শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা
তারা সংস্কার উদ্যোগের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে এবং অবশিষ্ট শ্রম সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রড্রিগেসের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় প্রতিনিধিদলের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মোঃ জসিম উদ্দিনের সাথে সাক্ষাতকালে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি, এবং ইউএস দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা এবং শ্রম সংস্থা ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়ন, ওয়াকার রাইটস কনসোর্টিয়াম ছাড়াও বেসরকারী খাতের প্রতিষ্ঠান জিএপি ইনকর্পোরেটেড পিবিএইচ ও ভিএফ কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দল ১৮-দফা চুক্তি বিশেষ করে শ্রমিকদের কথা শোনার সুযোগ দেয়ার জন্য মালিক ও কর্মচারীদের একত্রিত করার জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা ন্যায্য মজুরি নির্ধারণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং উচ্চ মান সম্পন্ন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ধরতে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রম সংস্কার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্যতম অগ্রাধিকার।
তিনি অন্তর্র্বর্তী সরকারের কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ তুলে ধরেন- ১৮ দফা দাবিতে চুক্তি, বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধন, শ্রম সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা কমিটি গঠন।
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ক্রমে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবিত আইএলও রোডম্যাপ এবং শ্রম কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি এ সফরের জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করা, বাংলাদেশী অর্থনীতি বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা বোঝা এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের গৃহীত শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।