বিজন ভাবনা

বিজন ভাবনা (১১): সিপিবির কংগ্রেস ও কিছু কথা 

-বিজন সাহা

গত ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল। এবার কংগ্রেস হল তথাকথিত ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরে। সেই গণ অভ্যুত্থানে সিপিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সিপিবি ততটা না হলেও তার গণ সংগঠন উদীচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তো হয়ই নাই, উল্টো দেশে আরও বেশী করে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। দেশে বর্তমানে এসব শক্তির পরোক্ষ শাসন চলছে। সিপিবি জুলাই পরবর্তী অনেক কিছুই গিলতে পারলেও ঠিক হজম করতে পারেনি আমার কিছু কিছু বিষয় উগরে ফেলতেও সমর্থ হয়নি। এমনকি এসব প্রশ্নে পার্টির মধ্যে তীব্র মতবিরোধ আছে বলেও শোনা গেছে। এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিবি কী নীতি গ্রহণ করে সেটা দেখার জন্য পার্টির কর্মী ও সমর্থকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই অনেকের মত আমিও চেষ্টা করেছি কংগ্রেসের খবরাখবর নিতে। ফেসবুকে নানা জনের নানা মত শুনে আর কংগ্রেসের ছবি দেখে চেষ্টা করেছি সেখানকার আবহাওয়া অনুভব করতে।

সিপিবির কংগ্রেসে মঞ্জুরুল আহসান খান মঞ্জু ভাইকে দেখলাম। দেখলাম অনেক দিন পরে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তৎকালীন সিপিবি নেতৃত্ব পার্টি বিলোপ করতে চাইলে যে কয়জন নেতা-কর্মী পার্টিকে ধরে রেখেছিলেন মঞ্জু ভাই ছিলেন তাদের অন্যতম। ছিলেন সিপিবির সভাপতি। মস্কোয় পড়াশুনা করার সুবাদে সেই সময়ের সিপিবির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আমার পরিচয় হয়, অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  সামাজিক মাধ্যমের সুবাদে অনেকের সাথেই সেই সম্পর্ক এখনও অটুট রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে এখনও সেই সময়ের নেতাদের রাজনৈতিক গতিবিধি সম্পর্কে খবর রাখার চেষ্টা করি। মঞ্জু ভাইয়ের বিগত কয়েক বছরের বেশ কিছু কাজ অনেকেই খুব ভালো ভাবে নিতে পারেনি। একজন ব্যক্তি হিসেবে তাঁর অবশ্যই স্বাধীনতা আছে বিভিন্ন বিষয়ে নিজস্ব মত পোষণ করার। তবে যেহেতু তিনি ছিলেন অনেকের কাছেই পথপ্রদর্শক স্বরূপ, যেহেতু তাঁকে দেখে অনেকেই সিপিবির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে, তাই কিছু কিছু প্রশ্নে তাঁর ইউ-টার্ন অনেককে ব্যথিত করেছে। আর এসব কারণেই কয়েক বছর আগে তাকে সিপিবি থেকে বহিষ্কার করা হয়। অনেক দিন পরে তাঁকে দেখে মনে হল সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার মত শারীরিক অবস্থা ওনার নেই। তবে তাঁর বয়স, অতীতে পার্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান এসব বিবেচনা করে কংগ্রেস তাঁর পার্টি সদস্য পদ পুনর্বহাল করতে পারে কি না সেটা বিবেচনার জন্য তাই সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল সেটা এর আগে বিভিন্ন কারণে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যাওয়া অনেকের জন্যই সবুজ সংকেত‌ হিসেবে কাজ করবে। পার্টির একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নেতার অবদানের প্রতি এরকম স্বীকৃতি পার্টির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেই আমার মনে হয়েছিল। তবে সেটা হয়নি। নতুন কমিটি চাইলে সেটা করতেই পারে। তবে কংগ্রেস এটা করলে যে ইফেক্ট হত এখন আর সেটা হবে না।

সেই আশির দশকের শুরুতে যখন রাজনীতির সাথে জড়িত হই তখন থেকেই সিপিবির কংগ্রেস নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। এর একটা অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কমিউনিস্ট পার্টির দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা। তবে অনেক ভালো ছাত্র স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভালো ফল করেও যেমন জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না, সিপিবির মত অনেক দেশের কমিউনিস্ট পার্টিও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অসাধারণ ভাবে পর্যালোচনা করেও ভোট নামক জীবন পরীক্ষায় বার বার ফেল করে। তারপরেও আমার মত অনেকেই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে পার্টির রণনীতি ও রণকৌশল কী হবে সেটা জানার জন্য। তবে এবার আগ্রহ ছিল যতটা না পার্টি কোন পথে চলবে সেই নীতি নিয়ে তারচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল কে বা কোন গ্রুপ পার্টির নেতৃত্ব দেবে সেটা নিয়ে। কারণ আওয়ামী স্বৈরশাসন ও পরবর্তীকালে মব শাসিত বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পার্টি যে দ্বিধাবিভক্ত সেটা বারবার ফেসবুক বা ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। ফলে এই প্রথমবারের মত সামনে চলে আসে অন্য ভয় – পার্টি ভাঙবে না তো? পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে তো?

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এই কংগ্রেস যমজ সন্তানের পরিবর্তে একটি মাত্র সন্তান প্রসব করেছে। তবে কিছু কিছু ব্যাপার দেখে অনেকে মনে করতে পারে যে কংগ্রেস আসলে সিয়ামিজ যমজ প্রসব করেছে। আর এ কারণেই হয়তো নতুন কমিটির কিছু কিছু মানুষ বিজয় মিছিল বের করেছে। যা দেখে আমার মনে পড়েছে ছাত্রজীবনের কথা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলন। নির্বাচন শেষে সবাই মিলে প্রসেশন করে শহরের রাস্তায় ঘোরা – পরেশ রায়, আবুবকর সিদ্দিকী তুলু, লতিফ সিদ্দিকী, আখতার হোসেন, প্রদীপ হোর, দুলাল মিত্র, আরও অনেকে। কোন বিজয় মিছিল নয়। কেউ বিজয়ী নয়, কেউ পরাজিত নয়। একমাত্র বিজয়ী ছাত্র ইউনিয়ন। তাই সিপিবির নির্বাচন পরবর্তী বিজয় মিছিল মানে একদল লোক পরাজিত হয়েছে। সিপিবির কিছু সদস্য যখন পরাজিত হয় তখন সিপিবি কি জয়ী হয়? নাক, কান, আঙ্গুল দেহের তুলনায় যত নগণ্যই হোক না কেন কোন অঙ্গ অসুস্থ হলে শরীর কি সুস্থ থাকে? – এসব প্রশ্ন সামনে চলে আসে।

কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিনা জানি না, ফেসবুকে ও দু একটা গ্রুপে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেখানে বক্তা আবদুল্লাহ আল ক্কাফি রতন বাহাত্তরের সংবিধানকে আওয়ামী লীগের সংবিধান হিসেবে উল্লখে করেন। সিপিবির রাজনীতির সাথে দীর্ঘ দিন জড়িত এক কেন্দ্রীয় নেতা যিনি নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তার মুখে এই কথা শুনে অবাক হই। কারণ ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে বাহাত্তরের সংবিধানের পুনর্বহাল করা ছিল সিপিবির অন্যতম প্রধান দাবি। সংবিধান ধর্মগ্রন্থ নয়, সেটা পরিবর্তন করা যেতেই পারে, বিশ্বের দেশে দেশে এটা হয়। তবে  বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যেমন কিছু আক্সিওম বা স্বতঃসিদ্ধ ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত, কোন দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক রূপরেখাও তেমনি। বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সেই স্বতঃসিদ্ধ ধারণা, এটাকে প্রশ্ন করা মানেই এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা। দেশ শুধু ভৌগলিক সীমারেখা আর সেখানে বসবাসরত মানুষ নয়, দেশ তারচেয়েও বেশি কিছু। দেশের আত্মা তার সংস্কৃতি যা হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে। আর এই ভাষা, এই সাহিত্য, এই সংস্কৃতির জন্য লড়াই একদিন মুক্তিযুদ্ধের রূপ লাভ করে। এটাই বাহাত্তরের সংবিধানে ভিত্তি। সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাহাত্তরের সংবিধানে বিভিন্ন পরিবর্তন আসতেই পারে, কিন্তু রতন যেভাবে প্রশ্নটি তুলেছেন তাতে বাহাত্তর তথা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি তিনি কতটুকু অনুগত সে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। আমরা তো জানি কারা এই সংবিধান অস্বীকার করে। তাহলে? সিপিবি কি জেনেশুনেই এমন একজন মানুষের হাতে দলের দায়িত্ব অর্পণ করল যে দেশের প্রধান দলিল তো বটেই এমনকি দেশের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক দলিলকে অস্বীকার করলেন? আবারও বলছি সংবিধান পরিবর্তিত বা সংশোধিত হতেই পারে, তবে সংবিধান গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না এই যুক্তি কতটুকু সঠিক? যেহেতু রতন মার্ক্সবাদে বিশ্বাসী তাই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে মার্ক্সবাদও যেহেতু জনগণকে জিজ্ঞেস করে লেখা হয়নি সেক্ষেত্রে তিনি কী বলবেন? রতনের এই বক্তব্য ইতিমধ্যে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্মও দিয়েছে। আশা করব সিপিবির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি তার বক্তব্যের যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যা দেবেন অথবা ভুল স্বীকার করবেন। বিশেষ করে এখনও যখন সিপিবি বাহাত্তরের সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখার কথা বলছে তাই এই প্রশ্নে সাধারণ সম্পাদকের পরিষ্কার বক্তব্য থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়।

পড়ুন:  বিজন ভাবনা (১২): স্বচ্ছতা  - বিজন সাহা

ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সভাপতিমন্ডলী নির্বাচিত হয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই যে বিশেষ করে সভাপতিমন্ডলীতে কিছু কিছু নাম না দেখে বেশ অবাক হয়েছি। এতে করে পার্টির ভেতরে যে দলীয় কোন্দল আছে সেটা আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যেকোনো সংগঠনে বিভিন্ন প্রশ্নে দ্বিমত থাকবে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অস্বাভাবিক হচ্ছে যখন ভিন্ন মত পোষণকারীদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়, তাদের মতামতকে গোড়াতেই দমন করা হয়। বলতে দ্বিধা নেই যে শেখা হাসিনা এভাবেই রাজনীতির মাঠ থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বিদায় করে পরে নিজেই বিদায় নেন। এভাবে পার্টির কোন এক অংশকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে এক সময় গোটা পার্টিটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পৃথিবীতে সবই কমবেশি এই নিয়মে চলে। সবাই আমরা নিজেদের বিশেষ মনে করতে চাই, আসলে কেউই তা নই।

রুশ দেশে বিভিন্ন জাতীয় প্রশ্নে আলাপ আলোচনা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই মিলিত হয়। এটা হয় মূলত প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে। তারা খুব সুন্দর একটা কথা বলেন – “আমরা বিভিন্ন দল করি। দেশ কোন পথে চলবে সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনা ভিন্ন, ভিন্ন আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ। কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা একমত – দেশ আমাদের একটাই। তাই যখন দেশের প্রশ্ন আসে আমরা ভেদাভেদ ভুলে যাই।” পার্টিও একটাই যদি পার্টির চলার কৌশল নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। আশা করি বিভিন্ন প্রশ্নে সমস্ত মনোমালিন্য ভুলে পার্টির নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সিপিবির বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে সেটা করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিপিবি তার প্রাসঙ্গিকতা হারাবে।

নতুন কমিটি থেকে যেটা অনেকেই আশা করছে তা হল উদীচী, ছাত্র ইউনিয়ন ইত্যাদি গণসংগঠনের ঐক্য। যতদূর শোনা যায় এসব সংগঠনে সমান্তরাল কমিটির জন্ম হয়েছিল মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সমর্থনে। প্রশ্ন আসতে পারে অন্য কমিটিও তো কারোও না কারোও সমর্থনেই হয়েছিল। হ্যাঁ আবার না। কারণ সেটার পেছনে কেন্দ্রীয় কমিটির সমর্থন ছিল। তাই তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা চলে না। এখন যেহেতু সেলিম গ্রূপ ক্ষমতায় আমরা আশা করতেই পারি গণসংগঠনগুলোর এই কোন্দল মিটবে। তবে এটা নতুন কমিটির জন্য ক্রেডিট নয়, ভুল সংশোধন। এটা যত দ্রুত পারা যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্যান্ডরার বাক্স আপনারাই খুলেছেন, সেটা বন্ধ করার দায়িত্ব আপনাদেরই।

আমরা যারা একসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম কিছু দিন আগে পর্যন্তও এ নিয়ে গর্ব করতাম। সোভিয়েত আমলে অনেক ছাত্রছাত্রী সিপিবির স্কলারশীপ নিয়ে এদেশে লেখাপড়া করতে এসেছিল। আমি মনে সেই অল্প কিছু মানুষের একজন যে এখনও সুযোগ পেলেই জানায় যে সে সিপিবির স্কলারশীপ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে এসেছিল। বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনীতিতে সিপিবি সবসময়ই এক বিশেষ অবস্থানে ছিল। এখন মনে হয় সিপিবি এই ধারার একমাত্র শিখা যে এখনও নিভি নিভি করেও জ্বলছে। আমিসহ অনেকেই আশা করব নতুন কমিটি আমাদের হতাশ করবে না। তারা সাময়িক লাভলোকসানের হিসাব না করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাবেন, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সম্পদের ন্যায্য বণ্টন হয় এমন এক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। আশা করব সিপিবিকে নিয়ে আমাদের যে গর্বের জায়গাটুকু আছে সেটা তারা জিইয়ে রাখবেন।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো