গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা দাবি: ছাত্র আন্দোলন নেতার বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক মহিলা এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক এবং ২০ লাখ টাকার এফডিআর নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের নাখালপাড়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারটি চেক উদ্ধার করেছে, যার মোট মূল্য ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্রও পাওয়া গেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রিয়াদসহ আরও কয়েকজনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য ও ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী গৌরব অপু শাম্মী আহমেদের গুলশান-২ এর বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, তারা বাদীকে সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারপন্থী বলে আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। এ অবস্থায় ভীত হয়ে তারা ১০ লাখ টাকা দেন। এর কয়েক দিন পর তারা আবারও বাকি টাকা নিতে গেলে শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৬ জুলাই তারা ফের বাসায় গিয়ে স্বর্ণালংকার দাবি করে। তখন পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে গুলশান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে।
ঘটনাটি ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা এবং নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে তারা নিজেদের পরিচিতি ও অবস্থানকে কাজে লাগিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
