চলমান সংবাদ

জিরি সুবেদার শিপ ইয়ার্ডে শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দোষীদের শাস্তির দাবি

গতকাল জিরি সুবেদার নামক একটা শিপ ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় নাজমুল হক পলাশ নামের একজন শ্রমিক আহত হওয়ায় জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক তপন দত্ত এবং  যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন এবং জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট জহির উদ্দিন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আবসার ও দিদারুল আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব মোঃ আলী এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ ইদ্রিস গভীর উদ্বেগ জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ২৭ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় জিরি সুবেদার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ফিটার গ্রুপের শ্রমিক নাজমুল হক পলাশ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিসাধীন রয়েছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৬ জুন থেকে বাংলাদেশে হংকং কনভেনশন অনুযায়ী জাহাজ কাটার বিধান কার্যকর হয়েছে এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ১৬টি হংকং কনভেনশন কমপ্লায়েন্ট গ্রিন ইয়ার্ড সক্রিয় রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করেছিলাম, এখনকার ইয়ার্ডগুলোতে শ্রমিক নিরাপত্তা সর্বোচ্চ মাত্রায় নিশ্চিত থাকবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, শুধুমাত্র কনভেনশন অনুসরণ করলেই যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় নাযদি না নিয়মিত ও কার্যকর মনিটরিং ও প্রয়োগযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গত বছর এস এন কর্পোরেশন নামক একটি গ্রিন ইয়ার্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৬ জন গুরুতর আহত হন। চলতি বছরেও এখন পর্যন্ত ১৫টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান আমাদের চরমভাবে শঙ্কিত করছে।

নেতৃবৃন্দ ইয়ার্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে নিম্নোল্কত দাবি জানান-

১. জাহাজ কাটার প্রতিটি ধাপ নিয়মিতভাবে মনিটরিং করতে হবে এবং ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করতে হবে।
২. প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪. আহত শ্রমিকের সুচিকিসা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, শ্রম মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেন শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা শুধু কাগজে নয়, বাস্তব প্রয়োগেও নিশ্চিত হয়।