বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (১৬৫): স্বৈরাচার

-বিজন সাহা

একটি ছুরি শল্য চিকিৎসকের হাতে একটি জীবন বাঁচাতে পারে আবার সেই চাকুই খুনির হাতে মানুষের জীবন নিতে পারে। তাই যেকোনো ধরণের আইন কানুন প্রণয়ন করার সময় এই সাধারণ সত্যটিও মাথায় রাখা দরকার।  গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর স্বৈরাচার নিয়ে বিভিন্ন কথা হচ্ছে। অনেকেই বলছে স্বৈরাচারের বীজ আসলে বাংলাদেশের সংবিধানেই নিহিত, তাই সংবিধান পরিবর্তন ব্যতিরেক এ থেকে মুক্তি নেই। আজ আমরা এ নিয়েই দুটো কথা বলব।
স্বৈরাচার কী? এ বিষয়ে উইকিপিডিয়াতে যে সংজ্ঞা দেয়া আছে সেটা এরকম –
১) নির্বাচন ও নাগরিক অধিকার স্থগিত করা; ২) জরুরি অবস্থা ঘোষণা; ৩) ডিক্রি দ্বারা শাসন; ৪) রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন; ৫) আইনের শাসনের পদ্ধতি মেনে না চলা; ৬) ব্যক্তিপূজার মাধ্যমে নেতার কাল্ট গড়ে তোলা এবং ৭) একদলীয় শাসন অথবা বহু দলীয় শাসনে কোন দলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা।

আজকের আলোচনায় আমরা এসব সংজ্ঞায় বিতর্কে না গিয়ে আমাদের দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কেন বার বার ফিরে আসে সেই বিষয়ে আলোচনা বলব। শুরু করব ভারত বিভাগের পর থেকে। “উর্দু একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা” এই বাক্যের মধ্য দিয়ে জিন্নাহ তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাবের কথা প্রকাশ করেছেন। আসলে জিন্নাহ নিজে কখনোই ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না, তাঁর জীবনী থেকে অন্তত এটাই দেখতে পাই। তিনি সব সময়ই নিজের মতটাকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরবর্তী বিভিন্ন নেতাও সে পথেই হেঁটেছেন। আর সামরিক শাসন তো ছিলই। সামরিক শাসন বাই ডিফল্ট স্বৈরাচারী। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোন সরকার ছিল না যাদের বিরোধী দল স্বৈরাচারী আখ্যা না দিয়েছে। আর এর পেছনে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল। তাই প্রশ্ন জাগে আমাদের দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কি মজ্জাগত? সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি আমাদের দেশে গ্রামের মতব্বরের ছেলেই মাতব্বর হয়, চেয়ারম্যান মেম্বার, এমপি এসবও হয় বংশ পরম্পরায়। এটা অনেকটা অলিখিত নিয়ম। এই সূত্র ধরেই রাজনৈতিক দলে তৈরি হয় পরিবারতন্ত্র। দেশে নব্য ধনিক শ্রেণী তৈরি হওয়ায় সেটা হয়তো কিছুটা বদলেছে, কিন্তু নতুনরা যে আবার পরিবারতন্ত্রের দিকে ঝুকবে না সেটা কে বলবে? “অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে” বঙ্গবন্ধু অভিযোগ করেছেন মুসলিম লীগ বিরোধী দলগুলোকে রাজনীতি করতে না দেয়ার জন্য। অথচ তিনি যখন ক্ষমতায় এলেন বাকশালের মধ্য দিয়ে এক দলীয় শাসনের উদ্যোগ নিলেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে হয়তো এমনটা দরকার ছিল বা দরকার ছিল জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা। সেটা যে বিভিন্ন দলের এক দলে মিলিত হয়েই হতে হবে সেটা তর্ক সাপেক্ষ। এটা অনেকটা সগরের মত। নদীই সাগরের সরবরাহকারী। সব নদী মিলেই সাগরের সৃষ্টি (এটা আমরা তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি, কেননা সাগরের জল মেঘ হয়ে যে বৃষ্টি ঝরায় সেটাই পাহাড়ে নদীর জন্ম দেয়)। এখন যদি সবগুলো নদী বিলুপ্ত করা হয় সাগর জল পাবে কোত্থেকে? জলের অভাবে সাগরই তো শুকিয়ে যাবে। এক সাগরের টিকে থাকার জন্য ভিন্ন ভিন্ন নদীর টিকে থাকাও অনিবার্য। তাই সব দল মিলে বাকশালের সৃষ্টির ফলে যে গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল শুকিয়ে যায়নি সেটাই বা কে বলবে? তবে এটা ঠিক একদলীয়করণের ফলে অনেকেই মনে করেছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এর ফলাফল আমরা জানি।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কয়েক দশক ছিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জোয়ারের সময়। এই সময় বিভিন্ন দেশে অনেক জনপ্রিয় নেতাদের নেতৃত্বে উপনিবেশগুলো স্বাধীন হতে থাকে। স্বাধীনতার পরে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দোসরদের হাতে মৃত্যু বরণ করেন। যারা সেই দুর্ভাগ্য এড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন তাদের অনেকেই এক সময়ে স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হন। কেন? মনে হয় যাদের নেতৃত্বে দেশগুলো স্বাধীন হয়েছিল তাঁদের এবং তাঁদের দলের এতটাই জনপ্রিয়তা ছিল যে তাঁরা এক সময় নিজেদের দেবতুল্য মনে করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিলেন। এক্ষেত্রে মনে হয় নেলসন ম্যান্ডেলা ব্যতিক্রম। প্রায় সব দেশেই একটি দলের হাত দিয়ে স্বাধীনতা আসায় বিরোধী দল হয় গড়ে ওঠেনি অথবা তাদের গড়ে উঠতে, শক্তিশালী হতে দেয়া হয়নি। বিরোধী দলে অনুপস্থিতি স্বৈরাচারী শাসনকে উৎসাহিত করেছে।

 

আমি দেশ থেকে মস্কো আসি ১৯৮৩ সালে ১৯ বছর বয়সে। যতটুকু মনে করতে পারি, না ১৯৭৫ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে শেখ মুজিবের আমলে, না পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়ার আমলে দেশে সুস্থ ভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ তেমন ছিল না। ১৯৭৫ সালে পূর্বে দেশে ছিল অস্থিতিশীল পরিবেশ। একে তো যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ, তার উপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফলে বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও আইন শৃঙ্খলা – সব মিলিয়ে সে সময় সুস্থ ভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ ছিল না বললেই চলে। অন্যদিকে জিয়া বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন বললেও রাজনীতি করাকে তিনি কঠিন করে তুলেছিলেন। সেই দিক থেকে বরং এরশাদের আমলে রাজনীতি করার পরিবেশ একেবারে মন্দ ছিল না, বিশেষ করে ১৯৮৩ সালের ছাত্র হত্যার পরে। আর এর মূল কারণ ছিল বিরোধী দলগুলো মাঠে ছিল, তারা এক যোগে কাজ করে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সরকারকে বাধ্য করেছিল। শেষ পর্যন্ত এরশাদের পতন ঘটলে সবাই আশা করেছিল দেশ এখন গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে। কিন্তু সেটা হয়নি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়, সরকার গঠন করে বিএনপি। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হয় হরতালের রাজনীতি যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়ায়। সেটা একাত্তর পূর্ববর্তী হরতালের রাজনীতির স্বদেশী  রূপ হোক অথবা নতুন পরিস্থিতির প্রোডাক্ট হোক, বিরোধী দলের সংসদ বয়কটের এই রাজনীতি দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসন দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি দল যেমন চেয়েছে বিরোধী দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে তাড়াতে, বিরোধী দল তেমনি মাঠে থাকার চেষ্টা করলেও সংসদ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে। ফলে সংসদীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে দুই পক্ষ মিলেই। কিন্তু মজার ব্যাপার হল গণতন্ত্রের এই অকাল মৃত্যুতে সরকারি দলকে দোষী করা হলেও বিরোধী দল সব সময়ই বেকসুর খালাস পেয়ে গেছে যদিও গণতন্ত্র হত্যায় দুই পক্ষই প্রায় সমান ভাবে দায়ী। আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে সরকারি দলই শুধু গণতন্ত্র রক্ষায় দায়বদ্ধ, বিরোধী দলের এ ব্যাপারে কোন দায়দায়িত্ব নেই। আর এ থেকেই যেকোনো ধরণের সভা সমিতি, মিটিং মিছিল শেষ হয় গাড়ি বা স্থাপনা পুড়িয়ে, ভাংচুর করে। বর্তমানে যে মসজিদ বা ধর্মীয় জমায়েতে ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন জায়গা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে সেটার জন্মও মনে হয় আমাদের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা। আসলে বিরোধী দলের কাজ শুধু যে সরকারের বিরোধিতা করা নয় বা সরকারের সমালোচনা করা নয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সাহায্য করা সেটা কেন যেন মনে হয় আমাদের দেশের বিরোধী দলগুলো ভুলে গেছে। বিরোধ ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করবে সেটা ভুলে গিয়ে এরা নিজেদের বিরোধিতাকে এন্টাগোনিস্টিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায়ই ভেঙে পড়েছে। তাই সংবিধান যদি সংশোধন করতেই হয় সেখানে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের দায়িত্ব কর্তব্য এসব নিয়েও বিশদ আলোচনা দরকার।

পড়ুন:  বিজ্ঞান ভাবনা(১৬৭): যুদ্ধের আগুন -বিজন সাহা

আরও একটি প্রশ্ন যেটা প্রায়ই দেখা দেয় তা হল স্বৈরাচারের আগমনের সাথে আমাদের সামাজিক মানসিকতার কোন যোগাযোগ আছে কি না। কারণ ধর্মীয় কারণে সামাজিক ভাবে দেশের বেশির ভাগ মানুষ বহুত্ববাদীতে বিশ্বাস করে না, তাদের বিশ্বাস একত্ববাদে। সেই চর্চাটি শুধু ধর্মীয় ক্ষেত্রে নয় পারিবারিক ভাবেও পালিত হয়। এখান থেকেই গড়ে ওঠে বড়দের সাথে ছোটদের সম্পর্ক, সন্তানের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ করে পিতা। সেটা আমরা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখি। এভাবেই এসব সম্পর্ক চলে আসে রাজনীতিতে ও সামাজিক জীবনে। চাটুকারিতা হয় উন্নতির অপরিহার্য অঙ্গ। এই চাটুকাররাই এমনকি সাধারণ মানুষকেও স্বৈরাচারী হবার দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের সমাজে সব প্রশংসা ঈশ্বরের, কিন্তু তাঁর কোন জবাবদিহিতা নেই। রুগী সুস্থ হলে সেটা হয় ঈশ্বরের অপার করুণায়, কিন্তু মরে গেলে সেটার দায় বর্তায় ডাক্তারের ঘাড়ে, অনেক সময় তাকে জীবন দিয়ে সেই ঋণ শোধ করতে হয়। এটাও মনে হয় আমাদের নেতাদের নিজ নিজ দলের কর্মীদের কাছে দোষমুক্ত, নির্ভুল, সর্ব গুণে গুণান্বিত মানুষে পরিণত করে। এখান থেকেই জন্ম নেয় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, জবাব না দেবার সংস্কৃতি। সংবিধানে বা বইয়ে অনেক ভালো ভালো কথাই লেখা যায়, তবে সমাজ পরিপক্ক না হলে এসব শুধু কথাই থেকে যাবে। আইন যখন জনগণের মন মানসিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, মানুষ সেটা অবলীলায় পালন করে। কিন্তু আইন যদি জোর করে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় তাহলে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই মানুষ সেই আইন ভঙ্গ করে। পশ্চিমা বিশ্বে যা ভালো সেটা আমাদের প্রেক্ষাপটে ভালো হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। তাই আইন এমন হওয়া দরকার যা ভাঙতে হলে মানুষকে কষ্ট করতে হয়। সেই অর্থে সংবিধানের পরিবর্তন করতে হলে তার আগে দরকার সমাজকে খুব ভালো করে পড়া, সমাজের চাহিদাগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা। যত মহৎই হোক না কেন যদি অধরা থাকার সম্ভাবনা প্রায় সেন্ট পারসেন্ট হয় তবে সেই লক্ষ্য স্থাপন করা বোকামি বই কিছু নয়।

ইতিমধ্যে সরকারে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে সংবিধান সংশোধন কমিশনের প্রধান হিসেবে ডঃ শাহদীন মালিকের পরিবর্তে ডঃ আলী রিয়াজ নিযুক্ত হয়েছেন। ডঃ আলী রিয়াজ বার বার সংশোধন নতুন করে লেখার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এটা ভাবনার বিষয়। কারণ দেশের রূপরেখা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিল। সেটার ভিত্তিতেই পরিবর্তনগুলো হওয়া উচিৎ। যদি আমেরিকার মত দেশ একের পর এক সংশোধনী এনে চলতে পারে, সব দেশই চলে – তাহলে আমরা পারব না কেন? তবে যদি উদ্দেশ্য হয় দেশের খোলনলচে বদলে দেবার তাহলে ভিন্ন কথা। এটা তো আর নতুন খবর নয় যে এই বিপ্লবের সূতিকাগার আমেরিকা, তাদের অর্থায়নে ও অন্যান্য সহযোগিতায় এটা হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও ও প্রাইভেট ভার্সিটি এখানে জড়িত ছিল। ইউক্রেনের সাথে আরও কিছু মিল দেখা যায়। ইউক্রেনে কিন্তু দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে সাথে ময়দানের আয়োজনকারীরা চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দেখিয়েছে। আজ যে মন্দির, মাজার ইত্যাদির উপর আক্রমণ সেটা আমাদের দেশের স্থানীয় মনে হলেও এর পেছনে যদি ইউক্রেন স্টাইল বিপ্লবের পুনরাবৃত্তি থাকে অবাক হব না। তাছাড়া আমেরিকা এসব করে পরবর্তীতে নিজেদের সুবিধা মত সংবিধান প্রণয়ন করে দেশকে আইনগত ভাবে কব্জা করার জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাপানে ও জার্মানিতে সেটা হয়েছে। ফলাফল এখনও তারা আমেরিকার প্রায় করদ রাজ্য। ইয়েলৎসিনের রাশিয়ার সংবিধানও আমেরিকানদের সরাসরি অংশগ্রহণে লেখা, ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেশীয় আইনের চেয়ে আন্তর্জাতিক (যা আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত) প্রাধান্য পেয়েছিল। সেই সংবিধান পরিবর্তন করে রাশিয়া আমেরিকার বিশেষ বিরাগভাজন হয়। তাই ডঃ আলী রিয়াজ যে আমেরিকার থেকে আমেরিকার অনুকুলে সংবিধান লেখার মিশন নিয়ে আসেননি তার কি গ্যারান্টি আছে? ঈশ্বর, ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ইত্যাদি অনেক গালভরা বুলির আড়ালে বিশ্ব মোড়লরা বার বার ছোট ছোট দেশে তাদের স্বার্থ কায়েম করেছে, এবারও যে সেটাই করতে চাইবে তাতে সন্দেহ কী? তাই সংবিধান নয় মানুষের মনোভাব পরিবর্তন জরুরী, এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, সঠিক শিক্ষা। এজন্য শিক্ষানীতির পরিবর্তন দিয়েই শুরু হতে পারে দেশের যাত্রা।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো