নিষেধাজ্ঞা শেষে আশায় নদীতে, হতাশা নিয়ে ফিরছেন জেলেরা—মেঘনায় ইলিশ নেই, বাজার ফাঁকা
প্রতিনিধি, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরার অনুমতি মিললেও চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীতে দীর্ঘদিন পর জাল ফেললেও প্রত্যাশিত ইলিশ মিলছে না, জেলেরা ফিরছেন হতাশ হয়ে। ফলে লোকসানে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা, আর বাজারগুলোয় দেখা দিচ্ছে ইলিশের আকাল।
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল, সুজাতপুর, আমিরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার জেলেদের দাবি, প্রতিদিন ট্রলারের খরচ চালিয়ে নদীতে নামলেও হাতের জালে ইলিশ পড়ে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি। এসব মাছ বিক্রি করে জ্বালানির খরচই ওঠে না। এতে পরিবার নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন তাঁরা।
মতলব দক্ষিণের মাছ বাজারগুলোতেও এর প্রভাব স্পষ্ট। চার দিন ধরে বাজারগুলো প্রায় ইলিশশূন্য। মাছ বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ না থাকায় তারা রুই, কাতলাসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি করছেন। তবে ক্রেতাদের চাহিদা রয়ে গেছে ইলিশের দিকেই।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, “মেঘনায় পানির চাপ কম থাকায় ইলিশের চলাচল কম। তবে সামনে পূর্ণিমা আছে। তখন পানির প্রবাহ বাড়লে ইলিশও বেশি ধরা পড়বে বলে আশা করছি।”
নদীতে মাছের দেখা না মেলায় হতাশ জেলেরা বলছেন, “নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আমরা না খেয়ে থেকেছি। এখন মাছ ধরার অনুমতি মিললেও কিছু পাচ্ছি না। সংসার চলবে কীভাবে?”