চলমান সংবাদ

বিজ্ঞান ভাবনা (১৭১): ক্ষুদ্র ঋণ  

-বিজন সাহা

বাংলাদেশে এর আগে অনেকবার গণ অভ্যুত্থান হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে – কিন্তু সব সময়ই অধিকাংশ মানুষ নতুন প্রাপ্তিকে খুশি মনে বরণ করে নিয়েছে, সেই অর্জনের উপর ভিত্তি করে সামনে এগুতে চেয়েছে। কিন্তু মনে হয় এই প্রথম মানুষ আগস্ট বিপ্লবের অর্জন নিয়ে খুশি নয়। না, তারা স্বৈরাচারী শাসন ফেরত চায় না, কিন্তু বর্তমানে যা চলছে সেটাও চায় না। যারা দেশের দায়িত্বে আছেন তাদের অনেকের ধারণা স্বৈরাচার মানে শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করা মানেই স্বৈরাচারকে লাল কার্ড দেখানো। কিন্তু স্বৈরাচার কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়, এটা সিস্টেম যা দীর্ঘ দিন ধরে গড়ে উঠে। সেখানে নেতৃত্বের ভূমিকা বিশাল তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু স্বৈরাচার সমস্ত সমাজ জুড়েই তার শেকড় বিস্তার করেছিল। সেটা শুধু প্রশাসন নয় মানুষের মনে শেকড় গেঁথেছিল। আর তাই যারই একটু সামর্থ্য ছিল সেই অপেক্ষাকৃত দুর্বলকে শোষণ করেছে, জোর যার মুল্লুক তার সেই ব্যবস্থা কায়েম করেছে সর্বত্র। কারণ সবাই নিশ্চিত ছিল – যত অন্যায়ই করুক না কেন, ঠিক খালাস পেয়ে যাবে। সেদিক থেকে বিচার করলে শেখ হাসিনা বা তার আমলের কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করলে কিছু হবে না, স্বৈরাচার দূর হবে যদি আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা যায়, যদি কেউই ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে অন্যায় করার সুযোগ না পায়। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখছি? যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। রাবণ তাড়িয়ে তাই লাভ নেই। লঙ্কা ধ্বংস করতে হবে। মানে ক্ষমতা যাতে অন্যায় করার হোলসেল লাইসেন্স না দেয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্যেই দরকার জবাবদিহিতা, দরকার সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা, রাজনৈতিক দলগুলো যাতে সাংবিধানিক ভাবে নিজেদের হাতে ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা।

আমাদের রাজনীতির বড় সমস্যা হল দূরদর্শিতার অভাব। আসলে দূরদর্শী হতে হলে নিঃস্বার্থ হতে হয়। কারণ মানুষের জীবন সীমিত আর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত মানে কয়েক প্রজন্মের ভালো মন্দের কথা চিন্তা করে কাজ করা। যে মানুষ নিজের বা পরিবারের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় সে সবসময় স্বল্পমেয়াদী চিন্তাভাবনা করে, ফলে প্রায়ই সে জড়িয়ে পড়ে দুর্নীতির সাথে অথবা ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অল্প সময়ে অনেক অর্থ উপার্জন করার চক্রে। স্বল্পে তুষ্ট নয়, স্বল্প সময়ে যতদূর সম্ভব বেশি সম্পদ কুক্ষিগত করার যে জোয়ার আমাদের দেশে বইছে তাতে খুব কম মানুষই সৎ থাকতে পারে, বিশেষ করে ক্ষমতার আশেপাশে ঘোরাঘুরি যারা করে তারা। গোবরে পদ্মফুল যে জন্মায় না তা নয়, তবে এদের প্রায় সকলের মৃত্যুও হয় ওই গোবরেই – নিজের সুঘ্রাণ অন্যের নাকে পৌঁছুনর আগেই। চারিদিকে যখন শুধুই আবর্জনা তখন স্বপ্ন দেখাও কঠিন। অন্তত দেশের সার্বিক অবস্থা দেখে সেটাই মনে হয়। এই যে এত বড় একটা আন্দোলন হল – সরকার পড়ে গেল তারপর আমরা কী দেখছি? আইন শৃঙ্খলার কোন উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে। এখানেও সমস্যা আমাদের ক্রিকেট দলের মত। খেলায় হারজিৎ আছে, কিন্তু জেতার চেষ্টা তো করতে হবে? শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের চেষ্টার কোন লক্ষণ দেখা যায় না, বরং সব কিছুতেই আগের প্রশাসনের দোষারোপ করে নিজেদের নির্দোষ করার প্রচেষ্টা। বলছি না যে আগের প্রশাসন গঙ্গাজলে ধোয়া তুলসী পাতা, কিন্তু তাদের দোষ দিয়ে হয়তো আরাম পাওয়া যাবে – সমস্যার সমাধান হবে না। আপনাদের দায়িত্ব আরাম পাওয়া নয়, সমস্যা সমাধানকরা। কিন্তু আপনারা সমস্যা সমাধানের চেয়ে কে দায়ী সেটা খুঁজতেই ব্যস্ত। ব্যস্ত আগের আমলের লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা সাঁজাতে। প্রতিশোধ নিতে। একই সাথে দেখি বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের আন্দোলন। অধিকাংশই ন্যায্য। তবে একই সাথে ছাত্রদের অটো পাশ বা প্রশ্ন সহজ করার আন্দোলন শঙ্কা জাগায়। কারণ এসব করে নম্বর পাওয়া যায়, পাশ করা যায়, হয়তো চাকরিও পাওয়া যায় – কিন্তু জ্ঞান অর্জন করা যায় না। তাহলে? পরবর্তীতে যারা সত্যিকার অর্থে পড়াশুনা করে চাকরিতে ঢুকবে তাদের তুলনায় এরা কম দক্ষ হবে, প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বে। অথচ এরা মেধা দিয়ে কাজ আদায় করতে চেয়েছিল, রাজনৈতিক বা দলীয় সুযোগে নয়। আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট এসব গঠন করে সাময়িক ভাবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, কিন্তু দিনের শেষে এরা নিজেদের ঘাড়েই চেপে বসে। হেলমেট লীগ, হেফাজত লীগ আওয়ামী সরকারকে তাদের দাঁত দেখিয়েছে। বর্তমান প্রশাসন যদি এসব থেকে শিক্ষা না নেয় তাদের ভাগ্যেও এরচেয়ে ভালো কিছু জুটবে বলে মনে হয় না।

বর্তমানে যারা ক্ষামতায় আছে তাদের ভেতরে আর যাই থাক রাষ্ট্রচিন্তা অনুপস্থিত। ছাত্রদের বাদ দিলে এরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত, সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠা অন্য বিষয়ে। একজন অতি জ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার কোন অপারেশন করতে পারেন না। তাঁকে রুগি দেখতে বললে তিনি বিনয়ের সাথে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে রাজনীতি বা ক্ষমতার ক্ষেত্রে আমাদের ধারণা – এটা শুধুই হুকুম দেয়া। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। অন্যান্য যেকোনো বিষয়ের মত এখানেও দরকার সমস্যা অনুধাবন করা, বিভিন্ন সমাধান খতিয়ে দেখা, তারপর কোন একটি সিদ্ধান্তে আসা। আর সবচেয়ে বড় কথা এসব করা ব্যারিকেডের অন্য দিকে দাঁড়িয়ে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলা বা বোঝা সহজ – বলতে মানা নেই, দায়িত্বও নেই। কিন্তু একবার ক্ষমতার ও পাশে চলে গেলে দায়িত্বও নিতে হয়। এটা তারা বোঝেন কি না সেটাই সন্দেহ। কারণ ইতিমধ্যেই আইনের সিলেক্টিভ প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আগে আওয়ামী লীগের দোসররা অন্যায় করে বেকসুর খালাস পেয়ে যেত, এখন খালাস পাচ্ছে ২৪ এর বিপ্লবের পক্ষের লোক। এমনকি আইন করে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হচ্ছে। এরা নিজদের আবেগ নিয়ে ব্যস্ত, ব্যস্ত প্রতিশোধ গ্রহণে – সমস্যা বা তার সমাধান এদের ভাবায় না। এটাও আমাদের এক বড় সমস্যা। ক্রোধ, প্রতিহিংসা ধ্বংস করতে শেখায়, কোন সিস্টেম ভাঙতে শেখায় কিন্তু কোন কিছু গড়ার জন্য দরকার ভালবাসা। এই ভালোবাসার আজ খুবই অভাব।

পড়ুন:  বিজ্ঞান ভাবনা (১৭২): ব্রিকস সামিট ও অন্যান্য- বিজন সাহা

ছোটবেলায় অনেক যাত্রা দেখেছি। মূল কারণ ছিল বাড়িতেই বড়দার অম্বিকা নাট্য প্রতিষ্ঠান নামে যাত্রার দল থাকা। সেখানে বিভিন্ন পালায় দেখেছি কীভাবে গরীব কৃষক জমি বা ফসল বন্ধক রেখে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। যদিও ক্ষুদ্র ঋণ সাময়িক ভাবে অনেককেই সাহায্য করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা সেই প্রাচীন কালের বন্ধকীর মত বলেই আমার মনে হয়। এটা কৃষক শ্রমিককে মুক্ত করে না, ঋণের নাগপাশে বন্দী করে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ক্ষুদ্র ঋণের আবিষ্কর্তা। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে আর যেভাবে প্রশাসন দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ডাইনী শিকার করে বেড়াচ্ছে, তাতে মনে হয় তিনি এখানেও ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দেশবাসীকে উদ্ধার করতে চান। আর এ জন্যেই  হয়তো আগে থেকেই গ্রামীন ব্যাংককে কর প্রদান থেকে আগেই মুক্তি দিয়েছেন। কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাণে, ব্যবসায়ী ক্ষমতায় এলেও ব্যবসায়িক লাভ লোকসান খোঁজে। অথবা হতে পারে স্বর্গও ঢেঁকির পাল্লায় পড়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই শুনছি বাম ঐক্যের কথা। কিন্তু ঐক্য কি এতই সোজা? কথিত আছে আফগানিস্তান থেকে পাঠানরা যখন ভারত আক্রমণ করে তখন রাজপুতরা ছিল এলাকার সবচেয়ে শক্তিশালী ও দুর্ধর্ষ জাতি। কিন্তু তারা ছিল ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত। সেই সময় যখন দরকার ছিল কোন একজনের নেতৃত্বে সবার এক হয়ে লড়াই করা। কিন্তু তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ইগো দেশকে পরাধীন করে। আমাদের বামেরাও তাই। “এক নেতা এক দল – বাম পন্থা দুর্বল” – এটাই বাম রাজনীতিকে শক্তিশালী হতে দেয়নি দেশে। প্রতিটি দলের প্রতিটি নেতা একেক জন রাজপুত রাজা যারা কিছুতেই অন্যের অধীনে কাজ করতে রাজী নয়। শুধু বাম দল কেন, সব দলেরই একই অবস্থা। এরা সবাই গণতন্ত্র চায় – কিন্তু নিজেরা কেউই গণতন্ত্রী নয়। প্রায় প্রতিটি দলেই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। আচ্ছা রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের ভেতেরেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, দেশে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? দলের ভেতরেই যখন ভিন্ন মতের জায়গা নেই, তারা কীভাবে দেশ শাসনের দায়িত্ব পেলে গণতন্ত্রের চর্চা করতে দেবে?

 

দেশে এত দিন একটা ধারণা চালু রাখা হয়েছিল একাত্তরের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির নামে। আওয়ামী লীগ প্রায়ই বিএনপিকেও একাত্তরের বিপক্ষের শক্তি বলেই প্রচার করত, কিন্তু একই সাথে তারা হেফাজতের সাথে আঁতাত করত। আমার মনে হয় এখানেও আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার। আমার ধারণা যেসব দল বা ব্যক্তি নতুন করে সংবিধান লিখতে চায় তারাই আসল একাত্তর বিরোধী। কারণ এরা একাত্তরকে মুছে দিতে চায় বলেই এসব পরিবর্তনের কথা বলে। আমার মতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই একাত্তরের চেতনা বিক্রেতা। আওয়ামী লীগ যেমন একাত্তরকে কুক্ষিগত করতে চায় বিএনপিও তেমনটাই চায়। বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বলার বড় কারণ জেনারেল জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছেন কিন্তু বিএনপির সবচেয়ে বড় স্লোগান হল জেনারেল জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হওয়া যায় না। সেই অর্থে বিএনপির অস্তিত্বের মধ্যেই একাত্তর জড়িত – একাত্তরকে অস্বীকার করা মানে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।

আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসনের কারণে অনেকেই এই দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু এত বড় জন সমর্থন যার আছে সেই দলকে রাজনীতির বাইরে রাখলে রাজনীতিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিএনপি ভোটে অংশ না নেয়ায় যেমন ভোট তার গ্রহণযোগ্যতা  হারিয়েছিল এক্ষেত্রেও সেটাই হবে। দলের যেসব নেতা কর্মী বিগত সময়ে দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার অর্থ এই নয় যে দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি দেশে সত্যিকার অর্থেই সুস্থ রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হয় সেটা করতে হবে আওয়ামী লীগকে সুযোগ দিয়েই, তাকে সাথে রেখেই। আমার মনে হয় বিএনপি সহ অন্যান্য দলের উচিত হবে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা। তত্ত্ববধায়ক সরকার এখনও পর্যন্ত যেভাবে চলছে সেটা একাত্তরের পরিপন্থী। দেশকে যদি একাত্তরের আলোকে ফিরিয়ে আনতে হয় এরশাদের বিরুদ্ধে যেমন তেমনি বর্তমান অরাজকতার বিরুদ্ধে সব দলের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে। আর দেশের অন্যতম প্রধান দলকে বাদ দিয়ে করলে সেটা সফল হবে বলে মনে হয় না। সেটা করলে রাজনীতি অসুস্থ থেকে যাবে। এতে শুধু গণতন্ত্রই প্রশ্নবিদ্ধ হবে না, শুধু মাত্র বিএনপি যাতে ক্ষমতায় না আসে এই দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী সমর্থকরা জামাতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে পারে। সেটা হবে দেশের জন্য সবচেয়ে ক্যাটাস্ট্রফিক।‌

বর্তমানে দেশে যা চলছে সেটা স্বৈরাচারী ব্যবস্থা না বলে উপায় নেই। আজ একে নিষিদ্ধ করল তো কাল ওকে। যে কাজ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অবস্থানের ১৫ বছরের মাথায় করেছিলেন, সেই কাজ এরা এক শ’ দিনের মাথায় করছে। দেশ শাসনের মূল মন্ত্র হচ্ছে নিষেধ। সত্যি বলতে কী সমাজের মঙ্গলের জন্য নতুন করে কিছু নিষেধ করার দরকার নেই, যা কিছু নিষেধ করার প্রয়োজন সেটা কয়েক হাজার বছর আগেই মহাপুরুষেরা বলে গেছেন। সেটা কী? ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করা, হত্যা না করা, সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, আইনের শাসন চালু করা। এসব করলে নতুন করে সাইকেল আবিষ্কার করতে হয় না। এরা করছে। কারণ সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা বা ইচ্ছে তাদের নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা নিজদের হাতে কুক্ষিগত করে দেশের মানুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবদমিত করে রাখা। তাদের শেকড় খুব গভীরে প্রোথিত হবার আগেই রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম শুরু করা উচিৎ চলমান অনাচারের বিরুদ্ধে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো