আহত শ্রমিকদের পাশে শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান

বায়েজিদ স্টিল মিলের কর্মরত অবস্থায় গুরুতর আহত দুই শ্রমিক মোঃ তোহা উদ্দিন রিফাত ও মোঃ আরিফুল ইসলামের খোঁজ নিতে আজ তাদের বাসভবনে যান শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ এবং কমিশনের সদস্য তপন দত্ত।
এই সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, টিইউসি কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, এবং স্টিল মিলের শ্রমিক মোঃ রাসেলসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান রিফাত ও আরিফুলের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং ভবিষ্যতে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা মালিকপক্ষের দায়িত্ব। যদি মালিকপক্ষ এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কর্মরত অবস্থায় রিফাত ও আরিফুলের ওপর জ্বলন্ত লোহার বান্ডেল পড়ে যায়। এতে রিফাতের ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়—তার পায়ের মাংস পুড়ে গিয়ে হাড় পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। সম্প্রতি স্থানীয় মেরিন সিটি হাসপাতালে তার পায়ের অপারেশন করে ক্ষতিগ্রস্ত হাড় ফেলে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তিনি ভবিষ্যতে আর পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারবেন না।
অন্যদিকে, শ্রমিক মোঃ আরিফুল ইসলামের মুখমণ্ডল পুড়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও তিনি আগের মতো কর্মক্ষম হবেন কিনা, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর মালিকপক্ষ যথাযথ চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে গাফিলতি করে। বিষয়টি বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দৃষ্টিগোচর হলে, গত ৪ মার্চ তারা চট্টগ্রামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও উপমহাপরিদর্শকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। পরবর্তীতে ৬ মার্চ মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চিকিৎসা সহায়তা কিছুটা উন্নত হলেও এখনও দায়িত্বহীনতা ও গড়িমসির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
