বিজন ভাবনা (৯) স্বপ্নভঙ্গ -বিজন সাহা
আজকাল অনেকেই তাদের স্বপ্নভঙ্গের কথা বলে। বন্ধুদের সাথে কথা হয় মূলত ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে। কী হতে পারত যদি না ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হত? কেউ কেউ ভারত বিভাগ ভুল মনে করলেও ভারতের হিন্দুত্ববাদী দলগুলোর অখণ্ড ভারতের ধারণা এই অঞ্চলের জন্য ক্ষতিকর মনে করে। কেউবা অখণ্ড বাংলার কথা বলে, বলে তখন এই অঞ্চলে অখণ্ড বাংলা প্রতিষ্ঠিত হলে কী ভালোই না হত। এদের বেশিরভাগই একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলার স্বপ্ন দেখে। বিগত কয়েক যুগ ধরে দেশে স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান দেখে এদের অনেকেই বলে তাদের হতাশার কথা। এদের কেউ কেউ আমার পরিচিত, কারও সাথে পরিচয় ফেসবুকে। এদের কেউ কেউ মস্কোয় পড়াশুনা করেছে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম না নিলেও কেউ কেউ বিভিন্ন ভাবে বাম রাজনীতির সংস্পর্শে এসেছে। পরে মস্কো ছেড়ে আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বে চলে গেছে নতুন জীবনের সন্ধানে। এখানে পশ্চিমা মানে ভৌগলিক ভাবে পশ্চিম নয়, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ইত্যাদিও পশিচমা বিশ্ব। এরা একই রাজনৈতিক বলয়ে অবস্থান করে। তবে সেটা শুধু অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নই ছিল না, ছিল দীর্ঘদিন ধরে মনের ভেতরে লালিত গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মানবতা ইত্যাদির পরশ পাওয়ার আশা, ঠিক যেমন একসময় বামপন্থী লোকজন মস্কো এসে শোষণহীন সমাজ খুঁজত। দীর্ঘ দিন সোভিয়েত ইউনিয়নে অবস্থান করে আমরা যেমন কল্পনার সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে বাস্তবের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিস্তর ফারাক দেখে হতাশ হয়েছি ঠিক তেমনি ভাবে দীর্ঘদিন পশ্চিমা বিশ্বে থেকে অনেকেরই মনে হয়েছে যে আসলে সেখানেও সেই ঘোষিত গণতন্ত্র, মানবতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ইত্যাদি অনুপস্থিত, ঠিক যেমন ধর্মে অনুপস্থিত শান্তি।
নিজেদের কথায় বা লেখায় কেউ কেউ জানায় আমেরিকাকে নিয়ে তাদের হতাশার কথা। অনেকের মতে এখন মৌলবাদীরা আমেরিকা শাসন করছে আর এটা এক ধরণের জেলে পরিণত হয়েছে। আমার রিয়ালাইজেশন ভিন্ন। আমার মতে মৌলবাদী হলেই যে তাকে ধর্মীয় উগ্রবাদী হতে হবে তার মানে নেই। যে কোন লোক যে কোন ইজমে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে সে মৌলবাদী হতে বাধ্য। মৌলবাদ কোন আদর্শ নয় – এটা কোন আদর্শের প্রতি কোন মানুষের আনুগত্যের ধরণ বা অন্ধ আনুগত্য। আমরা যখন বিজ্ঞানমনস্কতার কথা বলি – তখন প্রশ্ন করার অধিকারকে প্রাধান্য দেই। ধর্ম যেহেতু প্রশ্ন নয়, বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত তাই তা মৌলবাদীদের জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে ধর্মীয় মৌলবাদীদের কথাই আমরা সাধারণত বলি। আসলে এক জন মানুষ যে কোন আদর্শে বিশ্বাস করতেই পারে। এ জন্যে তাকে অভিযুক্ত করা যায় না। অভিযুক্ত কাউকে তখনই করা যায় যখন সে এই বিশ্বাস জোর করে অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে চায় বা চাপিয়ে দেয় আর এটা করতে গিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে। গণতন্ত্র নিঃসন্দেহে ভালো আইডিয়া। কিন্তু যখন সেটাকে মিশাইল দিয়ে অন্যদের উপর আরোপ করা হয় তখন সেটা আর গণতন্ত্র থাকে না। আসলে মিসাইল দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর চাপাতি বা মব দিয়ে ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পৃথিবীতে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় আর এর ফলে আমেরিকা বিভিন্ন প্রশ্নে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মৌলবাদীদের মত আচরণ শুরু করে।
আমরা যখন কোন প্রোজেক্ট শুরু করি সেটার সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ণয় করি অর্জিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। যদি আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয় তাহলে প্রোজেক্ট সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। ভারত বিভাগের উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য একটি ন্যায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটানো, ভারত ও পাকিস্তান এই দুটো রাষ্ট্রকে ভ্রাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। মনে কি ছিল সেটা আমরা জানি না, তবে জিন্নাহ সহ পাকিস্তানের প্রবক্তাদের অনেকে এই লক্ষ্যের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে কি দেখছি? একটি লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি। তাহলে কি দাঁড়ায়? পাকিস্তান প্রোজেক্ট ব্যর্থ, সেই প্রোজেক্ট বাস্তব জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যক্তি জীবনে যখন দেখি কোন প্রোজেক্ট ব্যর্থ হয়েছে আমরা সেই ব্যর্থতার অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নতুন প্রোজেক্ট শুরু করি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি না যে দুই জার্মানির মত ভারত একসময় এক হতে পারে। তাহলে? আমরা যদি বুঝতে পারি যে দ্বিজাতিতত্ত্ব ভুল তাহলে বর্তমান রাজনীতিতে সেই তত্ত্ব থেকে সরে আসতে পারি, আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতি থেকে এই তত্ত্ব চিরদিনের মত ত্যাগ করতে পারি। এর ফলে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণা কমবে। ফলে যুদ্ধংদেহী তিনটি দেশের পরিবর্তে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মত এখানেও একটি শান্তিপূর্ণ সিস্টেম গড়ে উঠতে পারে। যদি খেয়াল করি তাহলে দেখব যে এসব দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে জনসমর্থন লাভ করে। তাই যতক্ষণ না লেনিন বা কামাল পাশার মত নেতা, যারা জনমত উপেক্ষা করে দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর রচনা করতে পারে, এসব দেশে জন্ম নিচ্ছে, ততদিন তেমন কোন আশা নেই। শেখ মুজিব সেটা করেছিলেন আংশিক ভাবে আর তাই দেশ স্বাধীন হবার পরে আইওসি সহ অন্যান্য ইসলামিক সংগঠনের সদস্যপদ পাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। আসলে এখানে কোন মাঝামাঝি পথ নেই। হয় দেশকে আধুনিক পথে চলতে হবে নয়তো মধ্য যুগে ফিরে যেতে হবে। আধুনিক হব আবার মদিনা সনদ কায়েম করব – এটা অনেকটা সোনার পাথরবাটির মত। তবে যেহেতু দ্বিজাতিতত্ত্বের জন্ম পাকিস্তানকে ঘিরে বা পাকিস্তানের জন্ম দ্বিজাতিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তাই এই তত্ত্বের অপসারনে তাকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা করতে পারলে পাকিস্তান নিজেও হয়তো দীর্ঘ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসন থেকে মুক্তি পাবে। হয়তো বলছি কারণ ভারত বিভাগের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হল নৈতিকতার অধঃপতন। এর আগেও যুদ্ধ বিগ্রহ হত, দেশ ধ্বংস হত, কাতারে কাতারে মানুষ মারা যেত, সহায় সম্পত্তি হারাত। কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষ এই প্রথম বারের মত আইনের মাধ্যমে সর্বহারা হল। একদল মানুষ বুঝতে পারল চাইলেই অপেক্ষাকৃত দুর্বলকে পথে বসানো যায় কোন রকম শাস্তির ভয় না করেই। সেটা শুধু ভিন্নধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধেই নয় স্বধর্মীদের বিরুদ্ধেও করা যায়। আইনের শাসনের কবর রচনা হল ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে। যে কারণই দেখানো হোক না কেন দিনের শেষে জিন্নাহ পাকিস্তান চেয়েছিলেন একান্তই নিজের ক্ষমতায়নের জন্য আর সেটা করেছিলেন গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলে পাকিস্তানের জন্ম হলেও জিন্নাহ তাঁর নিজের মত করেই সেখানে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন আর এই অঞ্চলের কারোও মাতৃভাষা না হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করেছেন। অধিকাংশ মানুষের মতামত উপেক্ষা করা আর যেকোনো কৌশলে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা এটা পাকিস্তানের জন্ম সূত্র। কী পাকিস্তানের কী বাংলাদেশের – দুই দেশের এলিট শ্রেণী এই মন্ত্রে দীক্ষিত। এসব দেশে তাই বারবার সামরিক শাসন বা বেসামরিক শাসকদের স্বৈরাচারী ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়। সমস্যা শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নোবেলজয়ী বা নোবেল প্রত্যাশী শাসকে নয়, স্বৈরাচার আসলে এই অঞ্চলের শাসকদের রক্তের মধ্যে নিহিত। ১৯৪৭ সালে বিস্ফোরিত সেই বোমা চেইন রিয়্যাকশনের মত আজও সমাজের অবক্ষয়ে অবদান রেখে চলেছে। এখান থেকে মুক্তি পাওয়া কি এতই সহজ!
এক সময় আমার ধারণা ছিল যে যদি না ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হত তাহলে হয়তোবা মানুষকে এতটা দুর্গতি ভোগ করতে হত না। এখন মনে হয় যেকোন বিভাজনই দুর্ভোগ ডেকে আনে। তবে একথাও ঠিক প্রায় প্রতিটি ঘটনাই একদলের জন্য যেমন সুখবর বয়ে আনে অন্য দলের জন্য বয়ে আনে দুঃসংবাদ। এভাবেই মনে হয় প্রকৃতি ভালো মন্দের ব্যালেন্স ঠিক রাখে। মানুষ যখন দীর্ঘ দিন কোন অর্থনৈতিক জোনে বাস করে তখন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক, নির্ভরশীলতা গড়ে ওঠে।
ভারত বিভাগ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। মুসলিম লীগের ধ্যান জ্ঞান ছিল ভারত বিভাগ, এটা ছিল সেই দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কিন্তু যখন বাংলা বিভাগের প্রশ্ন আসে তখন এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন মতামত সামনে চলে আসে। কেউ দোষ দেয় সহরোওয়ার্দি, জিন্নাহকে, কেউ শ্যামাপ্রসাদ আর নেহেরুকে। এই তো কিছু দিন আগে একজন লিখল মুসলিম প্রধান বাংলায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কখনো প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না আর মুসলিম নেতারা বোঝাতে পারেন নাই যে বাংলা ভাগ না হলে তারা পাকিস্তানে যোগ দেবেন না। কথাটা আংশিক সত্য। কেননা কংগ্রেস তো বটেই, এর বাইরে অধিকাংশ হিন্দু নেতা অবিভক্ত ভারতের কথা বলেছেন। বাংলার প্রথম সারির হিন্দু নেতারা নিজেদের সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন তা সে চিত্তরঞ্জন দাশ হোক, সুভাষ বোস বা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হোক। এমনকি কংগ্রেস নেতা মাওলানা আজাদ নিজেও ছিলেন সর্বভারতীয় নেতা। অন্যদিকে বাংলার মুসলিম বিশেষ করে মুসলিম লীগের নেতারা যেহেতু অবিভক্ত ভারতের ধারণা প্রথম থেকেই খারিজ করে দিয়েছিলেন তাই তারা নিজেদের কখনোই সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে দেখেন নি। মুসলিম (লীগের) নেতাদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল হিন্দুরা যেহেতু ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই তাদের পক্ষে কখনোই ক্ষমতাসীন হওয়া সম্ভব নয়, আজীবন বিরোধী দলের আসনেই বসে থাকতে হবে। আর এ থেকেই ভারত ভেঙে পাকিস্তান তৈরি করার অদম্য ইচ্ছা যা তাদের ক্ষমতার গ্যারান্টি দেয়। সেদিক থেকে দুই সম্প্রদায়ের নেতাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল দুই রকম। দ্বিতীয়ত ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের সময় হিন্দু মুসলমানের যে ঐক্য গড়ে ওঠে সেটা আর ছিল না। এমনকি যদি পাকিস্তান সম্পর্কিত লাহোর প্রস্তাবের আগেও অবিভক্ত বাংলার প্রশ্ন আসত সেটা হবার যে সম্ভাবনা ছিল, ১৯৪৬ সালের ক্যালকাটা কিলিংয়ের পরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকে। আর এসব কারণেই বাংলা ভাগের পক্ষে যারা ছিল তারা নিজেদের পক্ষে সমর্থন গড়ে তুলতে পারেনি।
আজকের উপমহাদেশের রাজনীতি এমন কী ভারত বিভাগের প্রাক্কালের চেয়েও অনেক বেশি করে ধর্ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ধর্ম এখন রাজনীতিতে তুরুপের তাস, যেটা সবাই খেলে। গত বছর আগস্টে পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক বা গণ সংগঠনের প্রভাব শুধু বাড়েইনি, অনেক ক্ষেত্রে তা নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় যারা একটি আধুনিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে এমন বাংলাদেশের বা অবিভক্ত বাংলার স্বপ্ন দেখে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র কখনোই শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াতে পারেনি। তারপরেও এই দুর্বল গণতন্ত্রের কাঁধে চড়েই বার বার দুঃশাসন এসেছে বাংলার মানুষের দুয়ারে। গণতন্ত্রের মূল শক্তি জনগণ যার আধুনিক রূপ জনমত। যেহেতু উন্নত তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনমত অনায়াসে ম্যানিপুলেট করা যায় তাই গণতন্ত্রের শক্তিই আজ তার বড় দুর্বলতা। এই দুর্বলতাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে একমাত্র জনগণই। একমাত্র জনগণই পারে যারা এখনও সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে।
গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো