সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে অমানবিক আচরণের নিন্দা

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিক নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন এবং তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো। ছবিটি দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে এবং ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বন্দীদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একজন বয়স্ক, অসুস্থ, এবং মৃত্যুপথযাত্রী নাগরিকের সঙ্গে এমন আচরণ শুধুমাত্র অমানবিকই নয়, বরং তা বাংলাদেশের সংবিধান, মানবাধিকার সনদ, এবং পুলিশ প্রবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। পুলিশ প্রবিধানের ৩৩০ ধারা অনুযায়ী, দুর্বল বা অসুস্থ বন্দীদের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনসমূহের মতে, একজন মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী এবং প্রবীণ রাজনীতিক হিসেবে নূরুল মজিদের সঙ্গে এমন ব্যবহার অনভিপ্রেত এবং সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি দৃষ্টান্ত।
আমরা দাবি জানাচ্ছি:
১. এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।
২. ভবিষ্যতে কোনো বন্দীর সঙ্গে এ ধরনের অমানবিক আচরণ যেন না ঘটে, সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি স্পষ্ট নীতিমালা ও নির্দেশনা জারি করা হোক।
৩. চিকিৎসাধীন বন্দীদের ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় শিথিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।
৪. প্রয়াত নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন নিশ্চিত করা হোক।
আমরা আশা করি, নতুন সরকার এবং প্রশাসন ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে সংবেদনশীল আচরণ করবে এবং প্রতিশ্রুত সংস্কারের পথে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
