৯৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে নিহত হন অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারান সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র তাপস সরকার।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন পুনরায় শুরু হয়। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আজ চাকসুর ভোটের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ—দীর্ঘ ৩৫ বছর পর।