চলমান সংবাদ

সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে এনসিপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন বর্জন

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালেই এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেছেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে দলের নেতা-কর্মীরা আগে থেকেই ভিআইপি ফটকে জড়ো হন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই পাশে থাকা এনসিপির কিছু নেতা-কর্মী উচ্চস্বরে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে শুরু করেন, যা সাক্ষাৎকার গ্রহণে বিঘ্ন ঘটায়। সাংবাদিকেরা শান্তভাবে স্লোগান বন্ধ করতে অনুরোধ করলেও এনসিপির কয়েকজন কর্মী অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকেরা। এক সাংবাদিক বলেন, “এভাবে কথা বলা যায় না। যদি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সম্মান না থাকে, তাহলে সেখানে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষুব্ধ সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করছেন এবং এনসিপির কয়েকজন নেতা তাঁদের অনুরোধ করছেন সংবাদ সম্মেলন চালিয়ে যেতে। তাতে এক সাংবাদিকের জবাব ছিল, “এবার ফাঁকা করে দিছি, বহু জায়গা হইছে, আপনারা মিছিল করেন।”

এ ঘটনায় দলীয়ভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে এনসিপি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, “সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এনসিপি নেতারা। নিউইয়র্ক সফরেও আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া আজকের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনসিপির ভাবমূর্তি ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এখন দেখার বিষয়, দলীয় তদন্তের পর কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এনসিপি।