চলমান সংবাদ

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যায় কাটেনি সন্দেহ, সংশয়

-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বক্তব্যে সংশয় কি কাটল?


রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে জোর আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে অবশেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাখ্যা দিলেও নানা প্রশ্ন ও সংশয় কাটেনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিশেষ করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সরকারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা এই পদক্ষেপকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক ও অনিশ্চিত বলে মনে করছে।

সরকার দাবি করেছে, এই উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবে মানবিক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এবং এতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তবে বাস্তবে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে সরকারের একাধিক অংশীজনের মধ্যেও।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর একটি অভ্যন্তরীণ সভায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্টভাবে বলেন, “রাখাইনে মানবিক করিডর সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই গ্রহণ করতে হবে এবং তা অবশ্যই সংবিধানসম্মত ও বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হতে হবে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইঙ্গিত মিলেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একক সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী পুরোপুরি একমত নয়।

অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে রাখাইন সংক্রান্ত আলোচনাকে “গুজব” বলে উড়িয়ে দেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও ধোঁয়াশাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে স্বচ্ছ ও সর্বজনগ্রাহ্য ব্যাখ্যা না থাকলে জনমনে উদ্বেগ বাড়বে এবং ভবিষ্যতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে।