un

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা: চুক্তিতে নিয়োগ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার অভাব

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হলেও প্রশাসনে শৃঙ্খলা এবং গতি আসেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া সব কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল করা হবে। তবে, এ সময়ে নতুন করে ৬৫ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, জন প্রশাসন, পরিকল্পনা কমিশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ অন্তর্ভুক্ত।

এদিকে, স্থানীয় সরকার, সংস্কৃতি, পল্লী উন্নয়ন, এবং মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ খালি থাকায়, সেসব মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, এবং প্রায় এক হাজার ৪১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি কমে গেছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে পদোন্নতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দেরি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া বয়স্ক কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তাঁদের সঙ্গে বর্তমান কর্মকর্তাদের যোগাযোগ নেই, ফলে কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও প্রশাসনে পদোন্নতির ঘটনা বাড়িয়েছে, তবুও অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এবং কিছু কর্মকর্তার নিয়োগ রাজনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০১ ও ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তুলনায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বড় কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে পারেনি, যার ফলে প্রশাসনিক কাঠামো আরো দুর্বল হচ্ছে।