বিজ্ঞান ভাবনা (১৯৮): ঈশ্বর ও ধর্মের সেকাল একাল -বিজন সাহা
সেভার সাথে আমার গল্প এগিয়ে চলল।
– আস্তিক বলে ঈশ্বর আছেন, নাস্তিক বলে নেই। এই প্রশ্নে কে সঠিক?
– দু’টোই বিশ্বাস। বিশ্বাস যুক্তি মেনে চলে না। নিজ নিজ জায়গা থেকে দু’ জনই নিজেকে সঠিক মনে করে। তাই আমার মনে হয় কে এদের মধ্যে কে ঠিক আর কে ভুল সেই বিতর্কই অর্থহীন। এক্ষেত্রে গণিতবিদ কার্ট গোডেলের একটি উপপাদ্যের উল্লেখ করা যায়। তাঁর মতে এমনকি সবচেয়ে নিখুঁত যুক্তিতেও এমন কিছু শূন্যস্থান বা গ্যাপ থাকে যা সেই উপপাদ্যের সীমানা অতিক্রম না করে পূরণ করা যায় না। অন্য ভাবে বললে সবচেয়ে শক্তিশালী ফর্মাল সিস্টেমও একই সাথে সম্পূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে না। এই সিস্টেমে হয় আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিদ্যমান অথবা একথা স্বীকার করে নিতে হয় যে সিস্টেমের কাঠামোর মধ্যে কোন অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে।
– সেটা আবার কীভাবে?
– আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক প্রশ্নেই সবার সাথে একমত হতে পারি না, কিন্তু এ নিয়ে তো আর খুনোখুনি করি না। এটা পরিবারে হতে পারে, বন্ধুত্বে হতে পারে, কাজে হতে পারে। আমরা কী করি? নিজেদের দ্বিমতগুলো পাশে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাই। সব সময়ই যে কেউ না কেউ ভুল তা কিন্তু নয়। এমন অনেক পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যা আইনের চোখে অপরাধ কিন্তু মানবিক বিচারে ন্যায়। তখন আমাদের হয় আইনের সাথে নয়তো মানবতার সাথে আপোষ করতে হয়। আসলে পরস্পরবিরোধী হলেও অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ম, রাজনীতি, ব্যবসা এসব একই পদ্ধতিতে কাজ করে।
– যেমন?
– যদি ধর্ম ব্যবসায়ীদের দিকে তাকাই, দেখব ওরা আমাদের পরকালে স্বর্গের লোভ দেখিয়ে নিজেরা ইহকালে দিব্যি আনন্দ ফুর্তি করে জীবন কাটাচ্ছে। পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের দিকে তাকালে দেখব ওরা বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের বাম্পার ফলনের আশা দিয়ে যুদ্ধ লাগিয়ে অস্ত্র বিক্রি করে আর অনেক দূরে টাকার পাহাড়ে বসে ভিন দেশের মানুষের দুর্দশা দেখে আর ঋণ দিয়ে বিভিন্ন দেশকে আরও দেউলিয়া বানায়। সেদিক থেকে দেখলে পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আমাদের ধর্মীয় গুরু বা হুজুদের মধ্যে পার্থক্য শুধু পোষাকে। মিথ্যাচার, হঠকারিতা, দুর্নীতি এসব ক্ষেত্রে দুই দলই সমান। সেটা দেশের সাধারণ মানুষের দিকে আর আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া এসব দেশের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়। তাই যারা আধুনিকতার নামে পশ্চিমা নিওলিবারেলদের অন্ধভাবে অনুসরণ করে ভাবে এর মধ্য দিয়ে তারা প্রাচ্যের ধর্মীয় ও অন্যান্য কুসংস্কার থেকে মুক্তি পেল, তারা আসলে নতুন বোতলে পুরানো মদ কেনার মত আরেক ধর্মে দীক্ষিত হয়। পার্থক্য হল এই ধর্মের পূজা পার্বণ যুগোপযোগী আর আরাধ্য দেবতারা খুব বেশি রকমের স্মার্ট ও আরও বেশি অনৈতিক। সুতরাং যেকোন ধরণের অন্ধবিশ্বাস থেকে নিজেকে দূরে রাখাই এ থেকে মুক্তির একমাত্র ওষুধ।
– তার মানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এসবও ধর্ম? নিখুঁত কিছুই কি নেই?
– নির্ভর করে ধর্ম বলতে আমরা কী বুঝব। যদি ধর্মের প্রথাগত সংজ্ঞা ব্যবহার করি তাহলে হয়তো এসব ধর্ম নয়। কিন্তু ধর্মের মূল কথাই তো বিশ্বাস, অন্ধবিশ্বাস। যদি কেউ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এমন কি বিজ্ঞানেও অন্ধভাবে বিশ্বাস করে তাহলে তার কাছে এসব ধর্ম, আবার যদি কেউ প্রথাগত ধর্ম পালন করেও তার অমানবিক, অসামাজিক দিকগুলো নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে তাহলে ধর্ম তার জন্য ঠিক ধর্ম থাকে না, এটা হয় তার জীবন যাপনের একটি অংশ। আর যদি নিখুঁতের প্রশ্নে আসি তাহলে বলব আসলে নিখুঁত বলে কিছু নেই। একজনের কাছে যা নিখুঁত অন্য জনের কাছে সেটা খুঁত সম্পন্ন। আমরা যদি জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বিষয়ে ভাবি তাহলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। আমাদের ছোটবেলায় বাড়িতে মাংসের প্রচলন তেমন ছিল না। মাংস খেলে লুকিয়ে খেতে হত। আমার বাবা ও জ্যাঠামশাই ছিলেন নিরামিষাশী। বাবা আমাদের মাংস খাওয়ায় আপত্তি করতেন না, বরং কিনে আনার ব্যবস্থা করতেন। জ্যাঠামশাই মাংস খাওয়া তো দূরের কথা যদি বাড়িতে কোথাও মাংস রান্না হচ্ছে সেটা টের পেতেন তাহলে সবাইকে বকে ঝকে একাকার। আমি পছন্দ করি না বলে তুমি করতে পারবে না এই মনোভাব সমস্যার সৃষ্টি করে। যদি না কোন কাজ অসামাজিক বা বেআইনি না হয় এই প্র্যাকটিস থেকে সরে আসা দরকার। অর্থাৎ আমাদের অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হবে। উদার হতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ দেশের সরকার যে মিলিয়ন ডলার চুরি করে তার প্রতি উদার কিন্তু যে দুই টাকার ভাত চুরি করে তার প্রতি ক্ষমাহীন। আবার দৈনন্দিন জীবনে আমরা বৈচিত্র্য পছন্দ করি। দোকানে হাজার রকমের জিনিস। কত রকমের রুটি, কত রকমের ফলমূল। আপেলই কত প্রকার বা টমেট, শসা। শত রকমের চা, কফি। যার যেটা দরকার বা পছন্দ সে সেটা কেনে। এ নিয়ে আমরা কিন্তু আপত্তি করি না। এটা ঠিক বাড়ির সবাই যদি ভিন্ন ভিন্ন খাবার পছন্দ করে তাহলে ঝামেলা। সেখানে আমরা আপোষ করি। আজ এটা খেলাম তো কাল ওটা। জীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ কিন্তু এরকম আপোষ করেই চলে। এর মানে আপোষ করা, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। দেশেও তাই। দেশের সবাইকে বাড়ির মতই কিছু বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করে চলতে হয়। এটাকে আমরা বলি আইন। কিন্তু ইজমের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। কারণ কিছু মানুষ নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভের জন্য আমাদের ঘাড়ে ইজমের ভূত চাপিয়ে দেয়। সমস্যা ইজমে নয়, ইজমের ভূতে, ইজমে অন্ধবিশ্বাসে ও এই অন্ধবিশ্বাস থেকে অন্যদের উপর সেটা চাপিয়ে দেবার চেষ্টায়। আসলে দেশ তো শুধু ভূমি নয়, দেশ মানুষ – কোন ভূখণ্ডে বসবাসকারী মানুষ, শত শত এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা তাদের জীবন ধারণের রীতিনীতি, সংস্কৃতি। সব সমাজ, সব জাতি, সব দেশ যে একই নিয়ম মেনে চলবে না, সব মানুষ যে একই ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে না – অর্থাৎ আমাদের বিশ্বাসে, অবিশ্বাসে, আমাদের চিন্তা ভাবনায় যে বৈচিত্র্য থাকবে, থাকাটাই যে স্বাভাবিক এটা যদি আমরা মেনে নিতে পারি তাহলে অনেক সমস্যার উদ্ভবই হয় না।
যারা নিজেদের প্রগতিশীল বলে মনে করে তাদের অধিকাংশই ধর্মের ব্যাপারে ধার্মিক মানে ধর্ম মাত্রই খারাপ এ বিশ্বাসে প্রায় অন্ধ। তারা ভুলে যায় যে রাজা রাম মোহন রায় বা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ধর্মকে ব্যবহার করেই ধর্মের সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরা যদি ধর্মকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন তাহলে ভারতে এখনও হয়তো সতীদাহ প্রথা চালু থাকত। যারা ধর্ম ব্যবসায়ী এবং বিজ্ঞান বিরোধী তারা কিন্তু ঠিকই বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রগতিশীলরা ধর্ম ঈশ্বর এদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি করে ধর্মে বিশ্বাসী মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়। অথচ উচিত ছিল এদের বুঝিয়ে যুক্তিবাদী করা। মানুষ যখন যুক্তিবাদী হয়, প্রশ্ন করতে শেখে তখন সে নিজেই ধর্মীয় ডগমা থেকে দূরে সরে আসে। এমনকি ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখলেও সে তখন চেষ্টা করে নিজেকে কুসংস্কার থেকে দূরে রাখতে, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। যুদ্ধটা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, ধর্মের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে হোক। তাতে শুধু দেশ নয় ধার্মিকরাও মুক্তি পাবে সেই সব ঠগবাজদের হাত থেকে যারা ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে অনবরত তাদের ঠকাচ্ছে।
একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে ধর্মের কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছে, সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছে। কথাটি সত্য। তবে যেটা প্রায়ই উল্লেখ করতে ভুলে যাই তা হল ধর্মের বয়স সভ্যতার প্রায় সমান। একসময় তাদের বিশ্বাস যে ধর্ম সেটা বোঝার আগেই মানুষ নিজেদের বিশ্বাস নিয়ে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু ধর্মের বাইরেও কম যুদ্ধবিগ্রহ হয়নি। দুই দু’টো বিশ্ব যুদ্ধের পেছনে ধর্ম ছিল না। ইউরোপের বা আরবের বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক যুদ্ধ ধর্মের কারণে হয়নি, যেমন হয়নি ভারতে বিভিন্ন রাজন্যবর্গের মধ্যে যুদ্ধ। যুদ্ধের মূল কারণ অন্যের অধিকার খর্ব করা, অন্যের ভূমি ও সম্পদ দখল করা বা নিজের বিশ্বাস বা তন্ত্র অন্যের চেয়ে ভালো সেটা প্রমাণ করা। সমাজতান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী বিশ্বের দীর্ঘ প্রক্সি যুদ্ধে ধর্ম ছিল না, ছিল নিজ নিজ আদর্শের উৎকর্ষতা নিয়ে অন্ধবিশ্বাস।
চিন্তা করার শক্তি, কল্পনা মানুষকে এসব মানুষকে অনন্য করেছে আবার এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। অন্য প্রাণীরা বর্তমানে বাঁচে, মানুষ ভবিষ্যতে বাঁচতে চায়। ফলে তার কল্পনা অনেক সময় বাস্তবকে হার মানায়। ইতিহাসে বহুবার জীবিতের চেয়ে মৃতেরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজও কিছু লাশ বিপ্লব সম্পন্ন করতে পারে। তাই চাই বা না চাই অবাস্তব ঈশ্বর এখন বাস্তবতা। শুধু ঈশ্বরের কথাই বলি কেন, আমাদের জীবনের বেশিরভাগ জিনিস কাল্পনিক – যার দৈহিক উপস্থিতি নেই কিন্তু ধারণা আছে। আমি আমার ঋণ দেখাতে পারব না, যদিও তা থেকে মুক্তি পাব না। একটা প্রাণের চেয়ে কি গণতন্ত্র বড়? অথবা ধর্ম? মানুষ বাস্তব। গণতন্ত্র, ধর্ম, ঈশ্বর এসব কাল্পনিক। কিন্তু আমরা এসবের নামে অনায়াসে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে প্রস্তুত। আজকাল তো ধারণার অভাব নেই। পশ্চিমা বিশ্বে তো ধর্মেরও অভাব নেই। যেমন নেই লিঙ্গের অভাব। আসলে আমরা দিন দিন বেশি করে বাস্তব জগত থেকে কাল্পনিক জগতের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বন্ধুরা এখন ভার্চুয়াল। আমরা সত্যিকারের খেলাধুলার পরিবর্তে কম্পিউটার গেম খেলতে ভালবাসি। ফুটবল নিয়ে দৌড়ানোর চেয়ে কম্পিউটারে ট্যাঙ্ক চালাতে পছন্দ করি। ধর্ম সেই ভার্চুয়াল লাইফ, শুধু অনেক পুরানো, তাই আমাদের কাছে মনে হয় সেকেলে। কিন্তু চাইলেই তো একে এড়ানো যায় না, যাবে না। তাই ভেবে দেখতে হবে কীভাবে ধর্মকে আধুনিক সমাজের সাথে খাপ খাওয়ানো যায়। সমস্যা হোক আর নাই হোক, ধর্ম এক বাস্তবতা, কঠিন বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে একই সাথে ধর্ম যেন সমাজের অন্যান্য অংশীদারদের জন্য ক্ষতিকর না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে পারে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর রাজনৈতিক দলগুলোর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
ধর্মের ভালো মন্দ নির্ভর করে ধার্মিকদের উপরে। মাত্র কয়েক দিন আগে পোপ ফ্রান্সিস মারা গেলেন। আমার কেন যেন মনে হয় বর্তমানের পাগল প্রায় বিশ্বে তিনি ছিলেন বিবেকের মত। সব ধর্মে সব জাতিতে ভালো মন্দ সব ধরণের মানুষ থাকে। বর্তমানে ধর্মীয় মৌলবাদ দেশে দেশে জনজীবন বিপন্ন করে তুলছে। এদের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই ন্যায় যুদ্ধ। কিন্তু মানুষকে শুধু তার ধর্মের কারণে হত্যা করা হলে সেটা তো হিটলারের ইহুদি নিধন যজ্ঞের মত হয়ে যায়। আমরা যেমন সমাজে শুধু অপরাধীদের শাস্তি দেই, পুরো সমাজকে নয়, একই ভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ সামাজিক শান্তি নষ্ট করলে শুধু তাকেই আইনের আওতায় আনতে হবে, সেই লোকের সধর্মীদের এখানে কোন দায়িত্ব নেই। ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ সামাজিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের ডাক দিলে অপরাধ বলে গণ্য করা এবং তা কঠোর হস্তে দমন করা সরকার ও সামজের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সেটা করা হলে সমাজে ধর্মের নেতিবাচক প্রভাব কমবে। তবে তার আগে সরকার ও সমাজকে বুঝতে হবে যে ধর্ম ব্যবসায়ী আর ঘুষখোর আমলা আসলে একই গোয়ালের গরু। সমাজ তথা প্রশাসনের স্বচ্ছতার জন্য যেমন ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে লড়াই প্রয়োজন তেমনি লড়াই দরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করে।
গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো