বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
আজ বিকাল ৪টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য শ্রমিকনেতা তপন দত্ত এবং সঞ্চালনা করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান।
সভায় বক্তব্য রাখেন টিইউসি পাহাড়তলিআঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মীর মোহাম্মদ ইলিয়াস, সাধারন সম্পাদক সুকান্ত দত্ত, টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজান, কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ পারভেজ, হোটেল সেন্ট মার্টিন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, বাঁশখালি সিএনজি ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহেদুল ইসলাম, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিন উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইনসাব চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নেতা মোঃ আক্তার মিয়া, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন, হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মোতালেব ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আলম, টিইউসি আঞ্চলিক কমিটির সহসভাপতি মোঃ রাশেদ, পোশাক শ্রমিক নেতা মোঃ হানিফ, স্টিল মিল শ্রমিক নেতা মোঃ রাসেল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা শ্রম সংস্কার কমিশন প্রণীত ২৫ দফা সুপারিশ এবং কেন্দ্রীয় স্কপের ৯ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান। তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী হলেও শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে না। অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, সম্প্রতি জাহাজভাঙা শিল্প, নির্মাণ শিল্পসহ দেশের প্রায় সকল শ্রম খাতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে, যার ফলে বহু শ্রমিক প্রাণ হারাচ্ছে এবং অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সারাদেশের জনমত উপেক্ষা করে বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দরের কোন কন্টেনার টার্মিনাল দেশী-বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হলে তা এদেশের শ্রমজীবী মানুষ কখনো মেনে নিবে না। সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না বলেও মতামত ব্যক্ত করা হয়।