মস্কোয় ড্রোন হামলায় চারটি বিমানবন্দর বন্ধ: পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত কুরস্ক সীমান্ত
দুই রাত ধরে টানা ড্রোন হামলার কারণে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর সব প্রধান বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া জানায়, নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ড্রোন হামলায় তারা ২৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে কিছু ড্রোন শহরের বিভিন্ন অংশে আঘাত হানে, যার মধ্যে একটি ড্রোনের আঘাতে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের জানালা ভেঙে পড়ে বলে জানা গেছে।
রাশিয়ার অন্যান্য শহর যেমন পেনজা এবং ভোরোনেজেও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও ইউক্রেন এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি, খারকিভের মেয়র দাবি করেছেন, রাশিয়াও কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এই সাম্প্রতিক হামলার মধ্যেই সামনে এসেছে কুরস্ক সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার খবর। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের তিওতকিনো গ্রামে একটি ড্রোন কমান্ড ইউনিটে আঘাত হেনেছে। পাশাপাশি, রুশ প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, ইউক্রেনের হামলায় কুরস্ক অঞ্চলের রিলস্ক শহরের একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এতে দুটি ট্রান্সফরমার ধ্বংস হওয়ায় এলাকাটি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছে দুই কিশোর।
রাশিয়ার সামরিক ব্লগারদের দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্তের ওপর দিয়ে ট্যাংকবিরোধী ফাঁদ অতিক্রম করে গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং একটি সেতু ধ্বংস করে সাঁজোয়া যান ও মাইন পরিষ্কারকারী ইউনিট নিয়ে সীমান্তে প্রবেশ করেছে। এই দাবিগুলোর সত্যতা এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ২০২৪ সালের আগস্টে কুরস্ক অঞ্চলে আকস্মিক অনুপ্রবেশ শুরু করে। কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি এবং সুমি ও আশপাশের এলাকাকে সুরক্ষিত রাখার কৌশলের অংশ ছিল।
বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যুদ্ধ পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা বাড়ছে, এই সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিতে পারে।