চলমান সংবাদ

৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে ইউনূস

ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় সরকারের নীরবতা নিয়ে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে লন্ডনে আয়োজিত এক সংলাপে।

বুধবার রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (চ্যাথাম হাউজ) আয়োজিত এই সংলাপে ইউনূস অংশ নিলে এক প্রবাসী সাংবাদিক প্রশ্ন তোলেন, “যখন আপনার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, তখন আপনি কীভাবে ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নীরব থাকলেন?”

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের একদিন পর, গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ তারিখে ঐতিহাসিক বাড়িটিতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সেটি সম্পূর্ণরূপে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সে সময় সরকার এবং প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয় দেশ-বিদেশে।

প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে ইউনূস বলেন, “এখন আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি। দেশ শান্ত, শৃঙ্খলায় ফিরে এসেছে।”

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় পুলিশ বাহিনীর ভেতরে বিভ্রান্তি ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। “তারা (পুলিশ) রাস্তায় যেতে ভয় পাচ্ছিল। আমাদের সময় লেগেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।”

অবশ্য তিনি দাবি করেন, বর্তমানে যারা নৃশংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের শনাক্ত করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। “সব কিছু ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে, অপরাধীরা চিহ্নিত হয়েছে, এবং বিচার প্রক্রিয়া চলছে।”

ঐক্যের প্রশ্নে ইউনূস বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য প্রতিষ্ঠা আমাদের এক নম্বর লক্ষ্য। আমরা সবাইকে নিয়ে ‘জুলাই চার্টার’ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দেন, “জুলাই মাসেই সব দলের উপস্থিতিতে একটি ঐক্যমূলক ঘোষণা আসবে, যা দেশের জন্য সবচেয়ে বড় ঐক্যের নিদর্শন হবে।”

তবে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো একটি সংবেদনশীল ঘটনা নিয়ে সরকারের নির্লিপ্ততা এবং ইউনূসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।